দ্বিতীয় ওয়ানডে শুরু থেকে শেষ: সুপার ওভারে ১ রানে হারল বাংলাদেশ, সিরিজে সমতা

স্বাগতম

মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে আজ দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশের মুখোমুখি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। গত শনিবার প্রথম ওয়ানডে ৭৪ রানে জিতে তিন ম্যাচের এ সিরিজে এগিয়ে গেছে মেহেদী হাসান মিরাজের দল।

দ্বিতীয় ম্যাচের আগে বাংলাদেশ দলের সর্বশেষ খবর জানতে ক্লিক করুন নিচের লিংকে।

উইকেট–জুজুর মধ্যেই সিরিজ জয়ের ম্যাচ

নারী বিশ্বকাপে গতকাল শ্রীলঙ্কার কাছে অবিশ্বাস্য হারে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ। পড়তে ক্লিক করুন নিচের লিংকে।

এভাবেও ভেঙে পড়া যায়, অবিশ্বাস্য হারে বাংলাদেশের বিদায়

স্পিনে শক্তি বাড়িয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ

দ্বিতীয় ওয়ানডের আগে দলের স্পিন বিভাগে শক্তি বাড়িয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাঁহাতি স্পিনার আকিল হোসেনকে অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে ওয়ানডে দলে

শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের কালো মাটির উইকেট নিয়ে প্রচুর নেতিবাচক আলোচনা হয়েছে এর আগে। দোষটা কি আসলেই কালো মাটির? জানতে হলে ক্লিক করুন নিচের লিংকে।

মিরপুরের উইকেট: আসলেই কি কালো মাটির দোষ

আজ উইকেট অতটা কালো নয়

শেরে বাংলা স্টেডিয়াম থেকে প্রথম আলোর ক্রীড়া প্রতিবেদক মাহমুদুল হাসান জানিয়েছেন, শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের আবহাওয়া আজও রৌদ্রজ্জ্বল। তবে প্রথম ওয়ানডের তুলনায় আজ উইকেট অতটা কালো নয়। ক্রিকেটাররা ওয়ার্ম আপ শুরু করেছেন, স্পিনাররা হাত ঘুরিয়েছেন। বাকিরা শুধু ফিল্ডিং অনুশীলন করছেন।

টস জিতেছে বাংলাদেশ

টসে জিতেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

টসে মুদ্রা নিক্ষেপ করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ

এক পেসার নিয়ে নামছে বাংলাদেশ

টসে জেতার পর বাংলাদেশ অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ জানিয়েছেন, প্রথম ম্যাচের একাদশে একটি পরিবর্তন এনে দ্বিতীয় ম্যাচে নামবে বাংলাদেশ, ‘তাসকিন আহমেদের জায়গায় দলে ঢুকেছেন নাসুম আহমেদ।’

অর্থাৎ, আজ দ্বিতীয় ম্যাচে মোস্তাফিজুর রহমান বাংলাদেশের একমাত্র পেসার। চারজন বিশেষজ্ঞ স্পিনার নিয়ে নামবে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ একাদশ

ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশ

ব্রেন্ডন কিং, অ্যালিক অ্যাথানেজ, কিসি কার্টি, শাই হোপ (অধিনায়ক ও উইকেটকিপার), শেরফান রাদারফোর্ড, আকিম অগাস্ট, রোস্টন চেজ, জাস্টিন গ্রিভস, গুড়াকেশ মোতি, খারি পিয়েরে ও আকিল হোসেন।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে দুটি পরিবর্তন। জেইডেন সিলসের জায়গায় ঢুকেছেন আকিল হোসেন ও রোমারিও শেফার্ডের জায়গায় অভিষেক হচ্ছে আকিম অগাস্টের।

নাসুম ফিরলেন

গত বছর ডিসেম্বরে এই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছিলেন নাসুম। তানভীর, মিরাজ, রিশাদের সঙ্গে আজ চতুর্থ স্পিনার হিসেবে একাদশে সুযোগ পেয়েছেন নাসুম।

বাংলাদেশের একাদশে আজ দুজন বাঁহাতি স্পিনার। এমন ঘটনা সর্বশেষ ঘটেছিল আরও দু বছর আগে। ২০২৩ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই বাঁহাতি হিসেবে খেলেছিলেন সাকিব আল হাসান ও নাসুম আহমেদ।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের একাদশেও চারজন স্পিনার। ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশে বিশেষজ্ঞ কোনো পেসার নেই।

রেকর্ড!

নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে প্রথমবার আজ দুই স্পিনার দিয়ে বোলিং ইনিংস শুরু করল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে বোলিং শুরু করেছেন বাঁহাতি স্পিনার আকিল হোসেন ও ডানহাতি রোস্টন চেজ।

সাইফের বিদায়

বাংলাদেশ: ৫ ওভারে ২২/১

টানা ১৪ বল ডট খেলে কিছুটা চাপে ছিলেন সাইফ। আকিলের বলে স্লগ খেলে ছক্কা মেরে হয়েছিলেন চাপমুক্ত। তবে পরের বলেই স্লিপে ক্যাচ দিলেন এই ওপেনার। আকিলের বেরিয়ে যাওয়া বলটিতে সাইফ খেলতে চেয়েছিলেন ডিফেন্সিভ পুশ। সফল হননি। তিন নম্বরে এসেছেন তাওহিদ হৃদয়।

ভালো খেলছেন সৌম্য

বাংলাদেশের ভালো শুরু

বাংলাদেশ: ১০ ওভারে ৪০/১

ব্যাটসম্যানদের জন্য কঠিন উইকেটে বাংলাদেশের শুরুটা ভালোই হয়েছে। ১০ ওভারে ৪০ রান তুলতে বাংলাদেশ উইকেট হারিয়েছে একটি। ৬ রান করে আউট হয়েছেন সাইফ। উইকেটে আছেন সৌম্য ও হৃদয়। ১৬ রানে ব্যাটিং করছেন সৌম্য, হৃদয় অপরাজিত ১২ রানে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ তাদের বোলিং ইনিংসের প্রথম ১০ ওভারই করিয়েছে স্পিনারদের দিয়ে। প্রথম ১০ ওভারই স্পিন—মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ওয়ানডেতে এমন ঘটনা দেখা গেল প্রথমবারের মতো।

যেভাবে আউট হৃদয় 

বাংলাদেশ: ১১ ওভারে ৪৩/২

হৃদয়ের সামনে হাওয়ায় ভাসিয়ে বলটি করেছিলেন গুড়াকেশ মোতি। হৃদয় সেই ফাঁদে পড়ে মিড অনে থাকা ফিল্ডারের মাথার ওপর দিয়ে মারতে চেয়েছিলেন। সফল হননি। ব্যাটের কানায় লেগে বল চলে যায় পয়েন্টে থাকা আকিলের হাতে। তিনি ফিরলেন ১২ রান করে।

উইকেট উপহার দিলেন নাজমুল

বাংলাদেশ: ১৮ ওভারে ৬৮/৩

অ্যাথানেজের শর্ট বলটি হয়তো নাজমুল চাইলে উইকেটের যেকোনো পাশেই মারতে পারতেন। তবে বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান শর্ট বল দেখে লেগ সাইডে পুল করতে চেয়েছিলেন। ঠিকভাবে সংযোগ না হওয়ায় বল চলে যায় মিড অনে থাকা ফিল্ডার ব্রেন্ডন কিংয়ের হাতে। আউট হওয়ার পর নাজমুল যেমন অবিশ্বাসে মাথায় হাত দিয়েছেন, তেমনি বোলার অ্যাথানেজেও দুই হাতে মুখ লুকিয়েছেন। এটি ওয়ানডেতে অ্যাথানেজের প্রথম উইকেট।

১৫ রান করেছেন নাজমুল।

ধীরগতিতে এগোচ্ছে বাংলাদেশ

বাংলাদেশ: ২৫ ওভারে ৮৮/৩

৩৩ রানে জীবন পাওয়া সৌম্য ব্যাটিং করছেন ৩৬ রান নিয়ে। মাহিদুল অপরাজিত ১২ রানে। শেষ ২৫ ওভারে কত রান তুলতে পারবে বাংলাদেশ?

