
একের পর এক নাটক হলো শেষ দিকে। ১৮তম ওভারে মেহেদী হাসান রানা হ্যাটট্রিক করলেন। আগের দুই ওভারেও উইকেট হারিয়েছিল সিলেট টাইটানস। তাতে ১১৭/৩ থেকে দেখতে না দেখতেই ৫ উইকেট হারিয়ে ১২৫/৮ দলটির স্কোর।
২ উইকেট হাতে থাকা স্বাগতিকদের সামনে ১২ বলে ১৯ রানের সমীকরণ। শেষ ওভারটা যখন শুরু হলো ৬ বলে ১৩ দরকার সিলেটের। শেষ ওভারে নোয়াখালী এক্সপ্রেস বল তুলে দেয় মিডিয়াম পেসার সাব্বির হোসেনের হাতে।
কিন্তু তাঁর ওভারে ১৩ রান নিয়ে শেষ বলে ১ উইকেট হাতে রেখে জিতেছে সিলেট। কীভাবে এটা সম্ভব হলো? সিলেট টাইটানসের প্রতিনিধি হয়ে ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে আসা খালেদ আহমেদ জানান, অঙ্কটা নাকি তাদের করাই ছিল।
শেষ ওভারে ১৩ রান দরকার হলেও নিজেদের আত্মবিশ্বাসের কারণটা জানালেন তিনি, ‘ব্যাটিংয়ে আমরা আত্মবিশ্বাসী ছিলাম যে জিততে পারব। যেহেতু ইথান ব্রুকস ছিল, ওদের সাব্বির ছাড়া কোনো অপশনও ছিল না। এ কারণে আমরা আত্মবিশ্বাসী ছিলাম।’
সাব্বিরের করা শেষ ওভারের প্রথম দুই বলেও কোনো রান নিতে পারেননি ইথান ব্রুকস। কিন্তু তৃতীয় বলটা নো করার পরই কাজটা সহজ হয়ে যায় সিলেটের জন্য। ফ্রি হিট থেকে ছক্কা মারার পরের বলে চার মারেন তিনি।
এ ক্ষেত্রে তাদের সাহায্য করেছে নোয়াখালীকে দেওয়া ‘পেনাল্টি’। কাট অফ টাইমে শেষ ওভার শুরু করতে না পারায় নিয়ম অনুযায়ী শেষ ওভারে একজন ফিল্ডার বাইরে রাখতে পেরেছিল নোয়াখালী এক্সপ্রেস। সেটিই ইথান ব্রুকসকে বাউন্ডারি মারতে সাহায্য করেছে বলে মনে করেন দলটির ব্যাটসম্যান মাহিদুল ইসলাম, ‘আমরা ওভার রেটে কিছুটা পিছিয়ে ছিলাম। এ জন্য পেনাল্টি হয়েছিল, আমাদের একটা ফিল্ডার বেশি ভেতরে রাখতে হয়েছে। বোলারের জন্য চ্যালেঞ্জিং ছিল, কুয়াশাও ছিল।’
তবু অবশ্য নোয়াখালীর জয়ের আত্মবিশ্বাস ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটি না পাওয়ায় নিজেদের দুর্ভাগা বলছেন মাহিদুল, ‘ওরা একটা ভালো জুটি গড়ার পরও আমাদের সময় বিশ্বাস ছিল যদি ব্রেকথ্রু আনতে পারি, অবশ্যই খেলায় ফিরতে পারব। কিন্তু দুর্ভাগ্য হয়তো। আমরা ম্যাচটা জিততে পারতাম, অনেক ক্লোজ ছিলাম। কিন্তু পরের ম্যাচ জিতব ইনশা আল্লাহ।’