টি–টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ৫ উইকেট পেয়েও হাসি নেই পান্ডিয়ার মুখে
টি–টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ৫ উইকেট পেয়েও হাসি নেই পান্ডিয়ার মুখে

পান্ডিয়ার প্রথম ৫ আর সূর্য–ঝড়ের পরও মুম্বাইয়ের হার

অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া তাঁর টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে সেরা বোলিং করেছেন। তারপরও লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস ২০০ পেরোনো ইনিংস পেয়েছে। জয়ের জন্য মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে লক্ষ্য দিয়েছে ২০৪ রানের। এটা কত কঠিন, সেটা বোঝাতেই লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের ইনিংস বিশ্লেষণ করতে গিয়ে ইএসপিএনক্রিকইনফো একটি তথ্য দিয়েছে-লক্ষ্ণৌয়ের একানা স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টিতে এটা ২০০ পেরোনো দ্বিতীয় ইনিংস।

টি-টোয়েন্টিতে পান্ডিয়ার প্রথম ৫ উইকেট পাওয়ার কীর্তির পর ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছেন মুম্বাইয়ের সূর্যকুমার যাদব। এরপরও কঠিন কাজটা করতে পারেননি মুম্বাই। এ দুজনের মিলিত প্রয়াসে শেষ ওভাড়ে গড়ানো নাটকীয় ম্যাচে লক্ষ্ণৌয়ের কাছে ১২ রানে হেরেছে পান্ডিয়ার দল। লক্ষ্ণৌয়ের ৮ উইকেটে করা ২০৩ রানের জবাবে মুম্বাই ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে তুলতে পেরেছে ১৯১ রান। এবারের আইপিএলে চার ম্যাচে এটি মুম্বাইয়ের তৃতীয় হার।

ভালো ব্যাটিং করলেও হারের হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের খেলোয়াড়দের

বড় রান তাড়া করতে নেমে শ্রী অটল বিহারী বাজপেয়ি একানা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন ওভারের মধ্যে দুই ওপেনার উইল জ্যাকস ও রায়ান রিকেলটনকে হারায় মুম্বাই। তবে দ্বিতীয় উইকেটে ৩৫ বলে নামান ধির ও সূর্যকুমারের ৬৯ রান আর চতুর্থ উইকেটে সূর্যকুমার ও তিলক বার্মার ৪৮ বলে ৬৬ রানের জুটিত সে ক্ষতি পুষিয়ে জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে তারা।

কিন্তু জয় থেকে ৫২ রান দূরে থাকতে ১৬.১ ওভারে সূর্যকুমার আউট হয়ে গেলে সে আশায় ভাটা নেমে আসে। আউট হওয়ার আগে সূর্যকুমার ৪৩ বলে ৯ চার ও এক ছয়ে করেছেন ৬৭ রান। সূর্যকুমারের আউটের পর তিলক ও পান্ডিয়া যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন। তাঁদের চেষ্টায় শেষ ওভারে জয়ের জন্য মুম্বাইয়ের প্রয়োজন ছিল ২২ রান। শেষ ওভারে পান্ডিয়া ও মিচেল স্যান্টনার তা তুলতে পারেননি।

তিলক ২৩ বলে ২৫ রান করে আহত অবসর হন ১৯.৫ ওভারে। পান্ডিয়া ১৬ বলে ২৮ রান করে ছিলেন অপরাজিত। স্যান্টানার ২ বলে করেছেন অপরাজিত ২ রান। লক্ষ্ণৌয়ের শার্দুল ঠাকুর, আকাশ দীপ, আবেশ খান ও ডিগবেশ রাঠি নেন একটি করে উইকেট।

এর আগে লক্ষ্ণৌ ২০০ পেরোনো সংগ্রহ পায় মূলত দুই ওপেনার মিচেল মার্শের ৩২ বলে ৬০ ও এইডেন মার্করামের ৩৮ বলে ৫৩ রানের দুটি ইনিংসে ভর করে। এ ছাড়া আয়ুশ বাদানি ১৯ বলে ৩০ ও ডেভিড মিলার ১৪ বলে ২৭ রান করেছেন। পান্ডিয়া ৫ উইকেট নিয়েছেন ৩৬ রান দিয়ে।