মাহিদুলের ১৭ রান

বাংলাদেশ: ৩০ ওভারে ১০৩/৪

একের পর এক ডটে চাপ বাড়ছিল মাহিদুলের ওপর। তাই বড় শট খেলতে চেয়েছিলেন তিনি। পার্ট টাইম স্পিনার অ্যাথানেজের হাওয়ায় ভাসানো বলে স্লগ সুইপ খেলেন মাহিদুল। বল চলে যায় বাউন্ডারিতে থাকা ফিল্ডার রাদারফোর্ডের হাতে।

৭ ওভার বোলিং করেন অ্যাথানেজে রান দিয়েছেন মাত্র ১১। উইকেট নিয়েছেন দুটি।

যেভাবে আউট হয়েছেন সৌম্য

সৌম্য ফিরলেন ৪৫ রানে

বাংলাদেশ: ৩১ ওভারে ১০৪/৫

টাইমিং হারিয়েছেন অনেকটা সময় আগেই। ছিলেন বড় শটের খোঁজে। আগের ওভারে অ্যাথানেজের বলে একটি ফ্রি হিটও পেয়েছিলেন, কাজে লাগাতে পারেননি। এরপর ইনিংসের ৩১তম ওভারে বাঁহাতি স্পিনার আকিলের বলে স্লগ সুইপ খেলতে চান সৌম্য। সেই প্রচেষ্টায় ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়েছেন এই ওপেনার।

রেকর্ড!

বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে এরইমধ্যে ৩৫ ওভার স্পিনারদের দিয়ে করিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, যা ওয়ানডেতে এক ম্যাচে দলটির সর্বোচ্চ। এর আগে ২০০১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এক ম্যাচে ৩৪ ওভার স্পিনারদের দিয়ে করিয়েছিল তারা।

১০ ওভারে মাত্র ১৪!

ওয়ানডেতে ১৫ ম্যাচের ক্যারিয়ারে এর আগে দুই ইনিংসে বল করেছিলেন অ্যালিক অ্যাথানেজ। সবমিলিয়ে করেছিলেন চার ওভার।

পার্টটাইম স্পিনার অ্যাথানেজ আজ এসেছিলেন অন্য স্পিনারদের কয়েক ওভারের জন্য সঙ্গ দিতে। সেটা করতে নিজেই মূল বোলারের কাজ করেছেন এই স্পিনার। ১০ ওভারে রান দিয়েছেন মাত্র ১৪, আউট করেছেন নাজমুল ও মাহিদুলকে।

বাংলাদেশের বিপক্ষে ১০ ওভার বোলিং করে এর চেয়ে কম রান দিয়েছেন মাত্র একজন। ২০০৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজেরই বাঁহাতি স্পিনার ১০ ওভার বোলিং করে রান দেন ১১।

এই তালিকায় যৌথভাবে দ্বিতীয় স্থানে আছেন ডোয়াইন ব্রাভো ও অ্যাথানেজ। দুজনই দিয়েছেন ১৪ রান করে।

মোতির বলে ফিরলেন নাসুম

বাংলাদেশ: ৪০ ওভারে ১৩১/৬

৩৯তম ওভারের প্রথম দুই বলে নিয়েছিলেন ৮ রান। তবে ওভারের তৃতীয় বলে শর্ট মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়েছেন নাসুম।

বিশ্বরেকর্ড!

