বাংলাদেশ সবচেয়ে ভালো খেলে ৫০ ওভারের ক্রিকেট। এক বছর আগেও এ দাবির সঙ্গে দ্বিমত করার কোনো উপায় ছিল না। কিন্তু বদলে গেছে দিন, সর্বশেষ ১২ মাসে ওয়ানডে সংস্করণে বাংলাদেশ ডাহা ফেল বলাই যায়। ফেবারিট সংস্করণে এ সময়ে আটটি ম্যাচ খেলে সাতটিতেই হেরেছে বাংলাদেশ। একমাত্র জয়টি আফগানিস্তানের বিপক্ষে।
মাঠে খারাপ করার প্রভাব পড়েছে আইসিসির ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়েও। সংযুক্ত আরব আমিরাতে গত নভেম্বরের আফগানদের কাছে সিরিজ হারের পর বাংলাদেশ নেমে যায় র্যাঙ্কিংয়ে ৯ নম্বরে। আজ আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ের বার্ষিক হালনাগাদ করার পর বাংলাদেশ নেমে গেছে দশে!
এবারের আগে ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ সর্বশেষ কবে ১০ নম্বরে ছিল, মনে করতে পারেন? যদি মনে করতে পারেন, আপনি অবশ্যই দুর্দান্ত স্মৃতিশক্তির অধিকারী। কম তো নয়, আজকের আগে সর্বশেষ ২০০৬ সালে ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে দশে ছিল বাংলাদেশ। সে বছরের ১৬ অক্টোবর প্রথমবার আইসিসি ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের ৯ নম্বরে উঠেছিল বাংলাদেশ। ১৯ বছর পর বাংলাদেশ আবার ফিরল পুরোনো অবস্থানে।
২০০৫ সালে কার্ডিফে অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর আগে বাংলাদেশ ছিল ওয়ানডেতে ১১ নম্বর দল। সে সময় কেনিয়াও ওপরে ছিল বাংলাদেশের। ২০০৫ সালের আগস্টে প্রথমবার কেনিয়াকে টপকে ১০ নম্বরে ওঠে বাংলাদেশ। ২০০৬ সালের অক্টোবরে জিম্বাবুয়েকেও টপকে নয়ে ওঠে বাংলাদেশ।
সেই বাংলাদেশ ২০১৫ সালে বিশ্বকাপে ভালোর করার পর পাকিস্তান, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টানা তিনটি সিরিজ জিতে উঠে আসে ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের সাতে। দুই বছর পর ২০১৭ সালে মে মাসে বাংলাদেশ ওঠে ৬ নম্বরে। ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে যা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ অবস্থান। ২০২২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে হারানোর পর আবারও ছয়ে উঠেছিল বাংলাদেশ। এরপর সময়ের সঙ্গে শুধু অবনমনই হয়েছে।
সর্বশেষ র্যাঙ্কিংয়ে ৭৬ পয়েন্ট বাংলাদেশের। বার্ষিক হালনাগাদের আগে বাংলাদেশের পয়েন্ট ছিল ৮০। বাংলাদেশকে টপকে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে সবার ওপরে ভারত। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিজয়ী দলটির পয়েন্ট ১২৪। সমান ১০৯ পয়েন্ট পেলেও ভগ্নাংশের হিসাবে নিউজিল্যান্ড দুইয়ে ও অস্ট্রেলিয়া তিনে।
সর্বশেষ র্যাঙ্কিংয়ে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ আছে আগের মতোই ৯ নম্বরে। টেস্টেও বাংলাদেশ আছে ৯ নম্বরে।
বার্ষিক হালনাগাদ র্যাঙ্কিংয়ে ২০২৪ সালের মে মাস এখন পর্যন্ত হওয়া সব ম্যাচের ফলের গুরুত্ব ১০০ ভাগ ধরা হয়েছে। এর আগের দুই বছরের ম্যাচগুলোর ফলের গুরুত্ব কমে হয়েছে শতকরা ৫০ ভাগ। যার অর্থ সাম্প্রতিক সময়ে যারা ভালো করেছে, তাদের পয়েন্ট বেশি বেড়েছে। আর যারা খারাপ করেছে, তারা বেশি পয়েন্ট হারিয়েছে। বাংলাদেশ ওয়ানডে র্যাঙ্কিং পড়ে গেছে সাম্প্রতিক বাজে ফলের কারণেই।