
রোববার নাবি মুম্বাইয়ে নারী বিশ্বকাপের ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথমবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হতে পারে ভারত, তাই ভারতীয়দের মধ্যে টিকিট নিয়ে রীতিমতো কাড়াকাড়ি চলছে। ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআই বলছে, ফাইনালের টিকিটের জন্য ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামের কাউন্টারের সামনে লম্বা লাইন তৈরি হয়েছে।
অফলাইনের পাশাপাশি অনলাইনেও চলছে টিকিট বিক্রি। অতিরিক্ত চাহিদার কারণে টিকিটের দামও বেড়ে চলেছে। নির্দিষ্ট একটি গ্যালারির প্রতিটি টিকিটের দাম দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত ছাড়িয়ে গেছে।
রোববার স্থানীয় সময় বেলা তিনটায় শুরু হতে যাওয়া ম্যাচের জন্য অফলাইন টিকিট কখন বিক্রি শুরু হবে, তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি। পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামের বাইরে টিকিট কাউন্টারগুলোর সামনে লম্বা লাইন দেখা যায়, যেখানে কিছু লোক ৩৬ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে অপেক্ষা করছিল।
অনলাইন টিকিটের একটি অংশ ভারতের ফাইনালে জায়গা নিশ্চিত হওয়ার আগেই বিক্রি হয়ে গিয়েছিল। বুকমাইশোতে দেখা গেছে ‘সোল্ড আউট’ বার্তা। তবে ভায়াগোগোর মতো ওয়েবসাইটগুলোতে কিছু টিকিট পাওয়া যাচ্ছে, যেখানে দাম ৬ হাজার ৫০০ থেকে শুরু করে ১ লাখ ৩০ হাজার রুপির বেশি।
যেমন শনিবার রাত সাড়ে আটটায় ভিআইপি সেকশনের বি এল১ সেকশনের টিকিটের দাম দেখানো হয় ১ হাজার ৫৩৩ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ লাখ ৮৭ হাজার ৫১৮ টাকা। তখন পর্যন্ত ৪টি টিকিট অবিক্রীত আছে বলে ওয়েবসাইটে বলা ছিল।
এদিকে ভারত নারী ক্রিকেট দল প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ জিতলে খেলোয়াড়দের কী দেওয়া হবে, এ নিয়ে আলোচনা চলছে দেশটির ক্রিকেট অঙ্গনে। গত বছর ভারতের পুরুষ ক্রিকেট দল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতার দলের খেলোয়াড় ও সাপোর্ট স্টাফদের ১২৫ কোটি রুপি পুরস্কার দিয়েছিল বিসিসিআই।
এবার হারমানপ্রীত কৌরদের তেমন কিছু দেওয়া হবে কি না, এমন প্রশ্নে পরিচয় গোপন রাখার শর্তে পিটিআইকে বিসিসিআইয়ের একটি সূত্র বলেছেন, ‘বিসিসিআই পুরুষ ও মহিলাদের জন্য সমান বেতনের সমর্থন করে। আলোচনা আছে যে আমাদের মেয়েরা বিশ্বকাপ জিতলে পুরুষদের বৈশ্বিক জয়ের তুলনায় পুরস্কার কোনো অংশেই কম হবে না। তবে তারা জেতার আগে ঘোষণা করাটা ঠিক হবে না।’
২০১৭ সালে যখন ভারত নারী দল ফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে হেরে রানার্সআপ হয়েছিল, তখন বিসিসিআই প্রত্যেক খেলোয়াড়কে ৫০ লাখ টাকা দিয়েছিল।