
৯ জন ফিল্ডারকে স্লিপে রেখে বল করার দৃশ্য ক্রিকেটে অনেক আগেই দেখা গেছে। ১৯৭৭ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে ৯ জন ফিল্ডারকে স্লিপে দাঁড় করিয়ে বল করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি ডেনিস লিলি। এরপর বিভিন্ন সময় স্লিপে ৯ ফিল্ডার রেখে বল করেছে অনেক দল।
কিন্তু কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে এসেক্সের বিপক্ষে শেষ দিনে ওয়ারউইকশায়ার যেভাবে ফিল্ডিং সাজিয়েছে, তা বেশ অভিনবই বটে। যেখানে লেগ সাইডে ৯ ফিল্ডারকেই দাঁড় করিয়ে দেয় কাউন্টির এই দল। নিশ্চিত ড্রয়ের দিকে এগোতে থাকা ম্যাচে ব্রেকথ্রু পাওয়ার লক্ষ্যে এই কৌশল নিয়েছিল তারা।
চেমসফোর্ডে অনুষ্ঠিত ম্যাচটি যখন শুক্রবার শেষ দিনে পৌঁছায়, তখন ড্রই ছিল এই ম্যাচের সবচেয়ে সম্ভাব্য ফলাফল। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে থাকা ওয়ারউইকশায়ারের হাতে ছিল তখন এক উইকেট। তবে অলিভার হ্যানন-ডালবি দ্রুতই আউট হয়ে যান এবং ওয়ারউইকশায়ার গুটিয়ে যায় ৪৮৫ রানে, যা এসেক্সের করা ৬ উইকেটে ৬০২ রানের চেয়ে ১১৭ রান কম।
এরপর এসেক্সের ব্যাটিংয়ের সময়ই অভিনব ঘটনার জন্ম দেয় ওয়ারউইকশায়ার অধিনায়ক অ্যালেক্স ডেভিস। ওপেনিংয়ে নামা অলরাউন্ডার নুয়াহ থাইনের বিদায়ের পর তখন ব্যাট করছিলেন পল ওয়াল্টার ও টম ওয়েস্টলি।
এ দুজনের ব্যাটিংয়ের এক পর্যায়ে ৬ জন ফিল্ডারকে লেগ সাইডে এনে রিং-স্টাইল পজিশনে সেট করে ওয়ারউইকশায়ার। সঙ্গে আগে থেকে থাকা লেগ স্লিপ এবং বাউন্ডারির কাছে লেগ সাইডের একজন ফিল্ডারও ছিলেন।
এরপর হ্যানন-ডালবি ওই ফিল্ড সেটআপে এক বল করার পর, অধিনায়ক অ্যালেক্স ডেভিস ঝুঁকি নিয়ে পুরোপুরি আক্রমণাত্মক কৌশল নেন। অফ সাইডে থাকা একমাত্র ফিল্ডারকেও হেলমেট পরিয়ে ব্যাটম্যানের একদম কাছে নিয়ে আসেন।
ফলে ওয়ারউইকশায়ারের ফিল্ডিং পজিশন দাঁড়ায় এমন—একজন ডিপ স্কয়ার লেগে, একজন লেগ স্লিপে, একজন লেগ গালিতে, একজন শর্ট লেগে, চারজন শর্ট মিড-উইকেটে এবং একজন শর্ট মিড-অনে। অর্থাৎ পুরো ফিল্ড ছিল একপ্রকার লেগ-সাইডে ব্যারিকেডের মতো।
ওয়ারউইকশায়ারের এমন কৌশল দেখে এক ধারাভাষ্যকার মজা করে বলেন, ‘এটা তো লেগ থিওরির ভিন্ন এক রূপ।’ তবে এই আক্রমণাত্মক এই ফিল্ড সেটআপ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। এক ওভার পরই বৃষ্টি নামায় মাঠ ছাড়তে হয় খেলোয়াড়দের। এরপর ম্যাচ আর শুরু করা সম্ভব হয়নি, ফলে খেলাটি ড্রতেই শেষ হয়। এসেক্স দ্বিতীয় ইনিংসে তুলতে পেরেছিল ১ উইকেটে ৯৬।