৪৫ ওভার স্পিন
ওয়ানডে ক্রিকেটে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ স্পিন বোলিং করার রেকর্ড এখন ওয়েস্ট ইন্ডিজের। এর আগে ১৯৯৬ সালে এক ইনিংসে শ্রীলঙ্কা স্পিনারদের দিয়ে করিয়েছিল ৪৪ ওভার। আজ এরইমধ্যে ৪৫ ওভার স্পিনারদের দিয়ে করিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

নুরুলের কার্যকর ইনিংস

বাংলাদেশ: ৪৬ ওভারে ১৬৩/৭

৪৬তম ওভারের শেষ বলে বোলার মোতির হাতেই ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন নুরুল হাসান। আউট হওয়ার আগে ২৪ বলে ২৩ রান করেছেন নুরুল। তাঁর ছোট এই ইনিংসে এখন দুই শর পথে বাংলাদেশ।

রিশাদের মাস্টারক্লাস

রিশাদ যখন উইকেটে এসেছেন, তখন বাংলাদেশের রান ৭ উইকেটে ১৬৩ রান। বল বাকি ছিল ২৪টি। ব্যাটসম্যানদের জন্য কঠিন উইকেটে বাংলাদেশের রান দুই শ ছাড়াবে কি না, এ নিয়ে শঙ্কা ছিল।

রিশাদ সব শঙ্কা উড়িয়ে দিলেন ১৪ বলে অপরাজিত ৩৯ রানের ইনিংসে। ৩ ছক্কা ও ৩ চারে ৩৯ রানে অপরাজিত ছিলেন এই অলরাউন্ডার। তাতে ৫০ ওভারে বাংলাদেশ তুলেছে ৭ উইকেটে ২১৩ রান।

২৪ বলে ৫০ রানের অবিচ্ছিন্ন রানের জুটি গড়েছেন মিরাজ ও রিশাদ

বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেছেন সৌম্য। ৮৯ বলে ৪৫ রান করেছেন এই বাঁহাতি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৯ রান এসেছে রিশাদের ব্যাট থেকে। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের অন্তত ২৫ রানের ইনিংসে এর চেয়ে বেশি স্ট্রাইক রেটে আর কেউ ব্যাট করতে পারেননি। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ স্ট্রাইক রেটের রেকর্ড ছিল সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা ও সাকিব আল হাসানের। ২০০৬ সালে বগুড়ায় মাশরাফি কেনিয়ার বিপক্ষে করেছিলেন ১৬ বলে অপরাজিত ৪৪ রান। স্ট্রাইক রেট ছিল ২৭৫.০০। ২০১৪ সালে মিরপুরে পাকিস্তানের বিপক্ষে সাকিবও ১৬ বলের ৪৪ রান করে অপরাজিত ছিলেন।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে আজ ইনিংসের ৫০ ওভারই করেছেন স্পিনাররা। এটা ওয়ানডে ক্রিকেটে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ স্পিন বোলিংয়ের রেকর্ড। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে আজ ১০ ওভার বোলিং করে মাত্র ১৪ রান দিয়েছেন অ্যাথানেজ। তিনিই আজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেরা বোলার। যদিও গুড়াকেশ মোতি পেয়েছেন ৩ উইকেট। তবে তিনি খরচ করেছেন ৬৫ রান।

রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারলেন না কিং

খুব একটা কঠিন বল ছিল না। টার্নও তেমন ছিল না বলটিতে। সুইপ খেলতে গিয়ে বলের লাইন মিস করেছেন ব্রেন্ডন কিং। নাসুম আহমেদের এলবিডব্লুর আবেদনে আঙুল তুলেছেন আম্পায়ার। কিন্তু রিভিউ নেন কিং। তবে বাঁচতে পারেননি।

৩ বলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ উইকেটে ১ রান।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভালো শুরু 

ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১০ ওভারে ৩৪/১

প্রথম ওভারে উইকেট হারানোর ধাক্কা সামলে ভালোই খেলছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১০ ওভার শেষে দলটি তুলেছে ৩৪ রান।

