বিপিএল নিলামে জায়গা না পাওয়া এনামুল হক ও নিহাদুজ্জামান
বিপিএল নিলামে জায়গা না পাওয়া এনামুল হক ও নিহাদুজ্জামান

বিপিএল নিলামে জায়গা না পাওয়া অভিযুক্ত ক্রিকেটাররা কে কী বলছেন

বিপিএলে ফিক্সিংয়ে অভিযুক্ত ক্রিকেটারদের বাদ দিয়েই স্থানীয় খেলোয়াড়দের নিলামের তালিকা প্রকাশ করেছে বিসিবি। স্বাধীন তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন আর ইন্টিগ্রিটি ইউনিটের পরামর্শের ভিত্তিতেই তাঁদের এবারের বিপিএল থেকে দূরে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। অপরাধ প্রমাণিত না হলেও বিসিবি তাঁদের ‘রেড ফ্ল্যাগ’ হিসেবে দেখছে।

তবে এমন সিদ্ধান্তে বিস্মিত অভিযুক্ত ক্রিকেটাররা। তাঁদের অভিযোগ, প্রমাণ ছাড়াই নিলামের চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ দিয়ে সামাজিকভাবে ‘মানহানি’ করা হয়েছে।

জাতীয় দলের ক্রিকেটার এনামুল হক আজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি আগের বছর বিপিএলে পঞ্চম সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলাম। একটা প্রতিবেদন দিল আর বাদ দিয়ে দিল? দোষী না, কিন্তু বিপিএল খেলতে দেব না। এটা কী হলো? রেড ফ্ল্যাগড, কিন্তু দোষী না। শুনছি শুনছি করে আমাকে বাদ দিয়ে দেবে? কথা শুনে হাস্যকর মনে হচ্ছে।’

বিপিএল নিলামে জায়গা হয়নি এনামুল হকের

একসময় জাতীয় দলে খেলা পেসার শফিউল ইসলামও বাদ পড়েছেন। তিনি জানান, গত বছর বিপিএলের পরই ক্রিকেট না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এবার বাদ পড়ায় খেলার ইচ্ছাটা আরও কমে গেছে। শফিউলের কথা, ‘আমাদের তো পরিবার আছে, জীবন আছে। ক্রিকেট জীবন না, জীবনের অংশ। মানুষ আমাকে চিনে বা ভালোবাসে ক্রিকেট থেকেই। তাই অভিযোগ আসলে নিজের কাছেই খারাপ লাগে। আমি যদি অভিযুক্ত হই, প্রমাণ দেখাক। মানুষের সামনে প্রমাণ নিয়ে আসুক।’

সানজামুল ইসলাম

সানজামুল ইসলামও হতবাক। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘বিসিবির কথা হচ্ছে দোষীও না, আবার দোষী। মানে কী প্রমাণ করল, সেটা বুঝলাম না। বলছে, সব জায়গায় খেলতে পারব, আবার বিপিএল খেলতে পারব না। আমরা তো জানি সাজাপ্রাপ্তরা সব সময় নিষিদ্ধ থাকে।’

স্পিনার নিহাদুজ্জামান

একই অবস্থা স্পিনার নিহাদুজ্জামানের। ক্যারিয়ারের এখনো অনেকটা পথ বাকি। এ সময়ে এমন অভিযোগকে জীবনের বড় ধাক্কা মনে করছেন তিনি। বলেন, ‘বলার কোনো ভাষা নেই। খুব অপ্রত্যাশিত। কখনো কল্পনা করিনি। বিষয়টা কাউকে বোঝানো কতটা কঠিন, তা বলে বোঝাতে পারব না।’

গত বিপিএলে দুর্বার রাজশাহীর হয়ে একটিই ম্যাচ খেলেছিলেন মিজানুর রহমান। তবু অভিযুক্ত হওয়ায় তিনি বিস্মিত। জানান, অ্যালেক্স মার্শাল তাঁকে ডেকেছিলেন। সেই জিজ্ঞাসাবাদের অডিও রেকর্ড বোর্ডের কাছে দিতে চান তিনি। মিজানুর বলেন, ‘এ রকম কিছু হলে তো একটা প্রসিডিউর আছে। হঠাৎ করে এভাবে মিডিয়ার সামনে আসাটা মেনে নিতে পারছি না। এখন কী করব, সেটাও বুঝতে পারছি না।’

প্রাথমিক তালিকায় থেকেও চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়া মোসাদ্দেক হোসেন ও আলাউদ্দিন বাবু ফোন ধরেননি। এই সাতজন ছাড়াও আরও দুজনের নাম ছিল তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে। তাঁদের মধ্যে সোহাগ গাজী অ্যালেক্স মার্শালের অধিকতর তদন্তের পর ছাড় পান। আর গত বছর সিলেট স্ট্রাইকার্সের অধিনায়ক আরিফুল হক এবারের বিপিএলের প্রাথমিক তালিকায় নামই দেননি। তাঁদের দুজনের সঙ্গেও যোগাযোগ করা যায়নি।