শ্রীলঙ্কার আরও একটি উইকেটের পতনের পর পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের উচ্ছ্বাস
শ্রীলঙ্কার আরও একটি উইকেটের পতনের পর পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের উচ্ছ্বাস

স্পিন–জাদুতে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে শিরোপা জয় পাকিস্তানের

১৬০ রানের উইকেট—টসের সময় দুই দলের অধিনায়কই কথাটা জোর দিয়ে বলেছেন। টসে হেরে শ্রীলঙ্কা ব্যাটিংয়ে নামার পর তাদের ইনিংসের মাঝামাঝি পর্যন্ত মনে হচ্ছিল, তারা ১৬০ বা ১৭০ রানের দিকেই এগোচ্ছে। কিন্তু মাঝের ওভারগুলোয় পাকিস্তানি স্পিনারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে এলোমেলো হয়ে যায় শ্রীলঙ্কার ইনিংস। শেষ পর্যন্ত তারা অলআউট হয় ১১৪ রানে। লক্ষ্যটা সহজ মনে হলেও সেটা পেরোতে ১৮.৪ ওভার পর্যন্ত খেলতে হয়েছে পাকিস্তানকে।
পাকিস্তানের উইকেট অবশ্য খুব বেশি পড়েনি, ৪টি উইকেটই হারিয়েছে তারা। মাঝের ওভারে একটা ধাক্কা খাওয়ার পর পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলে ৩৪ বলে অপরাজিত ৩৭ রান করে দলে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান বাবর আজম। অবশ্য এমন ধাক্কা যে আসতে পারে, সেই ইঙ্গিত ইনিংস বিরতিতেই দিয়েছেন শ্রীলঙ্কা অল্প রানে অলআউট করতে সবচেয়ে বড় অবদান রাখা পাকিস্তানের স্পিনার মোহাম্মদ নেওয়াজ। ৪ ওভারে ১৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেওয়া নেওয়াজ বলেছিলেন, ‘এখানে স্পিনারদের জন্য অনেক সহায়তা আছে। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।’

সেই সতর্ক ব্যাটিংটাই পাকিস্তান করেছে। দুই ওপেনারের একজন সাহিবজাদা ফারহান ২৩ করেছেন ২২ বল খেলে, আরেকজন ৩৩ বলে করেছেন ৩৬ রান। বাবরের সতর্ক ব্যাটিংয়ের কথা তো আগেই বলা হলো। অধিনায়ক সালমান আগা আউট হওয়ার আগে ১৪ বলে করেছেন ১৪ রান। পাকিস্তানের যে ৪টি উইকেট পড়েছে, এর ৩টিই নিয়েছেন শ্রীলঙ্কার স্পিনাররা—পাভান রত্নানায়েকে ১১ রান দিয়ে ২ উইকেট, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ৩১ রান দিয়ে একটি।

আউটের পর শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যানের হতাশা, পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের উল্লাস

পাকিস্তানের স্পিনাররা রান দেওয়ার দিক থেকে অবশ্য বেশ কৃপণই ছিলেন। তিন স্পিনার মিলে ৬ উইকেট নিতে ১২ ওভারে দিয়েছেন ৫২ রান। নেওয়াজ ১৭ রানে ৩ উইকেট, আবরার আহমেদ ১৮ রানে ২ উইকেট, সাইম আইয়ুব ১৭ রানে ১ উইকেট। ম্যাচসেরার পুরস্কার পেয়েছেন নেওয়াজ। শ্রীলঙ্কার পক্ষে ৪৭ বলে সর্বোচ্চ ৫৯ রান করেছেন ওপেনার কামিল মিশারা।