রিশাদ হোসেনের উইকেট উদ্‌যাপনে সঙ্গী শাহিন আফ্রিদি
রিশাদ হোসেনের উইকেট উদ্‌যাপনে সঙ্গী শাহিন আফ্রিদি

আবার রিশাদের ৩ উইকেট, ‘পিএসএল ক্লাসিকো’ জিতল লাহোর

রিশাদ হোসেন ফিল্ডিং করছিলেন। টিভি ক্যামেরা তখন একবার রিশাদকে খুঁজে নিল। পিএসএলে ধারাভাষ্যকারের দায়িত্বে থাকা কিংবদন্তি ওয়াসিম আকরাম ঠিক সেই মুহূর্তে বললেন, ‘এই ছেলেকে আমার কাছে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ মনে হচ্ছে।’

রিশাদের লেগ ব্রেক আর গুগলিরও প্রশংসা করে গেলেন আকরাম। করবেন না–ই বা কেন? রিশাদ যে ততক্ষণে ৩ উইকেট পেয়ে গেছেন!

গত রোববারও ৩ উইকেট নিয়ে পিএসএলে নিজের অভিষেক ম্যাচটা রাঙিয়ে রেখেছিলেন রিশাদ। তাঁর দল লাহোর কালান্দার্স সেদিন কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সকে হারিয়েছিল ৭৯ রানে।

পিএসএলে শীর্ষ উইকেট শিকারির প্রতীক ‘ফজল মেহমুদ ক্যাপ’ এখন রিশাদের মাথায়

বাংলাদেশের এই লেগ স্পিন অলরাউন্ডার আজ উইকেট ৩টি নিলেন আরও অল্প সময়ে, মাত্র ১১ বলের ব্যবধানে। তাতে ‘পিএসএল ক্লাসিকো’ হিসেবে পরিচিত লড়াইয়ে করাচি কিংসকে ৬৫ রানে হারিয়ে দিল লাহোর।

২ ম্যাচে ৬ উইকেট পাওয়া রিশাদই পিএসএলের এবারের আসরে যৌথভাবে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। সমান ম্যাচে ৬ উইকেট পেয়েছেন কোয়েটার লেগ স্পিনার আবরার আহমেদও। তবে আররারের চেয়ে ইকোনমি রেট ও বোলিং গড় ভালো হওয়ায় রিশাদকেই উইকেট শিকারিদের তালিকায় শীর্ষে রাখা হয়েছে।

করাচি ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৬ উইকেটে ২০১ রান করেছিল লাহোর। ফখর জামানের ৭৬ আর ড্যারিল মিচেলের ৭৫ রানের ইনিংস দুটিই মূলত লাহোরের সংগ্রহকে দুইশর ওপারে নিয়ে যায়।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে লাহোর অধিনায়ক শাহিন আফ্রিদির তোপের পর রিশাদের ঘূর্ণিতে ৫ বল বাকি থাকতেই ১৩৬ রানে অলআউট হয়ে যায় করাচি। ৫০ রানের ৭ উইকেট হারানোর পর খুশদিল শাহর ৩৯ ও হাসান আলীর ২৭ রান শুধু করাচির পরাজয়ের ব্যবধানই কমাতে পেরেছে।

ফখর জামান (বাঁয়ে) ও ড্যারিল মিচেলের ফিফটিতে বড় স্কোর গড়ে লাহোর

তিন ম্যাচে দুই জয়ে পয়েন্ট তালিকার দুইয়েই থাকল লাহোর। দুই ম্যাচে দুই জয় ও নেট রানরেটে এগিয়ে থাকার সুবাদে শীর্ষে আছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইসলামাবাদ ইউনাইটেড।  

সংক্ষিপ্ত স্কোর

লাহোর কালান্দার্স: ২০ ওভারে ২০১/৬
(ফখর ৭৬, মিচেল ৭৫, বিলিংস ১৯; হাসান ৪/২৮, আব্বাস ১/৪৭)।

করাচি কিংস: ১৯.১ ওভারে ১৩৬ অলআউট
(খুশদিল ৩৯, হাসান ২৭; রিশাদ ৩/২৬, আফ্রিদি ৩/৩৪, রাজা ২/১৩)।

ফল: লাহোর কালান্দার্স ৬৫ রানে জয়ী।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ:  ফখর জামান।