উইকেটে আছেন কার্টি ও অ্যাথানেজ। ১৫ রানে ব্যাটিং করছেন অ্যাথানেজ, ১৯ রানে কার্টি।

আবার দৃশ্যপটে রিশাদ

৫১ রানের জুটি গড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আশা দেখাচ্ছিলেন কার্টি ও অ্যাথানেজ। তবে বল হাতে নিয়েই রিশাদ সেই জুটি ভাঙলেন। এই ম্যাচে নিজের করা দ্বিতীয় বলে এলবিডব্লিউতে ফেরালেন অ্যাথানেজকে।

বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান নিয়েছিলেন রিভিউ। সফল হননি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৪তম ওভারের মধ্যেই দুটি রিভিউ নষ্ট করেছে।

এগিয়ে যাচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ

ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২০ ওভারে ৭৮/২

লক্ষ্যটা বড় নয়। সিরিজে সমতা ফেরাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের আজ করতে হবে ২১৪ রান। সেই লক্ষ্যে ধীরগতিতে এগোচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কার্টি অপরাজিত আছেন ৩৪ রানে, অভিষিক্ত আকিম অগাস্ট ব্যাট করছেন ১৩ রান নিয়ে।

রিশাদের দ্বিতীয় উইকেট

ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২২ ওভারে ৮৮/৩

রিশাদ এবার ফেরালেন কিচি কার্টিকে। ৩৫ রানে ব্যাটিং করছিলেন এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। রিশাদের বলে রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে এলবিডব্লিউ হয়েছেন কার্টি। উইকেটে এসেছেন শাই হোপ।

রিশাদের দারুণ ক্যাচ

ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২৪ ওভারে ৯৪/৪

তানভীরের করা শর্ট বলে দারুণ টাইমিং করেছিলেন অভিষিক্ত আকিম অগাস্ট। তবে সেই শট চলে যায় স্কয়ার লেগে দাঁড়িয়ে থাকা রিশাদের হাতে। জোরালো সেই শট জমে যায় রিশাদের হাতে।

আবার তানভীর

ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২৭ ওভারে ১০৮/৫

এবার ফিরলেন শেরফান রাদারফোর্ড। তানভীরের ভেতরে ঢোকা বলে পায়ে লাগে রাদারফোর্ডের। তানভীরের এলবিডব্লিউর আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। ৭ রান করেছেন রাদারফোর্ড।

আবার বিশ্বরেকর্ড

নতুন ইতিহাস লেখা হলো মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে। ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ বোলিংয়ের রেকর্ড গড়লেন স্পিনাররা। এই ম্যাচে এখন পর্যন্ত ৭৯ ওভার বোলিং করেছেন দুই দলের স্পিনাররা।

এর আগে ওয়ানডেতে এক ম্যাচে স্পিনাররা সর্বোচ্চ ৭৮.২ ওভার বোলিং করেছেন। ২০১৯ সালে দেরাদুনে আফগানিস্তান-আয়ারল্যান্ড ম্যাচে আইরিশ স্পিনাররা ৩৯ ও আফগান স্পিনাররা ৩৯.২ ওভার বোলিং করেছিলেন সেদিন।

রিশাদের তৃতীয়, নাসুমের দ্বিতীয়

ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৩৪ ওভারে ১৩৩/৭

আবার বাংলাদেশকে উইকেট দিলেন রিশাদ। এবারের ফেরালেন গুড়াকেশ মোতিকে। তাঁর করা অষ্টম ওভারের প্রথম বলে বড় শট খেলতে গিয়ে বোল্ড হলেন মোতি। তিনি করেছেন ১৫ রান।

এরপর রোস্টন চেজকে ফিরিয়েছেন স্পিনার নাসুম। এটি তাঁর দ্বিতীয় উইকেট।

হোপ গ্রিভস জুটি

ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৪৩.৩ ওভারে ১৭১/৭

দলীয় ১৩৩ রানে সপ্তম উইকেট হারিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর গ্রিভসকে সঙ্গে নিয়ে অবিচ্ছিন্ন ৩৬ রানের জুটি গড়েছেন হোপ।

