২০০৬ সালের এপ্রিলে ফতুল্লায় বাংলাদেশের বিপক্ষে ৭৪ রান করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার মার্ক কনগ্রোভ। সে দিন তাঁর বয়স ছিল ২১ বছর ৩১৮ দিন। এরপর গত দেড় যুগে অস্ট্রেলিয়ার আর কোনো ব্যাটসম্যান এর চেয়ে কম বয়সে ওয়ানডেতে ফিফটি করতে পারেননি। অবশেষে আজ অ্যাডিলেডে ভারতের বিপক্ষে সেই খরা ঘুচিয়েছেন কুপার কনোলি।
তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ২২ বছর ৬২ দিন বয়সী এই অলরাউন্ডার খেলেছেন ৬১ রানের ইনিংস। ৫৩ বলে খেলা তাঁর অপরাজিত ইনিংসটি অস্ট্রেলিয়াকে এনে দিয়েছে ২ উইকেটের জয়ও। যে জয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতে ভারতের বিপক্ষে সিরিজও নিশ্চিত করেছে অস্ট্রেলিয়া।
টস হেরে ব্যাট করতে নামা ভারত ৫০ ওভারে করে ৯ উইকেটে ২৬৪ রান। শুরুতে হাভিয়ের বার্টলেটের একই ওভারে শুবমান গিল (৯) ও বিরাট কোহলি (০) আউট হলে বিপদেই পড়েছিল ভারত। এর মধ্যে কোহলির শূন্য টানা দ্বিতীয়। ১৭ বছরের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে কোহলি পরপর দুই ইনিংসে শূন্য রানে আউট এই প্রথম।
তবে কোহলির মতো রোহিত টানা দুই ম্যাচে ব্যর্থ হননি। প্রথম ওয়ানডেতে ৮ রানে আউট হওয়া সাবেক অধিনায়ক আজ ফিফটি করেছেন। তৃতীয় উইকেটে শ্রেয়াস আইয়ারকে নিয়ে ১১৮ রানের জুটি গড়ার পর যখন আউট হয়েছেন, নামের পাশে ৯৭ বলে ৭৩ রানের ইনিংস।
ফিফটি করেছেন আইয়ারও। চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে তিনি করেছেন ৭৭ বলে ৬১ রান। এ ছাড়া শেষ দিকে ৪১ বলে ৪৪ রান করেন অক্ষর প্যাটেল।
রান তাড়ায় অস্ট্রেলিয়া এগিয়েছে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়ে রেখেই। ৫৪ রানের মধ্যে দুই ওপেনার মিচেল মার্শ ও ট্রাভিস হেড আউট হলেও তৃতীয় উইকেটে ম্যাথু শর্ট ও ম্যাট রেন শ ৫৫ রানের জুটিতে দলকে জয়ের পথে রাখেন। শর্ট ৭৮ বলে ৭৪ রান করে ফেরেন দলকে ১৮৭ রানে রেখে। বাকি কাজটা সারেন কনোলি।
সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ২৫ অক্টোবর সিডনিতে।
ভারত: ৫০ ওভারে ২৬৪/৯ (রোহিত ৭৩, আইয়ার ৬১, অক্ষর ৪৪; জাম্পা ৪/৬০, বার্টলেট ৩/৩৯, স্টার্ক ২/৬২)। অস্ট্রেলিয়া: ৪৬.২ ওভারে ২৬৫/৮ (শর্ট ৭৪, কনোলি ৬১*, ওয়েন ৩৬; সুন্দর ২/৩৭, অর্শদীপ ২/৪১)। ফল: অস্ট্রেলিয়া ২ উইকেটে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: অ্যাডাম জাম্পা। সিরিজ: ৩ ম্যাচ সিরিজে অস্ট্রেলিয়া ২–০ ব্যবধানে এগিয়ে।