লিটন শিশিরের ওপর হারের দায় চাপালেও বাংলাদেশের বোলিংটা একদমই আশানুরূপ হয়নি
লিটন শিশিরের ওপর হারের দায় চাপালেও বাংলাদেশের বোলিংটা একদমই আশানুরূপ হয়নি

হারের দায় শিশিরকে দিলেন লিটন

বাংলাদেশ শুরুতে ব্যাট করে পেয়েছিল ২০৫ রানের সংগ্রহ। যেকোনো পরিস্থিতিতেই ভালো রান। কিন্তু এই সংগ্রহ নিয়েও শেষ পর্যন্ত অবিশ্বাস্যভাবে ম্যাচ হারতে হয়েছে তাদের। শারজায় আজ রান তাড়ায় সংযুক্ত আরব আমিরাত এক বল হাতে রেখে জয় পেয়েছে ২ উইকেটে।

যে কোনো সংস্করণের ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো আমিরাতের বিপক্ষে হারল বাংলাদেশ। আর আমিরাতের এটা টেস্ট খেলুড়ে চতুর্থ দেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি জয়। এত রান তাড়া করে এর আগে কখনো কোনো টেস্ট খেলুড়ে দলকে হারায়নি সহযোগী কোনো সদস্য দেশ। এই হার মেনে নেওয়া স্বাভাবিকভাবেই কঠিন যেকোনো অধিনায়কের জন্য, লিটন দাসও ব্যতিক্রম নন।

ম্যাচের পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অবশ্য তাঁর কথায় হারের একটা কারণও খুঁজে পাওয়া গেল, ‘আমরা ভালো ব্যাট করেছি, উইকেট ভালো ছিল। কিন্তু আমার মনে হয়েছে যখন তারা ব্যাট করেছে, শিশিরের সুবিধা পেয়েছে। তবুও আমরা চেষ্টা করেছি।’

এই হার থেকে কী শিখলেন জানতে চাওয়া হলে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেছেন, ‘আপনাকে বুঝতে হবে যখন এই ধরনের মাঠে খেলবেন, যা দেখে ছোট মনে হয়, শিশির একটা বড় ফ্যাক্টর- আপনি যখন বল করবেন, তখন হিসাব কষতে হবে।

এ ম্যাচ দিয়েই টি-টোয়েন্টি সংস্করণে অভিষেক হয়েছে পেসার নাহিদ রানার। তবে টি-টোয়েন্টি অভিষেকটা একদমই ভালো হয়নি তাঁর। ৪ ওভারে ২ উইকেট নিলেও দিয়ে ফেলেছেন ৫০ রান। ম্যাচশেষে তাঁকে নিয়ে লিটন বলেছেন, ‘আমরা তার কাছে আরও বেশি কিছু প্রত্যাশা করেছি। তবে ক্রিকেটারের ভালো ও খারাপ দিন যেতেই পারে।’

আরব আমিরাতের জয়ে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিয়েছেন দলটির অধিনায়ক মুহাম্মদ ওয়াসিম। ৪২ বলে ৮২ রান এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। উদ্বোধনী জুটিতে মুহাম্মদ জুহাইবকে নিয়ে তাঁর ১০৭ রান আমিরাতের জয়ের ভিত গড়ে দেয়।

দারুণ এই জয়ের পর ওয়াসিম নিজের অনুভূতি জানাতে গিয়ে আবেগাপ্লুত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার বলার মতো ভাষা নেই। বাংলাদেশকে হারাতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত। দল যে যে পারফরম্যান্স করেছে, তাতেও। আমি সবাইকে আশা দেখিয়েছে এই রান তাড়া করতে পারব, কারণ আমরা কন্ডিশনটা জানি।’