রিপনের হেলমেট ধরে টান দেন এনতুলি
রিপনের হেলমেট ধরে টান দেন এনতুলি

বাগ্‌বিতণ্ডা ও হাতাহাতি, বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানের হেলমেট ধরে টান দিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার বোলার

মাঠে হঠাৎই উত্তেজনা। বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের ইনিংসের ১০৫তম ওভার। দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিংয়ের বোলার ইনোসেন্ট এনতুলির করা প্রথম বলেই এগিয়ে এসে ছক্কা মারেন রিপন মণ্ডল। হয়তো ছক্কা খাওয়ার জেদেই রিপনের দিকে এগিয়ে যান এনতুলি, কাছে গিয়ে মারেন ধাক্কাও।

রিপন তাঁকে বারবার সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু বাগ্‌বিতণ্ডার এক পর্যায়ে তাঁর হেলমেট ধরে টান দেন এনতুলি। প্রায় নুইয়ে পড়েন রিপন, তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন আবারও। পরিস্থিতি শান্ত করতে ছুটে আসেন দুই আম্পায়ার। ততক্ষণে অবশ্য এক দফা হাতাহাতি হয়ে গেছে দুই ক্রিকেটারের মধ্যে।

উত্তেজনা থেমে থাকেনি শুধু এখানেই। দক্ষিণ আফ্রিকা দলের আরও দুই ক্রিকেটার ডেওয়ান মারাইস ও মিকা এল প্রিন্সও গিয়ে আঙুল তুলে রিপনকে শাসান। এ ঘটনার ২ বল পর আবার আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন এনতুলি। তাঁর বল রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলে ক্রিজ থেকে বের হননি রিপন, চেষ্টা ছিল না রান নেওয়ারও, তবু বল ধরেই সোজা তাঁর শরীর বরাবর থ্রো করে বসেন এনতুলি। কোনোমতে ব্যাট দিয়ে তা ঠেকিয়ে দিয়ে আঘাত থেকে বাঁচেন রিপন।

এসব ঘটনা নিয়ে জানতে চাইলে ম্যাচ রেফারি সেলিম শাহেদ প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘আম্পায়ার রিপোর্ট দেবে। এরপর আমরা এটির বিষয়ে পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব। এখনই তাই কী হবে, বলা যাচ্ছে না।’

এ ঘটনায় শাস্তি হতে পারে দুজনেরই

ম্যাচটির প্রথম শ্রেণির মর্যাদা না থাকলেও এ ঘটনায় শাস্তি হতে পারে দুজনেরই। শারীরিক সংঘর্ষে জড়ানোয় লেভেল–২ অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে ঘটনাটি। সিরিজের শেষ ম্যাচ হওয়ায় যে শাস্তিই হোক, তা কার্যকর করতে হবে সংশ্লিষ্ট বোর্ডকে।

দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিং দলের বিপক্ষে দ্বিতীয় চার দিনের এ ম্যাচে দারুণ শুরু করেছে বাংলাদেশ ইমার্জিং। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ৩৭১ রানে অলআউট হয়েছে। রিপনের উইকেটটি শেষ পর্যন্ত তুলে নিয়েছেন এনতুলিই। তাঁর বলে স্টাম্পিংয়ের শিকার হওয়ার আগে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৮১ বলে ৪৩ রান করেন রিপন।