বিরাট কোহলি
বিরাট কোহলি

নতুন উচ্চতায় কোহলি, হয়ে গেল ১৬ হাজার রান

মাত্র ১ রানই লাগত তাঁর। অভিজাত এই ক্লাবে যে বিরাট কোহলি নাম লেখাতে যাচ্ছেন, এ নিয়ে তাই কোনো সন্দেহই ছিল না।

কোহলিও অপেক্ষায় রাখলেন না ক্রিকেটপ্রেমীদের। বিজয় হাজারে ট্রফিতে অন্ধ্র প্রদেশের বিপক্ষে দিল্লির হয়ে মাঠে নেমে সেই ১ রান নিয়েই ক্রিকেটের অভিজাত এক ক্লাবে ঢুকে পড়লেন তিনি। স্পর্শ করলেন লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ১৬ হাজার রানের মাইলফলক!

তবে ম্যাচে শুধু ১ রান করেই বসে থাকেননি কোহলি। ১৬ বছর পর বিজয় হাজারে ট্রফিতে খেলতে নেমে করেছেন ১০১ বলে ১৩১ রান। তাঁর দুর্দান্ত এই ইনিংসে ভর করে অন্ধ্র প্রদেশের বিপক্ষে ম্যাচটা ৪ উইকেটে জিতেছে দিল্লি।

বিশ্বের মাত্র নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ১৬ হাজার রানের মাইলফলক পেরিয়েছেন কোহলি। ভারতীয়দের মধ্যে শচীন টেন্ডুলকারের পর এ উচ্চতায় পৌঁছানো দ্বিতীয় ক্রিকেটার তিনি। পরে ১৩১ রানের ইনিংস খেলে এ তালিকায় ৮ নম্বরেও চলে এসেছেন কোহলি। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এখন তাঁর রান ১৬,১৩০। পেছনে ফেলেছেন শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি সনাৎ জয়াসুরিয়াকে (১৬,১২৮ রান)।

২০০৬ সালে শুরু হয়েছিল লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে কোহলির এই পথচলা। ১৯ বছরের লম্বা ক্যারিয়ারে ভারতীয় এই ব্যাটসম্যান খেলেছেন ৩৪৩টি ম্যাচ। ৫৮টি সেঞ্চুরির পাশাপাশি করেছেন ৮৪টি হাফ সেঞ্চুরি। পাকিস্তানের বিপক্ষে ২০১২ এশিয়া কাপে সেই বিধ্বংসী ১৮৩ রানের ইনিংসটি এখনো এ সংস্করণে তাঁর ক্যারিয়ারসেরা।

লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকার দিকে তাকালে বোঝা যাবে, কোহলি কেন এখানেও অনন্য। তালিকায় যে ৯ জন আছে, তাঁদের মধ্যে একমাত্র টেন্ডুলকার ও কোহলি ছাড়া আর কারও গড়ই ৪৫-এর বেশি নয়।

টেন্ডুলকারের গড় যেখানে ৪৫.৫৪, সেখানে কোহলির গড় ৫৭-এর বেশি। ভাবা যায়!
এ তালিকার চূড়ায় আছেন গ্রাহাম গুচ (২২,২১১ রান), ২ নম্বরে গ্রায়েম হিক (২২,০৫৯ রান)। ৩ নম্বরে থাকা শচীন টেন্ডুলকারের রান ২১,৯৯৯। এর পরই আছেন কুমার সাঙ্গাকারা, ভিভ রিচার্ডস, রিকি পন্টিং ও গর্ডন গ্রিনিজরা। জয়াসুরিয়াকে তো এরই মধ্যে পেছনে ফেলেছেন কোহলি। পন্টিং বা রিচার্ডসদের ছাড়িয়ে যাওয়াটাও হয়তো এখন সময়ের ব্যাপারমাত্র।