সিপিএলে প্রথম ম্যাচে তেমন কিছু করতে পারেননি। সেন্ট কিটসের বিপক্ষে ১৬ বলে ১১ রানের পর বল হাতে ১ ওভারে ৬ রান দিয়ে উইকেটশূন্য। আজ দ্বিতীয় ম্যাচেও সেই একই সাকিব আল হাসান। এবার বার্বাডোজ রয়্যালসের বিপক্ষে ব্যাট হাতে অবশ্য আগের ম্যাচের চেয়ে দুই রান বেশি করেছেন—১৩ বলে ১৩। বোলিংয়ে আবার এক ওভার করেই ১৪ রান খরচ করেছেন।
তবে সাকিবের পারফরম্যান্সে বিশেষ পার্থক্য না থাকলেও একটা জায়গায় উন্নতি আছে। প্রথম ম্যাচে হারলেও আজ সাকিবের দল অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডা ফ্যালকনস জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে।
অ্যান্টিগায় দলটি ৬ উইকেটে বার্বাডোজ রয়্যালসকে হারিয়েছে। টসে হেরে ব্যাটিং করতে নেমে বার্বাডোজ তুলেছিল ১৫২ রান। সেই রান ২ উইকেট আর ৬ বল হাতে রেখে তাড়া করেছে সাকিবের অ্যান্টিগা।
একটা সময় ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে সাকিব নতুন বলে নিয়মিত বোলিং করতেন। ৩৮ বছর বয়সী সাকিবের সেই দিন ফুরিয়েছে। অ্যান্টিগার অধিনায়ক বাঁহাতি স্পিনার ইমাদ ওয়াসিম আজ সাকিবকে বোলিংয়ে এনেছেন সপ্তম বোলার হিসেবে। টানা দুই ম্যাচেই তাঁকে দিয়ে করিয়েছেন একটি করে ওভার।
আজ ম্যাচের ১৫তম ওভারে বোলিংয়ে এসে একটি করে ছক্কা ও চার হজম করেছেন রোভমান পাওয়েল ও কুইন্টন ডি ককের ব্যাটে।
সাকিব ব্যাটিংয়ে আজ বড় ইনিংস খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন। উইকেটে এসেছেন চার নম্বরে, দলের রান যখন ৮.৪ ওভারে ২ উইকেটে ৫৭। তবে মুজিব উর রেহমানের বলে ছক্কা মারতে গিয়ে লং অনে ক্যাচ দেন এই বাঁহাতি।
সাকিবের ব্যর্থতার দিনে তাঁর দল জিতেছে কারিমা গোরের ৫৩ বলে ৬৪ রানের ইনিংসে। জয়ের জন্য তাদের শেষ ২ ওভারে রান লাগত ১৪। কারিমার সঙ্গে ফ্যাবিয়েন অ্যালেনের ৬ বলে ১১ রানের ইনিংসে দুই বল বাকি থাকতেই সমীকরণ মিলিয়ে ফেলে অ্যান্টিগা।
সাকিবের পরের ম্যাচ আগামীকাল, খেলবে সেন্ট লুসিয়ার বিপক্ষে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বার্বাডোজ রয়্যালস: ১৫১/৬ (ডি কক ৫৭, পাওয়েল ৫৪*; সিলস ২/১৫, ম্যাকয় ২/২৯)
অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডা ফ্যালকনস: ১৯.৪ ওভারে ১৫২/৪ (কারিমা ৬৪*, জুয়েল ২৮; মুজিব ১/২৩, ওয়ারিক্যান ১/২৩)
ফল: অ্যান্টিগা ৬ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা: কারিমা গোর।