Thank you for trying Sticky AMP!!

২০২৪ সালে নতুন চেহারায় দেখা যেতে পারে বাংলাদেশ দলকে

২০২৪ সালে বাংলাদেশের ক্রিকেট কি পাবে নতুন চেহারা

নতুন বছর নতুন কিছুর আশা নিয়ে শুরু করাটাই নিয়ম। নতুন কিছু বলতে ভালো কিছু। তবে আশার ভিত বাস্তব হওয়া খুব জরুরি। নয়তো বছর শেষে বিয়োগফলটা হয়ে যেতে পারে অনেক বড়।

শুরুতেই বিয়োগ অঙ্ক দিয়ে দেওয়া ২০২৪ নিয়ে নৈরাশ্য ছড়ানোর উদ্দেশ্যে নয়। আসলে বিয়োগ না হলে তো যোগও হয় না। নতুন বছরে নতুন কিছু এমনিতেই আসতে পারে। তবে খেলাধুলায় শূন্যস্থান পূরণের ব্যাপার থাকে বলে যেকোনো বিয়োগই নতুন কিছু যোগেরও আশা। সেই নতুনে থাকতে পারে ভালো কিছুর আলো। যোগ–বিয়োগের খেলায় শেষটা ভালো হলে বর্ষবিদায়ের রাগিনীতেও থাকে পূর্ণতার আনন্দ।

Also Read: টেস্টে এ বছর যেখানে অস্ট্রেলিয়া–ভারত–পাকিস্তানের ওপরে বাংলাদেশ

আজ ২০২৪ সালের প্রথম দিন, ১ জানুয়ারিতে বাজি ধরে একটা কথা বলে দেওয়া যায়—২০২৪ সালে বাংলাদেশের ক্রিকেট অনেক বিয়োগ দেখবে এবং সেই বিয়োগের হাত ধরে যোগও দেখবে অনেক। বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য সত্যিকার অর্থেই বছরটা হতে যাচ্ছে নতুন অনেক কিছু দেখার বারোমাসি এক সফর

খেলার কথা যদি বলেন, সেখানে অবশ্য এখন পর্যন্ত নতুনত্বের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। বছরটা টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বলে যথারীতি ২০ ওভারের ক্রিকেটই বেশি খেলা হবে। জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠেয় টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ছাড়াই এ বছর বাংলাদেশ দল টি–টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে অন্তত ১৭টি। দেশে–বিদেশে মিলিয়ে টেস্ট ম্যাচও কম নেই, ১৪টি। ওয়ানডে খেলবে সবচেয়ে কম—৯টি।

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের বড় মুখ এখন মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাজমুল হোসেন

টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বছরে অন্যান্য দলের মতো বাংলাদেশ দলও ২০ ওভারের ক্রিকেটকে ঘিরেই আবর্তিত হবে বেশি। শুরুটা হবে বিপিএল দিয়ে। অনেক বছর পর তারকাদীপ্তিতে আবারও জ্বলে উঠবে দেশের একমাত্র টি–টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট।

বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মানেই যেহেতু শেষ পর্যন্ত আশায় গুড়ে বালি, এ নিয়ে এখনই উচ্চবাচ্য না করা ভালো। তার চেয়ে বরং ২০২৩ সালে বাংলাদেশ যে লক্ষ্যটাকে পাখির চোখ করেছিল, বিদেশের মাটিতে ম্যাচ জেতা; সেটিকেই নতুন বছরে আরও বেশি করে তিন সংস্করণে ছড়িয়ে দেওয়া যাক। সদ্য সমাপ্ত সিরিজে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টিতে প্রথম জয় পেয়েছে বাংলাদেশ দল। ২০২৪ সালে এই ধারা অব্যাহত থাকলে ক্রিকেট মানচিত্রের দেশে দেশে নিশ্চয়ই লাল–সবুজের বিজয়কেতন আরও উড়বে।

