প্রথম ওয়ানডেতে হেরেছে বাংলাদেশ
প্রথম ওয়ানডেতে হেরেছে বাংলাদেশ

বাংলাদেশের সিরিজ হারের হ্যাটট্রিক এড়ানোর লড়াই

ম্যাচটা সিরিজ বাঁচানোর। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেটির গুরুত্ব বোঝাতে এটাই যথেষ্ট। কিন্তু বাংলাদেশের জন্য ম্যাচটা শুধু এই গুরুত্বেই আটকে নেই, মেহেদী হাসান মিরাজের দলের সামনে প্রেক্ষাপট আরও বড়। ২০২৭ সালের বিশ্বকাপে সরাসরি খেলতে হলে র‌্যাঙ্কিংয়ে অন্তত সেরা ৯–এ থাকতে হবে, বাংলাদেশ এখন আছে ১০ নম্বরে।

র‌্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি করতে ম্যাচ জিততে হবে। সেটি মাথায় রেখেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ দল। কিন্তু তিন ম্যাচ সিরিজের শুরুটা হয়েছে হার দিয়ে।

আবুধাবিতে আজ দ্বিতীয় ম্যাচে হারলে শুধু সিরিজ হারই হবে না, এমনিতেই কঠিন হয়ে থাকা সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার সম্ভাবনাটা কমে যাবে আরও। ওয়ানডে সংস্করণে বাংলাদেশের যে ছন্দ, তাতে খুব বেশি আশার আলোও দেখা কঠিন। এই সংস্করণে সর্বশেষ ১১ ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছে মাত্র একটিতে। ওয়ানডে সুপার লিগে সেরা তিনে থেকে গত বিশ্বকাপে যাওয়া বাংলাদেশ তাই স্বাভাবিকভাবেই স্বস্তিতে নেই।

দুশ্চিন্তাটা বোধ হয় মিরাজেরই বেশি। আট ম্যাচের ওয়ানডে অধিনায়কত্বের ক্যারিয়ারে তিনি জয়ের দেখা পেয়েছেন মাত্র একটিতে। আফগানিস্তানের বিপক্ষেও আগের দুটি ওয়ানডে সিরিজে হেরেছে বাংলাদেশ। সেদিক থেকে আজকের ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য হারের হ্যাটট্রিক এড়ানোর লড়াইও। পরিস্থিতি যখন এ–ই, প্রথম ম্যাচের ভুল থেকে শিখে সিরিজ জয়ের মিশনে নামতে চান বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে গতকাল দলের ওপেনার তানজিম হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগের ম্যাচে যে ভুলগুলো করেছি, আমরা এগুলো নিয়ে কথা বলেছি। পরের ম্যাচে কীভাবে আরও ভালো করে খেলা যায়, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে আমাদের। এই ম্যাচটা জিততে না পারলে তো আমরা সিরিজ হেরে যাব, এই ম্যাচটা তাই খুব গুরুত্বপূর্ণ।’

বাংলাদেশের অনুশীলনে তানজিম হাসান

র‌্যাঙ্কিংয়ের বিষয় নিয়ে তানজিম বলেন, ‘ওয়ানডে আমাদের সবার ফেবারিট সংস্করণ। এই জায়গায় ১০ নম্বরে থাকা গ্রহণযোগ্য নয়, আরও ওপরে থাকা উচিত। বাছাইপর্ব খেলাটা আমাদের মানায় না। (বিশ্বকাপে) কীভাবে সরাসরি খেলতে পারি, ওটা আমাদের মাথায় থাকা উচিত।’

কিন্তু ওই পথে খুব একটা ভরসা জোগাতে পারছেন না বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। তাঁরা যে আসলে পুরো ৫০ ওভার ব্যাটই করতে পারছেন না। এ বছর খেলা ৬ ওয়ানডের মধ্যে মাত্র একটিতেই বাংলাদেশ অলআউট হয়নি।

ওয়ানডেতে ব্যাটসম্যানদের সামর্থ্য অনুযায়ী রান তুলতে না পারা নিয়ে তানিজমের কথা এ রকম, ‘আমাদের এখন প্রধান মনোযোগ হচ্ছে স্ট্রাইক রোটেট করা। কারণ, অনেক বেশি ডট বল হয়ে যাচ্ছে। ৫০ ওভারের ম্যাচে আপনি যদি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সংগ্রহ না দিতে পারেন, তাহলে কঠিন হয়ে যায়।’ একসময়ের পছন্দের সংস্করণে এখন বাংলাদেশের দিশাহারা পথচলা। সেই ধাক্কাটা আরও বাড়বে আফগানিস্তানের কাছে আজ হারলে। সেটি নিশ্চয়ই খুব একটা স্বস্তির খবর হবে না। তানজিম আশা দেখাচ্ছেন, তেমন কিছু হবে না।