এশিয়া কাপের প্রস্তুতির জন্য বাংলাদেশ দলে যোগ হয়েছেন আরও একজন বিশেষজ্ঞ কোচ। সেই বিশেষজ্ঞ পাওয়ার হিটিং কোচ জুলিয়ান উড কাল থেকেই কাজ শুরু করেছেন জাতীয় দলের সঙ্গে। ২৮ দিনের চুক্তি শেষে উড ৩ সেপ্টেম্বর চলে গেলেও মনোবিদ ডেভিড স্কটের সঙ্গে পথচলাটা লম্বাই হওয়ার কথা বাংলাদেশের। কবে আসবেন, সেই দিনক্ষণ ঠিক না হলেও আগামী মাসের এশিয়া কাপ পর্যন্ত দলের সঙ্গে থাকা চূড়ান্ত স্কটের।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে মনোবিদ নতুন কোনো ঘটনা নয়। ২০০৩ সালের বিশ্বকাপের আগে প্রথমবার এসেছিলেন এক অস্ট্রেলিয়ান মনোবিদ, এরপরও নানা সময়ে কাজ করেছেন দেশি-বিদেশি কয়েকজন। তাঁদের বেশির ভাগই ছিলেন স্বল্প সময়ের জন্য।
মনোবিদ হিসেবে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি সময় কাজ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার ফিল জনসি। ২০১৫-এর বিশ্বকাপ থেকে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত চারটি সিরিজে তিনি দলের সঙ্গে ছিলেন। এবার আবার স্থায়ী মনোবিদের পথে হাঁটতে যাচ্ছে বিসিবি। কিছুদিন আগে বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের সঙ্গে কাজ করা স্কটের সঙ্গে শুধু এশিয়া কাপ নয়, আগামী এক বছরের চুক্তি নিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে।
আপাতত এশিয়া কাপ পর্যন্ত স্কটের কাজের ধরন কেমন হবে, তা জানতে চাইলে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান নাজমূল আবেদীন কাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘মনোবিদ সব ক্রিকেটারের সঙ্গে আলাদাভাবে কাজ করবেন। মাঠে দেখবেন, মাঠের বাইরেও দেখবেন, কথা বলবেন। দলের অংশ হিসেবে থেকেই কাজ করবেন তিনি। প্রতিটি ধাপে ক্রিকেটাররা কী করে, সেটি যখন দেখবেন, তখন সেটা নিয়ে কাজ করারও সুযোগ থাকবে।’
ব্যক্তিগত খারাপ সময় অথবা দলের বাজে অবস্থায় মনোবিদের কাজটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। ক্রিকেটাররা তখন মানসিকভাবে অনেকটাই বিপর্যস্ত থাকেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যৌক্তিক–অযৌক্তিক নানা সমালোচনাও প্রভাব ফেলে অনেকের ওপর। এসব সামলাতেই দীর্ঘ মেয়াদে মনোবিদ নিয়োগ দেওয়ার চিন্তাটা এসেছে।
জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশারও মনে করেন, মনোবিদ আনলে লম্বা সময়ের জন্যই আনা উচিত। খেলোয়াড়ি জীবনে কয়েক দফায় মনোবিদের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। অল্প সময় থাকলে ব্যক্তিগত বিষয়গুলো বলার মতো বিশ্বাস অর্জন করা সম্ভব হয় না বলে মনে করেন হাবিবুল, ‘মনোবিদ আমাকে সমস্যা থেকে বের হওয়া শেখাবেন। তাঁরা অনেক ভালো ভালো জিনিস শিখিয়ে যান, কিন্তু যাওয়ার পর সবাই ভুলে যায়। এ জন্য মনোবিদ রাখলে লম্বা সময়ের জন্যই রাখা উচিত।’
এশিয়া কাপের আগের সময়টুকুকে শারীরিক ও মানসিক ধকল কাটিয়ে উঠে নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার বড় সুযোগ হিসেবে দেখছে বিসিবি। ১৮ আগস্ট পর্যন্ত ঢাকাতেই হবে ক্রিকেটারদের অনুশীলন। এরপর তাঁরা যাবেন সিলেটে। সেখানে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলার পর বাংলাদেশ দল দুবাইয়ে উড়াল দেবে এশিয়া কাপ খেলতে।