আজ জিততে পারেনি বিরাট কোহলির দল।
আজ জিততে পারেনি বিরাট কোহলির দল।

কোহলির কারণেই কি হারল বেঙ্গালুরু

জিতলে শীর্ষ দুইয়ে থাকা অনেকটাই নিশ্চিত—এমন সমীকরণ নিয়ে আজ সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে নেমেছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। কিন্তু লক্ষ্ণৌর একানা স্টেডিয়ামে ম্যাচটা বেঙ্গালুরু হেরে গেছে। প্রথমে ব্যাট করে হায়দরাবাদ তোলে ৬ উইকেটে ২৩১ রান। তাড়া করতে নেমে বেঙ্গালুরু অলআউট হয়েছে ১৮৯ রানে।

৪২ রানের হারে বেঙ্গালুরু সমর্থকেরা চাইলে বিরাট কোহলি ‘দোষ’ দিতে পারেন। আক্ষরিক অর্থে নয়, মজার ছলে। এই ম্যাচে কোহলি ফিফটি করলে তো বেঙ্গালুরুকে হারতে হতো না!

এবারের আইপিএলে আজকের ম্যাচটির আগে চার বার রান তাড়ায় ব্যাট করেছেন কোহলি। এই চার ম্যাচে করেছেন কলকাতার বিপক্ষে ৩৬ বলে ৫৯*, রাজস্থানের বিপক্ষে ৪৫ বলে ৬২, পাঞ্জাবের বিপক্ষে ৫৪ বলে ৭৩* আর দিল্লির বিপক্ষে ৪৭ বলে ৫১। অর্থাৎ, রান তাড়ায় ব্যাট করা চার ম্যাচেই ফিফটি করেছিলেন কোহলি। চারটিতেই জিতেছিল বেঙ্গালুরু।

আজ হায়দরাবাদের বিপক্ষেও পঞ্চাশের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন কোহলি। ২৪ বলে ৭ চার ১ ছয়ে তুলে ফেলেছিলেন ৪৩ রান। কিন্তু হার্শ দুবের বলে অভিষেক শর্মার হাতে ক্যাচ দিলে থামতে হয় ফিফটির আগেই। কোহলির আউটটি ছিল তাঁর দলের প্রথম উইকেট। তবে আগের ম্যাচগুলোয় রান তাড়ায় দলকে পার করিয়েছেন যিনি, তাঁর বিদায়েই যেন এবার খেই হারিয়ে ফেলে পুরো দল।

কোহলিকে আউট করে হায়দরাবাদ খেলোয়াড়দের উল্লাস।

অবশ্য ম্যাচের ১৫তম ওভার পর্যন্ত জয়ের পথে ভালোমতোই ছিল বেঙ্গালুরু। ১৫ ওভার শেষে হায়দরাবাদের রান ছিল ৫ উইকেটে ১৬৮, একই সময়ে বেঙ্গালুরু তোলে ৩ উইকেটে ১৬৭।

তবে শেষ পাঁচ ওভারে হায়দরাবাদ যেখানে মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে ৬৪ রান তুলেছে, বেঙ্গালুরু সেখানে ২২ রানেই হারিয়েছে ৭ উইকেট। বেঙ্গালুরুর এই শেষের ধসে হায়দরাবাদ বোলারদের যেমন কৃতিত্ব আছে, আছে রজত পতিদারদের দায়ও। কোহলির ৪৩ রানের চেয়ে বড় ইনিংস শুধু ওপেনার ফিল সল্টের। পরের দিকের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ এই ম্যাচেই অধিনায়কত্ব নিয়ে নামা জিতেশ শর্মার।

এর আগে হায়দরাবাদকে দুই শর বেশি সংগ্রহে পৌঁছে দেন ঈশান কিষাণ। তিন নম্বরে নামা এই বাঁহাতি ৪৮ বলের ইনিংসে ৭ চার ও ৫ ছক্কায় ৯৪ রানে অপরাজিত থাকেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৪ রান আসে ওপেনার অভিষেক শর্মার ব্যাট থেকে।

হায়দরাবাদের কাছে হেরে পয়েন্ট তালিকার দুই থেকে তিনে নেমে গেছে বেঙ্গালুরু। ১৩ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট দলটির। ১২ ম্যাচে সমান পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে পাঞ্জাব, ১৩ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে গুজরাট টাইটানস।

আগেই লিগ পর্ব থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে যাওয়া হায়দরাবাদ ১৩ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে আট নম্বরে।