পাকিস্তান পেসার ইহসানউল্লাহ
পাকিস্তান পেসার ইহসানউল্লাহ

দল না পেয়ে ক্ষোভে চিরতরে পিএসএল বর্জনের ঘোষণা পাকিস্তানি ফাস্ট বোলারের

ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বোলিং করে আলোচনায় এসেছিলেন। ২০২৩ সালের পিএসএলে অবিশ্বাস্য এক মৌসুম কাটিয়ে ইহসানউল্লাহ জায়গা পান জাতীয় দলে। তবে সে বছরের এপ্রিলেই পড়েন চোটে। এরপর থেকেই ইহসানউল্লার দুনিয়া অন্যরকম!

ভুল চিকিৎসা, কাছের লোকদের দূরে সরে যাওয়া থেকে শুরু করে সর্বশেষ পিএসএলে কোনো দল না পাওয়া—এভাবেই চলছে তাঁর জীবন। কাল দল না পেয়ে রাগে ক্ষোভে পিএসএল থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন ২২ বছর বয়সী এই পেসার।

২০২৩ সালের পিএসএলে মুলতান সুলতানের হয়ে ইহসানউল্লাহ ১৪ ম্যাচে উইকেট পান ২৩ টি। বল করেন ১৫০ কিলোমিটার গতিতে। তাতে হুট করেই ২০২৩ সালের এপ্রিলে নিয়ে আসা হয় জাতীয় দলে। তবে চোট থেকে ফেরার পর তাঁকে নিয়ে আগ্রহ দেখাল না কোনো দল।

উইকেট পেয়ে এভাবেই উদ্‌যাপন করতেন ইহসানউল্লাহ

এতেই অভিমান করে পিএসএল থেকে চিরতরে দূরে থাকার সিদ্ধান্ত ইহসানউল্লাহর, ‘আমি পিএসএলকে বয়কট করছি, অবসর নিচ্ছি। আমাকে কোনো দিন পিএসএল খেলতে দেখবেন না। আমি আর কোনো দিন ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলব না। আমি পুরোপুরি এটা বয়কট করছি, অবসর নিচ্ছি। ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্ম করে পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করতে চাই, পিএসএল খেলে না।’

ইহসানউল্লাহ চোট পান নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেকে। এরপর ওঠে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ। ইহসানউল্লাহর কনুইয়ের হাড়ে যে চিড় আছে, পিসিবির করানো স্ক্যানে শুরুতে নাকি সেটি ধরাই পড়েনি। পিএসএলে এ পেসার যে দলে খেলেছেন, সেই মুলতান সুলতানসের মালিক আলী তারিন ইএসপিএনক্রিকইনফোর কাছে এমন অভিযোগ করেন। কনুইয়ের ওই চিড় নিয়েই ইহসানউল্লাহ নাকি জিম করেছেন, এমনকি সে সময় বোলিংও করেছেন।

চোট কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত ইহসানউল্লাহ ফেরেন গত মাসে। চ্যাম্পিয়নস টি-টোয়েন্টি কাপে ৪ ম্যাচে উইকেট নেন ২টি। বোলিংয়ে আগের মতো গতি ছিল না।

আমি পিএসএলকে বয়কট করছি, অবসর নিচ্ছি। আমাকে কোনো দিন পিএসএল খেলতে দেখবেন না। আমি আর কোনো দিন ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলব না।
ইহসানউল্লাহ

ইহসানউল্লাহর এমন ফেরার পর মুলতান সুলতানসের সেই মালিক আলী তারিনকেই আর পাশে পাননি ইহসানউল্লাহ। মুলতান সুলতানসের মালিক বলেছিলেন, ইহসানউল্লাহ নাকি আর কোনো দিন আগের গতিতে বোলিং করতে পারবেন না।

আসলে এটা শুধু মুলতান সুলতানসের নয়, সব ফ্র্যাঞ্চাইজিরই ধারণা। সে কারণেই তাকে দলে নেয়নি কোনো দল! যা মেনে নিতে পারেননি ইহসানউল্লাহ।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেছেন এভাবে, ‘আমার সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করেনি। দুনিয়াটাই স্বার্থপর। যখন কেউ অন্য কাউকে পেয়ে যায়, তারা তার সঙ্গে থাকে। সে (আলী তারিন) আমার পারফরম্যান্স ও প্রতিভার পাশে ছিল। আপনি যদি পারফর্ম করেন, এসব ফ্র্যাঞ্চাইজি আপনার পেছনে ছুটবে। আমি ১৫০-১৬০ কিলোমিটার গতিতে বোলিং করব। যারা বলেছেন আমি ১৩০-১৩৫ কিলোমিটার গতিতে বোলিং করার মতো বোলার, এক দেড় মাসের মধ্যে দেখিয়ে দেব আমি ওই বোলার নই যে পিএসএল ৮ (২০২৩) এ খেলেছিল আর চোটে পড়েছিল। আমি এর চেয়ে আরও ভালো বোলার হব।’