দারুণ এক জয় পেয়েছে বাংলাদেশ
দারুণ এক জয় পেয়েছে বাংলাদেশ

০, ০, ০, ০, ০— এরপর নিউজিল্যান্ডের ১৪৭, বাংলাদেশ জিতল ৭ উইকেটে

বেশির ভাগ কাজ করে ফেলেছিলেন বোলাররাই। ব্যাটসম্যানদের সামনে যে লক্ষ্য ছিল, তা তাড়া না করতে পারাটা হতো হতাশার, তেমন কিছু শেষ পর্যন্ত হতে দেননি তাঁরা। নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে ৫০ ওভারের তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে ৭ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল।

সিলেটে টস জিতে ব্যাট করতে নামা সফরকারীদের হয়ে রান করেছেন শুধু দুজন— রাইউস মারিউ (৫১ বলে ৪২) ও ডিন ফক্সক্রপট (৬৪ বলে ৭২) ছাড়া বাকি নয় ব্যাটসম্যানদের কেউই দুই অঙ্কেও যেতে পারেননি।

প্রথম ৭ ওভারেই নিউজিল্যান্ডের চার ব্যাটসম্যান সাজঘরে ফেরেন, তাঁদের কেউই রানের খাতা খুলতে পারেননি। খালেদ আহমেদ এক বলের ব্যবধানে আউট করেন দুজনকে, আর শরিফুল ইসলাম বাকি দুজনকে।

পেসাররা টপ অর্ডার ধসিয়ে দেওয়ার পর বাকি কাজটা করেন তানভীর ইসলাম। একপ্রান্ত আগলে থাকা ওপেনার মারিউ তাঁর বলে রীতিমতো বোকা বনে স্টাম্পিং হয়ে যান, ১৭ বলে ৪ রান করা মিচ হেইকেও আউট করেন তানভীর। টপ অর্ডারের ওই চার ব্যাটসম্যানের পর ক্রিস্টিয়ান ক্লার্কও তানভীরের বলে শূন্য রানে বোল্ড হলে ‘ডাক’ মেরে সাজঘরে ফেরা নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের সংখ্যাটা হয় পাঁচ।

নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের থিতু হতে দেননি বাংলাদেশের বোলাররা

৮৫ রানেই ৯ উইকেট হারিয়ে ফেলা নিউজিল্যান্ড শেষ পর্যন্ত ১৪৭ রান করে। তাতে সবচেয়ে বড় অবদান ৬৪ বলে ৬ চার ও ৪ ছক্কায় ৭২ রান করা ফক্সক্রপটের। শরিফুল ওই দুই উইকেটে থামলেও খালেদ তিন উইকেট নেন, তিন উইকেট পান তানভীরও। এবাদতের ঝুলিতে যায় দুই উইকেট।

অল্প রান তাড়া করতে নেমে চার ওভারে ৩০ রান তোলার পর ওপেনার নাঈম শেখের উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। ২০ বলে ৩ চারে ১৮ রান করে তিনি আউট হন। ১২ বলের ছয়টিতেই বাউন্ডারি হাঁকানো পারভেজ হোসেনও থেমে যান ২৪ রানে। রান তাড়াটা বাংলাদেশের জন্য আর তেমন কঠিন হতে দেয়নি এনামুল হকের সঙ্গে মাহিদুল ইসলামের জুটিতে।

৫৫ রানের এই জুটিতে লক্ষ্যের খুব কাছাকাছি পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। ভালো শুরুর পরও এনামুল অবশ্য ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে যান ৪৫ বলে ৩৮ রান করে। তবে ৬১ বলে ৪২ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন মাহিদুল।