মিরাজের গোল্ডেন আর্ম

ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৪৫ ওভারে ১৭৭/৮

গ্রিভসকে নিয়ে ৪৪ রানের জুটি গড়েছিলেন হোপ। সেই জুটি ভাঙল মিরাজের সরাসরি থ্রোতে। ২৬ রান করে ফিরলেন গ্রিভস। ৩০ বলে ৩৭ রান দরকার ওয়েস্ট ইন্ডিজের, বাংলাদেশের দরকার ২ উইকেট।

ম্যাচ টাই

শেষ ওভারে রান লাগত ৫। আকিল প্রথম দুই বল করলেন মিস। এরপরের দুই বলে রান হয় এক রান করে। শেষ দুই বলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান লাগত ৩। ওভারের পঞ্চম বলে আকিল আউট হলে ১ বলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের লাগত ৩ রান। শেষ বলে নতুন ব্যাটসম্যান খারি পিয়েরে ক্যাচ তুলে দিলে সেটা নিতে পারেননি নুরুল হাসান। দৌড়ে দুই রান নিয়ে ম্যাচ টাই করেন পিয়েরে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটিই প্রথম টাই।

সুপার ওভারে বাংলাদেশ যা করল

১১ রানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ক্রিজে পাঠায় দুই নিয়মিত ওপেনার সৌম্য সরকার ও সাইফ হাসানকে। আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ বল তুলে দেয় বাঁহাতি স্পিনার আকিল হোসেনকে।

আকিল ওভারের প্রথম বল দিলেন ওয়াইড। পরের বলটি স্লগ করে সৌম্য সরকার নেন দুই রান। পরে থার্ড আম্পায়ার জানায় বলটি ছিল নো। তাতে ৬ বলে বাংলাদেশের লাগত ৭ রান। এই সহজ সমীকরণও বাংলাদেশ মেলাতে পারেনি।

ফ্রি হিটে সৌম্য বড় শট খেলতে পারেননি। নিতে পারেন ১ রান। পরের দুই বল থেকে সাইফ নিতে পারেন ১ রান। নিজের খেলা প্রথম বলটি খেলেন ডট, পরেরটি কাভারে ঠেলে এক রান নেন।

১১ রানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ক্রিজে পাঠায় দুই নিয়মিত ওপেনার সৌম্য সরকার ও সাইফ হাসানকে

তাতে বাংলাদেশের সামনে সমীকরণ দাঁড়ায় ৩ বলে ৫ রানের। ওভারের চতুর্থ বলটি সৌম্য স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। পঞ্চম বলে নাজমুলও বড় শট খেলতে পারেননি, সেই বলে অতিরিক্ত থেকে এক রান আসে।

১ বলে ৪ রানের সমীকরণের সামনে আকিল আরও একটি ওয়াইড দেন। তবে সেটির সুবিধা নিতে পারেনি বাংলাদেশ। শেষ বলে সাইফ নিতে পারেন এক রান। বাংলাদেশ হেরে যায় ১ রানে।

এর আগে বল হাতে মোস্তাফিজ সুপার ওভারে দেন ১০ রান। ওভারের প্রথম ৫ বলে ৬ রান দেওয়া মোস্তাফিজ শেষ বলে বাউন্ডারি হজম করেন। হোপের ব্যাটের কানায় লেগে আসে বাউন্ডারি। এই জয়ে সিরিজে ১–১ এ সমতায় ফিরিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ২১৩/৭ (সৌম্য ৪৫, রিশাদ ৩৯*, মিরাজ ৩২*; মোতি ৩/৬৫, অ্যাথানেজ ২/১৪, আকিল ২/৪১)। ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৫০ ওভারে ২১৩/৯ (হোপ ৫৩*, কার্টি ৩৫, অ্যাথানেজ ২৮; রিশাদ ৩/৪২, নাসুম ২/২৮, তানভীর ২/৪২)। সুপার ওভার | ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১০/১, বাংলাদেশ: ৯/১ ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ সুপার ওভারে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: শাই হোপ। সিরিজ: ৩ ম্যাচের সিরিজে ১–১ সমতা।