Also Read: ২০২৪–এ শুধু খেলা আর খেলা

তো সেই বিজয়কেতন ওড়াবেন কারা? ঠিক এ প্রশ্নেই এসে যাচ্ছে যোগ–বিয়োগের খেলা। ২০২৩ সালজুড়েই বাংলাদেশের ক্রিকেট কিছু ইঙ্গিত দিয়ে গেছে, পরিবর্তনের ইঙ্গিত। গত ১৫টি বছর যেসব মুখের দিকে তাকিয়ে এ দেশের ক্রিকেট স্বপ্ন দেখার সাহস পেয়েছে, যাঁরা অনেক স্বপ্ন পূরণ করে দিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে নতুন দিনে এনেছেন; মাত্র এক দিন আগে গত হওয়া বছরটিতে আমরা একটু একটু করে তাঁদের ক্যারিয়ারের দিগন্ত দেখতে পেয়েছি। ২০২৪ তাঁদের অনেকের খেলোয়াড়ি জীবনের জন্যই হয়ে উঠতে পারে সেই দিগন্তে ডুব দেওয়ার বছর।

মাহমুদউল্লাহ টেস্ট খেলা ছেড়ে দিয়েছেন। ২০২২ বিশ্বকাপ ওয়ানডেতে তাঁকে নতুন জীবন দিলেও টি–টোয়েন্টিতে তিনি ব্রাত্য। আর ওয়ানডের নতুন জীবনটাও কত দূর টেনে নিতে পারেন, তা দেখার বিষয়। টি–টোয়েন্টিকে বিদায় বলা মুশফিকুর রহিম ওয়ানডে, টেস্টে এখনো আছেন। কিন্তু বছরটাই যেহেতু টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে হইচইয়ের; অন্য দুই সংস্করণে খুব ভালো কিছু করতে না পারলে এ বছর তিনি নিজেই হয়তো নীরবে তাঁর ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতে শুরু করবেন।

সাকিব এখনো তিন সংস্করণেই বাংলাদেশ দলের ‘অফিশিয়াল’ অধিনায়ক

তামিম ইকবাল তো গত বছরই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে ইস্তফা দিয়ে দিয়েছিলেন। বছরের সবচেয়ে নাটকীয় সেই ঘটনা অবশ্য শেষ হয়েছে এক দিনের মধ্যে তাঁর সিদ্ধান্ত বদলের মধ্য দিয়ে। কিন্তু সিদ্ধান্ত বদলালেও চোট এবং চোটপরবর্তী পুনর্বাসনপ্রক্রিয়ার মধ্যে থাকায় জুলাইয়ের অবসর নাটকের পর এখন পর্যন্ত তামিম কেবল ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি ওয়ানডেই খেলেছেন, যার একটি আবার শেষ হতে পারেনি বৃষ্টির কারণে।

Also Read: নিউজিল্যান্ড সফর কেমন হলো—হাথুরুসিংহে বলছেন ‘সফল’

এরপর বিশ্বকাপের দল থেকে তাঁর বাদ পড়া জন্ম দিয়েছে নতুন নাটকের, যার শেষ দৃশ্য এখনো দেখতে বাকি। এই জানুয়ারি মাসেই তামিম নিজের ভবিষ্যতের ব্যাপারে জানাবেন বলে কথা আছে। ক্রিকেটাঙ্গনের অনুমান, সেই ‘ভবিষ্যৎ’ হতে পারে আর কোনো নাটকের অবকাশ না রেখে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে চূড়ান্তভাবেই বিদায় বলে দেওয়া। অথবা টি–টোয়েন্টির পর হয়তো অন্য কোনো সংস্করণেও তাঁর না খেলার সিদ্ধান্ত জানানো।

