Thank you for trying Sticky AMP!!

শরীফুলই এনে দেন প্রথম ব্রেকথ্রু

সবুজাভ মিরপুরে বাংলাদেশ বোলারদের প্রথম সেশন

মিরপুরের সবুজাভ উইকেট, একাদশে তিন পেসার, টসে হারলেও ফিল্ডিং—বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের তখন পর্যন্ত অখুশি হওয়ার কারণ ছিল না। একমাত্র টেস্টের প্রথম সেশন শেষেও অমনই থাকার কথা সাকিবের।

প্রায় চার বছর পর টেস্টে ফেরা আয়ারল্যান্ড প্রথম সেশনেই হারিয়েছে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে। ২৬ ওভার ব্যাটিং করে ৬৫ রান তুলেছে তারা। শরীফুল ইসলাম, ইবাদত হোসেন ও তাইজুল ইসলাম ভাগ করে নিয়েছেন ৩ উইকেট। হ্যারি টেক্টর ও কার্টিস ক্যাম্ফার অবিচ্ছিন্ন থেকে গেছেন মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে।

Also Read: এবারের আইপিএলেই খেলবেন না সাকিব

তিন পেসার নিয়ে নামা বাংলাদেশ ফিল্ড-সেটিংয়ে শুরু থেকেই ছিল আক্রমণাত্মক, শরীফুল ইসলাম ও ইবাদত হোসেনের বোলিংয়ে চার স্লিপের সঙ্গে ছিল গালি। তৃতীয় ওভারে জেমস ম্যাককলামের আউটসাইড-এজ করাতে পেরেছিলেন শরীফুল, যদিও সেটি পড়ে স্লিপের বেশ সামনেই।

শরীফুলই অবশ্য এনে দেন প্রথম ব্রেকথ্রু। পঞ্চম ওভারে ফুললেংথ থেকে ভেতরের দিকে ঢোকা বলে আড়াআড়ি খেলতে গিয়ে মিস করে এলবিডব্লু হন বাঁহাতি মারে কমিন্স। রিভিউ নেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেননি, বল ট্র্যাকিং পরে দেখায়—নিলেও লাভ হতো না।

ম্যাককলামকে ফিরিয়েছেন ইবাদত

উইকেট সবুজ হলেও সেভাবে বাউন্স নেই, আইরিশ ব্যাটসম্যানরা অবশ্য নিজেদের বিপদ নিজেরাই ডেকে এনেছেন। বাংলাদেশকে পরের উইকেট এনে দেন ইবাদত হোসেন। অষ্টম ওভারে খালেদ আহমেদের জায়গায় তাঁকে এনেছিলেন সাকিব, নিজের দ্বিতীয় ওভারে ম্যাককলামকে ফেরান তিনি। অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের বলটায় ব্যাট চালিয়ে নিজের বিপদ ডেকে আনেন আইরিশ ওপেনার। দ্বিতীয় স্লিপে নাজমুল হোসেন শুরুতে গড়বড় করে ফেললেও সামনে ঝুঁকে ক্যাচ নেন।

Also Read: সেই বাংলাদেশে এবার আয়ারল্যান্ডের মুর

প্রথম ঘণ্টাতেই অবশ্য দেখা মেলে স্পিনের, প্রথম ওভারেই সম্ভাবনাও তৈরি করেন তাইজুল ইসলাম। অ্যান্ড্রু বলবার্নির বিপক্ষে নেওয়া কট-বিহাইন্ডের রিভিউ নিয়ে অবশ্য ব্যর্থ হয় বাংলাদেশের। পানি-পানের বিরতির ঠিক পরের ওভারেই আসেন মেহেদী হাসান মিরাজ, তাঁর বলে বাংলাদেশ নেয় আরেকটি রিভিউ। তবে ব্যাকফুটে গিয়ে খেলার চেষ্টা করে হ্যারি টেক্টর বেঁচে যান বল লেগ স্টাম্প দিয়ে বেরিয়ে যাওয়াতে। ১৪ ওভার শেষ হওয়ার আগেই তাই দুটি রিভিউ হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ।

বলবার্নি ফেরেন তাইজুলকে সুইপ করতে গিয়ে এলবিডব্লু হয়ে

২৭ রানে ২ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়ছিলেন হ্যারি টেক্টর ও অ্যান্ড্রু বলবার্নি। স্পিনারদের ওপর চড়াও-ও হন টেক্টর—তাইজুলকে চারের পর মিরাজকে ডাউন দ্য উইকেটে এসে ইনিংসের প্রথম ছক্কাও মারেন। সে জুটি প্রায় ১২ ওভার টেকে। ততক্ষণ পর্যন্ত ধৈর্য ধরে রাখা বলবার্নি ফেরেন তাইজুলকে সুইপ করতে গিয়ে এলবিডব্লু হয়ে। রিভিউ নিলেও বাঁচতে পারেননি।

টেক্টরের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন থেকে মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে গেছেন কার্টিস ক্যাম্ফার—আয়ারল্যান্ডের এ প্রজন্মের দুই তারকা। বিরতির আগদিয়ে খালেদকে দুই চার মারেন ক্যাম্ফার, এর মধ্যে একটি ছিল দারুণ এক কাভার ড্রাইভে। বিরতির ঠিক আগের ওভারে তাইজুলকে কাট করে চার মারেন টেক্টরও। তিনি অপরাজিত ছিলেন ১৮ রানে, ক্যাম্ফার ব্যাটিং করছিলেন ৯ রানে।

Also Read: ফিল্ডিংয়ে ৩ পেসারের বাংলাদেশ, আয়ারল্যান্ডে ৬ জনের টেস্ট অভিষেক