জাকের আলী
জাকের আলী

জাকের আলী কাল খেলবেন, যদি...

বাংলাদেশ দলের একটি সূত্র গতকাল রাতে জানিয়েছে, দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে জাকের খেললেও চোট পুরোপুরি কাটিয়ে না ওঠায় উইকেটকিপিং ছাড়া অন্য কোনো ফিল্ডিং পজিশনে ফিল্ডিং করতে পারবেন না।

বাঁ ঊরুর মাংসপেশির চোটের জন্য ক্যান্ডিতে প্রথম টি-টোয়েন্টি খেলতে পারেননি জাকের আলী। তবে কাল ডাম্বুলায় দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে তিনি খেলতে পারেন, যদি টিম ম্যানেজমেন্ট তাঁকে উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলায়।

ঊরুতে জাকের চোট পেয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে। প্রথম টেস্টে সুযোগ পেয়ে রান পাননি, খেলেনি দ্বিতীয় টেস্টে। পুরোপুরি সুস্থ হয়ে না ওঠায় ১০ জুলাই ক্যান্ডির প্রথম টি-টোয়েন্টিতেও তিনি থাকেন দলের বাইরে।

বাংলাদেশ দলের একটি সূত্র গতকাল রাতে জানিয়েছে, দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে জাকের খেললেও চোট পুরোপুরি কাটিয়ে না ওঠায় উইকেটকিপিং ছাড়া অন্য কোনো ফিল্ডিং পজিশনে ফিল্ডিং করতে পারবেন না। ঊরুর চোট পুরোপুরি না সারায় দলের ফিজিও, ডাক্তারদেরই এই পরামর্শ। তবে ব্যাটসম্যানের পাশাপাশি উইকেটকিপার হিসেবে তিনি খেলতে পারবেন। এখন প্রশ্ন, আগামীকালের ম্যাচে জাকেরকে টিম ম্যানেজমেন্ট উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলাবে কি না।

জাকেরকে নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে আজ

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে টিম ম্যানেজমেন্টের এক সদস্য প্রথম আলোকে জানান, বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে আজ। তবে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে জাকেরের খেলার সম্ভাবনাই বেশি। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে উইকেটকিপিং করেছেন অধিনায়ক লিটন দাস।

সূত্র জানিয়েছে, প্রথম টি-টোয়েন্টিতেও উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলার ইচ্ছা ছিল জাকেরের। কিন্তু ফিজিও ট্রেনারদের পরামর্শে টিম ম্যানেজমেন্ট তাঁকে না খেলানোর সিদ্ধান্ত নেয়।

গত সংযুক্ত আরব আমিরাত ও পাকিস্তান সিরিজে ছয়টি টি-টোয়েন্টিতেই খেলেছিলেন জাকের। উল্লেখযোগ্য পারফরম্যান্স বলতে আমিরাতের বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টিতে ছয়ে নেমে ৩৪ বলে ৪১ রানের ইনিংস। পাকিস্তান সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে তাঁর ব্যাট থেকে আসে ২০ বলে ৩৬ রান, আর শেষ টি-টোয়েন্টিতে করেন ১৫ বলে অপরাজিত ১৫। শ্রীলঙ্কা সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ফিফটি করা ছাড়াও ভালো শুরু পেয়েছিলেন পরের দুই ম্যাচেই।

মোহাম্মদ নাঈম

শ্রীলঙ্কা সিরিজে ক্যান্ডির প্রথম টি-টোয়েন্টিতে প্রায় তিন বছর পর দলে ফিরেছেন মোহাম্মদ নাঈম। তিনি খেলেছেন চারে, ৫ ও ৬ নম্বরে ব্যাট করেছেন তাওহীদ হৃদয় ও মেহেদী হাসান মিরাজ। টোয়েন্টি–টোয়েন্টির মেজাজে ব্যাটিং করতে পারেননি তাঁদের কেউই।