বাকি রইলেন সাকিব আল হাসান, যিনি এই মুহূর্ত পর্যন্ত তিন সংস্করণেই বাংলাদেশ দলের ‘অফিশিয়াল’ অধিনায়ক। অবশ্য এই পরিচয় দেওয়ার চেয়ে বলা ভালো, যিনি এই মুহূর্তে মাগুরা–১ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত।

তামিম, মাহমুদউল্লাহ, মুশফিকদের খেলোয়াড়ি জীবনের পরবর্তী জীবন কী হবে, সেটা এখনো অজানা থাকলেও সাকিব ২০২৩ সালেই পরিষ্কার করে দিয়েছেন যে তাঁর পরের মাঠটা রাজনীতির। বিশ্বকাপে পাওয়া আঙুলের চোট আর নির্বাচন মিলিয়ে এই মুহূর্তে তিনি ক্রিকেট থেকে দূরে। তবে নির্বাচনের পরপর বিপিএল দিয়েই যে সাকিব মাঠে ফিরবেন, তাতে অনিশ্চয়তা নেই কোনো। প্রশ্ন হলো, এই ফেরাকে সাকিব কত দূর টেনে নিয়ে যাবেন? ২০২৪ সাল নিশ্চিতভাবেই দৃশ্যপটে ভাসিয়ে তুলবে ক্যালেন্ডারের সেই পাতাও।

নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে তামিম এই জানুয়ারি মাসেই সিদ্ধান্ত জানাতে পারেন

নিজের ক্রিকেট ক্যারিয়ারের ভবিষ্যৎ নিয়ে সাকিব এরই মধ্যে একটা আভাস দিয়েছেন। সেই ভবিষ্যতের সীমা ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পর্যন্ত। পরে আবার প্রথম আলোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনও বলেছেন, মাঠের পারফরম্যান্স সন্তোষজনক না হলে যেমন তার আগেও কিছু ঘটে যেতে পারে, তেমনি ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও ভালো খেললে কেন ক্যারিয়ারটা আরও বেশি দূর যাবে না! সব মিলিয়ে বছরখানেক আগে এক ব্যক্তিগত আড্ডায় বলা সাকিবের কথাটাই কানে বাজে, ‘আমি কখনো ক্রিকেট থেকে আনুষ্ঠানিক অবসর নেব না। খারাপ খেলতে থাকলে নির্বাচকেরাই আমাকে বাদ দেবেন। ভালো খেলতে থাকলে তো খেলবই…।’

Also Read: আক্ষেপের পর বাংলাদেশ ও শরীফুলের স্মরণীয় সিরিজ

নির্বাচকদের প্রসঙ্গ যখন এলই, ফাঁকে একটা কথা বলে রাখা ভালো। নতুন বছরে বাংলাদেশের ক্রিকেট পেতে যাচ্ছে নতুন নির্বাচক কমিটিও। স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হিসেবে এমনিতেই এটাকে বিশেষ দ্রষ্টব্য হিসেবে উল্লেখ করার কিছু নেই। কিন্তু প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন ও নির্বাচক হাবিবুল বাশার সেই ২০১২ সাল থেকেই নির্বাচক কমিটিতে আছেন বলে এই পরিবর্তনও বড় একটা ঘটনা হবে। সামনের বছরগুলোয় এ দুজনকে হয়তো বাংলাদেশের ক্রিকেটে নতুন কোনো ভূমিকায় দেখা যাবে। অন্য নির্বাচক আবদুর রাজ্জাককে রেখে পুনর্গঠিত হবে নির্বাচক কমিটি।

