Thank you for trying Sticky AMP!!

প্রথম সেশনে ১০ ওভার ব্যাট করে উইকেট দেননি দুই ওপেনার মাহমুদুল ও জাকির

নতুন বলের পরীক্ষায় উতরে গেলেন জাকির-মাহমুদুল

সিলেট টেস্টে আজ তৃতীয় দিনে বাংলাদেশ দলের প্রথম কাজ ছিল নিউজিল্যান্ডকে দ্রুত অলআউট করা। সেটি হয়নি। আগের দিনের ৮ উইকেটে ২৬৬ রানকে নিউজিল্যান্ডের নিচের সারির দুই ব্যাটসম্যান কাইল জেমিসন ও টিম সাউদি মিলে ৩১৭ রানে নিয়ে যান। দিনের প্রথম সেশনে যখন ৪০ মিনিট বাকি, তখন মুমিনুল হকের জোড়া আঘাতে ৭ রানের লিড নিয়ে অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড।

Also Read: মুমিনুলের জোড়া আঘাত, নিউজিল্যান্ডের ৭ রানের লিড

এরপর বাংলাদেশ দলের করণীয় ছিল প্রথম সেশনে বাকি সময়ে কোনো উইকেট না হারানো। সেটি বাংলাদেশ দলের দুই ওপেনার জাকির হাসান ও মাহমুদুল হাসান সাফল্যের সঙ্গে করতে পেরেছেন। প্রথম সেশন শেষে বাংলাদেশ দলের রান ১০ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১৯। লিড ১২ রানের।

৫ রানে অপরাজিত মাহমুদুল

জাকির অপরাজিত আছেন ১২ রানে। মাহমুদুল খেলছেন ৫ রানে। দুজনই নিউজিল্যান্ডের দুই নতুন বল বোলার জেমিসন ও সাউদিকে দেখেশুনে খেলেছেন। অফ স্টাম্পের বাইরের বল ছেড়েছেন। জেমিসন অবশ্য লাইন-লেংথের সঙ্গে বাউন্সারেও দুই বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানের পরীক্ষা নিয়েছেন। শর্ট লেগে ফিল্ডার রেখে শরীর তাক করা বোলিং করেছেন। ছেড়ে ছেড়ে খেলে সে সময়টা পার করেছেন দুজনই। নিউজিল্যান্ড তৃতীয় বোলার হিসেবে বাঁহাতি স্পিনার এজাজ প্যাটেলকে বোলিংয়ে এসেছেন। প্রথম সেশনে তিনি ৩ ওভার বল করে উইকেটশূন্য ছিলেন।

Also Read: বাংলাদেশ স্পিনাররা ‘অনেক শিক্ষা’ দিয়েছেন উইলিয়ামসনদের

নিউজিল্যান্ডের মতো বাংলাদেশ দলের বোলাররাও আজ সকালে নতুন বল কাজে লাগাতে পারেননি। তাইজুল ও মিরাজকে গতকালের মতো ভয়ংকর মনে হচ্ছিল না। দুজনই প্রথম স্পেলে উইকেট শূন্য থাকায় শরীফুল ইসলামকে বোলিংয়ে আনেন নাজমুল হোসেন। তাতেও কাজ হয়নি। বরং তাদের স্বাচ্ছন্দ্যে খেলে রান বাড়িয়েছেন জেমিসন-সাউদি জুটি। নাঈম হাসানের অফ স্পিন বেশ কার্যকরী মনে হচ্ছিল। তবে দুই দীর্ঘদেহী কিউই ব্যাটসম্যান মুমিনুল হকের বোলিং খেলতে কষ্ট হচ্ছিল।

প্রথম সেশন শেষ হওয়ার আগে ১৪ রান করেন জাকির

ওয়াইড অব দ্য ক্রিজ থেকে আসা মুমিনুলের রাউন্ড আর্ম অ্যাকশনে কিছু বল নিচু হচ্ছিল, কিছু টার্ন। আজকের দিনে দ্বিতীয় ওভার করতে এসে সেই মুমিনুলের বলেই আউট হন দুই কিউই ব্যাটসম্যান। জেমিসনকে আর্ম বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন মুমিনুল। ৭০ বলে ২৩ রান করে আউট হন তিনি।

৩ বল পর সাউদিকে বোল্ড করেন মুমিনুল। তাঁর ইনিংস থামে ৬২ বলে ৩৫ রান। গতকালও ১ উইকেট নিয়েছিলেন মুমিনুল। এই ইনিংসে সব মিলিয়ে ৪ রানে ৩ উইকেট নিলেন তিনি। টেস্টে এটি তাঁর ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন আরেক বাঁহাতি তাইজুল।