Thank you for trying Sticky AMP!!

দারুণ একটি মাইলফলকের দেখা পেলেন মোস্তাফিজ

১০০ উইকেট পেয়ে ফিল্ডারদের ধন্যবাদ মোস্তাফিজের

অ্যালান ডোনাল্ডের হাত থেকে স্মারকটা নিয়েছেন মুখে সেই চেনা হাসি টেনে। সঙ্গে সতীর্থ, কোচদের হাততালি, হইচই তো আছেই। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১০০ উইকেটের স্মারকটা হাতে নিয়েই মোস্তাফিজুর রহমান সবার উদ্দেশে বললেন, ‘আমার এই ১০০ উইকেটের জন্য সবচেয়ে বেশি অবদান যারা আমার ক্যাচগুলো ধরেছে।’

দৃশ্যটা গতকাল রাতে বাংলাদেশ দলের ড্রেসিংরুমের। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে ডেভিড ম্যালানের উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় বাংলাদেশি বোলার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে ১০০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন মোস্তাফিজ। এর আগে সাকিব আল হাসান টি-টোয়েন্টিতে ১০০ উইকেট নিয়েছেন।

Also Read: সাকিবদের হাতে ধবলধোলাই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড

মোস্তাফিজের ১০০ উইকেটের ৬৭টিই ক্যাচ! বোল্ড ২৬টি ও এলবিডব্লু ৭টি। সে কারণেই স্মারকটি পেয়ে মোস্তাফিজ প্রথমেই ধন্যবাদ দিলেন তাঁর সতীর্থদের, যাঁরা তাঁর বোলিংয়ে ক্যাচ ধরেছেন। মোস্তাফিজের এই অর্জনটা এল দারুণ এক মুহূর্তে। সাদা বলের ক্রিকেটে যখন সেই চেনা মোস্তাফিজের ফেরার অপেক্ষায় ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট, ঠিক তখনই।

এক বছর ধরেই নিজের সেরা ছন্দে ছিলেন না বাঁহাতি এই পেসার

এক বছর ধরেই নিজের সেরা ছন্দে ছিলেন না বাঁহাতি এই পেসার। ওয়ানডে ক্রিকেটে গত এক বছরে তাঁর মতো এত ওভার (১০০.২) বোলিং করে এত কম ইকোনমি রেট (৪.৬১) নেই বাংলাদেশের আর কোনো বোলারের।

Also Read: বাংলাদেশকে ‘শক্তিশালী’ বললেও ধবলধোলাই ‘ভালোই পোড়াচ্ছে’ ইংল্যান্ড কোচকে

কিন্তু মোস্তাফিজ মানেই তো শুধু রান আটকে রাখা নয়। তিনি উইকেট এনে দেবেন, স্বাভাবিকভাবেই দলের প্রত্যাশা এমন। মোস্তাফিজ সাম্প্রতিক সময়ে ব্যর্থ সেখানেই। সর্বশেষ এক বছরে ১৩ ইনিংসে বোলিং করেছেন, পেয়েছেন ১০ উইকেট। তবে এর মধ্যে ৫টিই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পরপর দুই ম্যাচে।

টি-টোয়েন্টিতেও একই চিত্র। ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত মোস্তাফিজ ২০ ম্যাচ খেলে ১৯ ইনিংসে বল করেছেন। উইকেট নিয়েছেন ১৪টি, ইকনোমি ৭.২৯।

কিন্তু কাল ইংল্যান্ডকে ধবলধোলাইয়ের ম্যাচে মোস্তাফিজই ছিলেন দলের সবচেয়ে মিতব্যয়ী বোলার। ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে তাঁর শিকার ১ উইকেট। বোলিংয়েও ছিল পুরোনো ব্যাপারগুলো। কাটারগুলো হাত থেকে বের হচ্ছিল দারুণভাবে। উইকেটে পড়ে লাফিয়ে উঠছিল। সেই বোলিংয়ে ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের প্রতিক্রিয়া দেখে মনে হচ্ছিল, ছন্দে ফিরছেন মোস্তাফিজ।

ইংল্যান্ডকে ধবলধোলাইয়ের ম্যাচে মোস্তাফিজই ছিলেন দলের সবচেয়ে মিতব্যয়ী বোলার

Also Read: বাংলাদেশ দলই এখন ফিল্ডিংয়ে এশিয়ার সেরা।—সাকিব আল হাসানের এই দাবির সঙ্গে আপনি কি একমত?

সঙ্গে কুড়ি ওভারের খেলায় ১০০ উইকেটের অর্জন নিশ্চয়ই মোস্তাফিজকে আরও স্বস্তি দেবে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১০০ উইকেট পাওয়া মাত্র ৬ষ্ঠ বোলার তিনি। এ তালিকায় সবার ওপরের নামটা নিউজিল্যান্ডের টিম সাউদির (১৩৪ উইকেট)। সাকিব আছেন ২ নম্বরে। মোস্তাফিজ ও সাকিবের মাঝে আছেন আফগানিস্তানের রশিদ খান (১২৬), নিউজিল্যান্ডের ইশ সোধি (১১৪) ও শ্রীলঙ্কার লাসিথ মালিঙ্গা (১০৭)।