এ বছর পরিবর্তন আসবে নির্বাচক কমিটিতেও

একটু আগে যে প্রশ্ন করা হলো, ২০২৪ সালে বাংলাদেশের বিজয়কেতন ওড়াবেন কারা, সেটি ঠিক হবে নবগঠিত নির্বাচক কমিটির টেবিলেই। এটুকু পড়ে ভাববেন না যে এই লেখা সাকিব–তামিম–মুশফিক–মাহমুদউল্লাহদের এপিটাফ। তারুণ্যের আবির্ভাবের মধ্যেই এখনো বাংলাদেশের ক্রিকেটের বড় নাম তাঁরাই। এখনো তাঁদের ব্যাটে–বলে নির্ভরতা খোঁজে বাংলাদেশ। সেই নির্ভরতার প্রতিদানও তাঁরা কমবেশি দেন। কিন্তু তাঁদের প্রত্যেকেরই বয়স ৩৫–৩৬ হয়ে গেছে, পারফরম্যান্সেও ভাটা আছে কারও কারও।

মুশফিকুর রহিম ওয়ানডে ও টেস্ট এখনো খেলছেন

ওদিকে তরুণেরাও উঠে আসছেন। ২০২০ অনূর্ধ্ব–১৯ বিশ্বকাপ জেতানো পাঁচ–ছয়জন ক্রিকেটারের জাতীয় দলে অভিষেক হয়ে গেছে। সঙ্গে নাজমুল হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, লিটন দাস, মোস্তাফিজুর রহমানরা মিলে জাতীয় দলে এখন অনেক ভিড়। হাতে যখন বেছে নেওয়ার মতো এ রকম অনেকেই থাকেন, তখন ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বয়স আর ফিটনেস ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায় বৈকি। সঙ্গে পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা ধরে রাখার ব্যাপার তো আছেই।

কাজেই জ্যেষ্ঠ চতুষ্টয় খেলা চালিয়ে গেলেও এটা নিশ্চিত যে তাঁরা এখন আর সব সংস্করণের ক্রিকেটে খেলবেন না। সব ম্যাচে খেলবেন না। জাতীয় দল বললে এত দিন যেমন সাকিব–তামিম–মুশফিক–মাহমুদউল্লাহদের মুখগুলো ভেসে উঠত, ২০২৪ সালে সেসব জায়গায় খুঁজতে হবে নতুন মুখ। আস্তে আস্তে বাংলাদেশের ক্রিকেটের চেহারাটা তা্দই লে যাওয়াই স্বাভাবিক।

নতুন মুখ খুব বেশি যে খুঁজতে হবে, তা–ও নয় অবশ্য। কিছু মুখ তো এরই মধ্যে দৃশ্যমান। নিউজিল্যান্ড সিরিজে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেওয়া নাজমুল হোসেন থাকবেন সর্বাগ্রে। কী ব্যাটিংয়ে, কী নেতৃত্বে—নিজের সর্বোচ্চ সম্ভাবনা এরই মধ্যে তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন। বিসিবি যদিও এখনো বলছে, তিন সংস্করণে সাকিবই এখনো তাদের অধিনায়ক; বিষয়টা আসলে নির্ভর করছে রাজনীতিতে নাম লেখানো সাকিবের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার ওপর। তিনি কি আর অধিনায়কত্ব করবেন? করলে সব সংস্করণে করবেন? সব সংস্করণে খেলবেন তো?

অলরাউন্ডার সাকিবের মধ্যে এখনো দেওয়ার মতো অনেক কিছু থাকলেও একজন ক্রিকেটারের ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে যা যা প্রশ্ন উঠতে পারে, সবই কিন্তু আছে সাকিবকে ঘিরেও। হয়তো সেসবের কারণ এখন পর্যন্ত ফর্ম নয়, সাকিবের অন্য ব্যস্ততাই মূখ্য। কারণ যেটাই হোক, ২০২৪ সালে বাংলাদেশের ক্রিকেট সাকিবকেও হয়তো পাবে খণ্ডিতভাবে। সেটা নাহয় একজন খেলোয়াড় হিসেবে ঠিক আছে, কিন্তু অধিনায়কত্বটা তো আর সব সময় ভারপ্রাপ্ত দিয়ে চলে না। নেতৃত্ব বরং সব সময়ই দীর্ঘ মেয়াদ দাবি করে। বিসিবি সে পথে গেলে সবার আগে আসবে নাজমুলের নামটাই।

