Thank you for trying Sticky AMP!!

ভারতের বিখ্যাত চিত্রশিল্পী পরেশ মাইতি বিশ্বকাপ নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের উন্মাদনা ক্যানভাসে ফুটিয়ে তুলছেন

তুলির আঁচড়ে বিশ্বকাপের উন্মাদনা

বিশ্বকাপকে স্মরণীয় করে রাখতে বিশেষ চিত্রকর্ম উম্মোচনের ঘোষণা দিয়েছে আইসিসি। বিশ্বকাপের সমৃদ্ধ ইতিহাস ও বৈচিত্র্যময় গল্প এই শিল্পের মাধ্যমে তুলে ধরা হবে। আইসিসি এই উদ্যোগের নাম দিয়েছে ‘ক্রিকেটস গ্রেটেস্ট ক্যানভাস’।

ভারতের বিখ্যাত চিত্রশিল্পী পরেশ মাইতি এবারের বিশ্বকাপের ১০ ভেন্যু ও মাঠে ক্রিকেটপ্রেমীদের উন্মাদনা ক্যানভাসে ফুটিয়ে তুলবেন। অসাধারণ দৃশ্যগুলো দিল্লি, কলকাতা, মুম্বাই, আহমেদাবাদসহ ভারতের বিভিন্ন শহরে উন্মোচন করা হবে, যেখানে পদ্মশ্রী সম্মাননা পাওয়া মাইতির সৃজনশীল চিত্রকর্ম জীবন্ত হয়ে উঠবে।

আইসিসি তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, ম্যাচের আবহের মধ্যেই ক্যানভাসে রংতুলির আঁচড় দেবেন মাইতি। তাঁর প্রাণবন্ত চিত্রকর্মের মাধ্যমে ক্রিকেটীয় চেতনাও জেগে উঠবে। ম্যাচ শুরুর সঙ্গে সঙ্গে দর্শক ও চিত্রশিল্পপ্রেমীরা মাইতির সৃজনশীলতা দেখার সুযোগ পাবেন, যা বিশ্বকাপে নতুন মাত্রা যোগ করবে ও শৈল্পিক সৌন্দর্যের সঙ্গে খেলার রোমাঞ্চকে একত্রিত করবে।  

বিশেষ এই উদ্যোগের অংশ হতে পেরে খুশি চিত্রশিল্পী মাইতি

৭ অক্টোবর দিল্লিতে দক্ষিণ আফ্রিকা–শ্রীলঙ্কা ম্যাচে মাইতির শিল্পকর্মের উদ্বোধন হয়। ওই ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা ৪২৮ রান করেছিল, যা বিশ্বকাপ ইতিহাসে দলীয় সর্বোচ্চ। পরবর্তী সময়ে এর প্রদর্শনী হবে ৩১ অক্টোবর। সেদিন কলকাতায় পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ২ নভেম্বর মুম্বাইয়ে ভারত–ইংল্যান্ড এবং ১০ নভেম্বর আহমেদাবাদে দক্ষিণ আফ্রিকা–আফগানিস্তান ম্যাচেও মাইতির চিত্রকর্ম দেখা যাবে।

Also Read: বিশ্বকাপের দুটি মাসকটের নাম জানাল আইসিসি

আইসিসির বিপণন ও যোগাযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক ক্লেয়ার ফারলং ‘ক্রিকেট’স গ্রেটেস্ট ক্যানভাস’ সম্পর্কে বলেছেন, ‘ক্রিকেট দীর্ঘদিন ধরে সাহিত্য ও শিল্পে অনুপ্রেরণার উৎস। বিশ্বকাপের বিশেষ মুহূর্তগুলো তুলে ধরতে মাইতির মতো একজন দক্ষ চিত্রশিল্পীকে পেয়ে আমরা আনন্দিত। এই উদ্যোগ দর্শকদের ভারতের অন্যতম সেরা শিল্পীকে দেখার সুযোগ করে দেবে, যা বিশ্বকাপের অনন্য চেতনাকেও তুলে ধরবে।’

শচীন টেন্ডুলকারের সঙ্গে পরেশ মাইতি

চিত্রশিল্পী মাইতি বলেছেন, ‘ক্রিকেট বিশ্বকাপ আয়োজন করা ভারতের জন্য একটি বিশেষ ব্যাপার। আমি দিল্লিতে দক্ষিণ আফ্রিকা–শ্রীলঙ্কা ম্যাচ দেখেছি, এঁকেছি এবং অনুভব করেছি যে এটা এমন এক টুর্নামেন্ট, যা সবাইকে একত্র করতে পারে। আমি আইসিসির পছন্দের চিত্রশিল্পী হতে পেরে সম্মানিত। ১০ ভেন্যুর জাদু তুলে ধরার অপেক্ষায় আছি।’