
হার্দিক পান্ডিয়াকে টপকে আইসিসি টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ অলরাউন্ডার হয়েছেন সাইম আইয়ুব। পাকিস্তানের এই ক্রিকেটার সদ্য সমাপ্ত এশিয়া কাপে ব্যাট হাতে বাজে সময় কাটালেও বল হাতে ছিলেন দুর্দান্ত। আর সেটিরই ফল, চার ধাপ এগিয়ে টি-টোয়েন্টি অলরাউন্ডারে প্রথমবারের মতো এক নম্বর স্থান।
আজ হালনাগাদ করা র্যাঙ্কিংয়ে টি-টোয়েন্টি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে নতুন রেকর্ড গড়েছেন ভারতের অভিষেক শর্মা। আগে থেকেই ব্যাটসম্যানদের মধ্যে এক নম্বরে থাকা এই ওপেনার টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেটিং পয়েন্ট অর্জন করেছেন।
২৩ বছর বয়সী সাইম এবারের এশিয়া কাপে ৭ ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৪ বারই শূন্য রানে আউট হয়েছেন। সব মিলিয়ে এশিয়া কাপে এই বাঁহাতির ব্যাট থেকে এসেছে মাত্র ৩৭ রান। বোলিংয়ে তাঁর পরিচয় খণ্ডকালীন স্পিনারের।
তবে পাকিস্তানের হয়ে এশিয়া কাপে বল হাতে নিয়েছেন নিয়মিতই। ৬ ইনিংসে অফ স্পিন করে তিনি নিয়েছেন ৮ উইকেট, ওভারপ্রতি খরচ ৬.৪০ রান।
মূলত বোলিংয়ের এই সাফল্য তাঁর রেটিং ২৪১-এ নিয়ে গেছে। সাইমের উত্থানে এক ধাপ করে পিছিয়ে দুইয়ে পান্ডিয়া (২৩৩), তিনে আফগানিস্তানের মোহাম্মদ নবী (২৩১)। অলরাউন্ডারদের শীর্ষ পাঁচে অন্য দুজন নেপালের দীপেন্দ্র সিং ঐরী এবং জিম্বাবুয়ের সিকান্দার রাজা।
এশিয়া কাপের ৭ ম্যাচে ৩১৪ রান করে টুর্নামেন্টসেরা হওয়া অভিষেক ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে নিজের অবস্থান আরও মজবুত করেছেন। এখন তাঁর রেটিং ৯২৬। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সুপার ফোর ম্যাচ শেষে অভিষেকের রেটিং পয়েন্ট ছিল ৯৩১, যা টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০২০ সালে ৯১৯ রেটিং তুলেছিলেন ইংল্যান্ডের ডেভিড ম্যালান।
ব্যাটসম্যানদের মধ্যে শীর্ষস্থানের মতো পরের তিনটি জায়গাও অপরিবর্তিত, যথাক্রমে ফিল সল্ট, তিলক বর্মা ও জস বাটলার। শ্রীলঙ্কার পাতুম নিশাঙ্কা দুই ধাপ এগিয়ে শীর্ষ পাঁচে জায়গা করেছেন। বোলারদের মধ্যে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন ভারতের বরুণ চক্রবর্তী। দুইয়ে আছেন নিউজিল্যান্ডের জ্যাকব ডাফি। শীর্ষ পাঁচের বাকি তিনটিতে অ্যাডাম জাম্পা, আকিল হোসেন ও আদিল রশিদ।
বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মধ্যে ব্যাটিংয়ে সেরা অবস্থানে সাইফ হাসান। শ্রীলঙ্কা ও ভারতের বিপক্ষে টানা দুই ফিফটি করা এই ডানহাতি ৪৫ ধাপ এগিয়ে ৩৬তম স্থানে আছেন। বোলারদের মধ্যে শীর্ষে মোস্তাফিজুর রহমান, ২ ধাপ পিছিয়ে তিনি ১১তম। অলরাউন্ডারদের মধ্যে মেহেদী হাসানের (৩৯তম) ওপরে কেউ নেই।