দীর্ঘমেয়াদের অধিনায়ক হিসেবে নাজমুলের নামটাই সবার আগে আসবে

তো তখন নতুন অধিনায়কের পারিষদে কারা থাকবেন? মাশরাফি বিন মুর্তজার যেমন ছিলেন সাকিব, তামিম, মাহমুদউল্লাহ, মুশফিকরা; সাকিব–তামিমও নেতৃত্ব দিয়েছেন প্রায় একই পারিষদ নিয়ে; নতুন অধিনায়কের সঙ্গে থাকবেন কারা? বা অধিনায়কত্বের প্রসঙ্গ বাদই দিন। জাতীয় দলে অভিজ্ঞদের যেহেতু কখনো পাওয়া যাবে, কখনো পাওয়া যাবে না, প্রশ্ন তো আসেই—কারা নেবেন সেই সব জায়গা? বাংলাদেশ দল কাদের দিকে তাকিয়ে স্বপ্ন দেখবে পরের ধাপে যাওয়ার?

তাসকিন আহমেদ, মেহেদী হাসান মিরাজরা মাশরাফি–সাকিব–তামিমদের পারিষদেও ছিলেন। আগামীতে তাঁদের কাছে আরও বড় তারকা হয়ে ওঠার প্রত্যাশা থাকবে। সব সংস্করণ মিলিয়ে বললে মুমিনুল হক, মোস্তাফিজুর রহমান, লিটন দাস, আফিফ হোসেন, তৌহিদ হৃদয়, মাহমুদুল হাসানদের ঘিরেও আশার প্রদীপ জ্বলবে।

শরীফুল ইসলামের জন্য নিউজিল্যান্ড সফরটা তাঁর ক্যারিয়ারে সত্যিকার বাঁকবদলের সূচনা হতে পারে। তরুণদের মধ্যে তানজিম সাকিব, তানজিদ তামিমদের পর এসেছেন রিশাদ হোসেন। এসব মুখ পাশাপাশি রাখলে বাংলাদেশ দলের ভবিষ্যৎ চেহারা কিছুটা হলেও অনুমান করা যায়। এদের মধ্যে টিকে থাকা আর নির্ভরতার পরীক্ষায় যাঁরা ‘জিপিএ–৫’ পেয়ে উত্তীর্ণ হবেন, আগামী দিনের সাকিব–তামিম–মুশফিক–মাহমুদউল্লাহ হয়ে উঠবেন তাঁরাই। আবার এখনো দৃশ্যপটে আসেননি, তেমন কেউও সামনে এসে যেতে পারেন সবাইকে চমকে দিয়ে। ২০২৪ হবে তাঁদেরই পাওয়ার বছর, নির্ভরতার নতুন মুখ খুঁজে নেওয়ার বছর, যাঁরা হয়তো আরও কিছুদিন সাকিব–মুশফিকদের ছায়ায় থেকেই চেনাবেন নিজেদের।

পেসার শরীফুল ইসলামের জন্য নিউজিল্যান্ড সফরটা হতে পারে বাঁকবদলের শুরু

জাতীয় দলের যে অবয়ব আমরা গত ১৪–১৫ বছরে দেখছি, ২০২৪ হতে পারে সেটায় পরিবর্তন দেখার বছর। বাংলাদেশ দল নিয়ে দেড়-দুই বছর ধরে পাওয়া আভাস, ইঙ্গিত আর সম্ভাবনাগুলো হয়তো বাস্তব হয়ে উঠবে এবার। তবে তাতে বাংলাদেশের ক্রিকেটের ভালো হবে নাকি খারাপ, তা এখনই বলা যাবে না। আলোচনাটা বরং তোলা থাক ২০২৪ সালের সালতামামির জন্য।