বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি সিলেট স্ট্রাইকার্স বলেছে, দলের কোনো খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ বা টিম ম্যানেজমেন্টের বিরুদ্ধে ফিক্সিং বা স্পট ফিক্সিংয়ের কোনো প্রমাণিত অভিযোগ সামনে এলে তাঁদের অবস্থান হবে ‘শূন্য সহনশীলতার।’
১৮ আগস্ট বিপিএলের স্পট ফিক্সিং নিয়ে প্রথম আলোতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ফিক্সিং তদন্তে বিসিবির স্বাধীন তদন্ত কমিটি তিনটি ফ্র্যাঞ্চাইজির ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছে যে তারা সর্বশেষ বিপিএলে স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িত ছিল। আরও দুটি ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে সেখানে ছিল সিলেট স্ট্রাইকার্সের নামও।
এরপর আজ ফ্র্যাঞ্চাইজিটির দেওয়া এক ‘বিশেষ বিবৃতিতে’ তারা এ কথা বলল। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সিলেট স্ট্রাইকার্স সব সময়ই খেলার সততা, স্বচ্ছতা ও শৃঙ্খলাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এসেছে এবং ভবিষ্যতেও দেবে। গত তিন বছর ধরেই সিলেট স্ট্রাইকার্স টিম সুনামের সঙ্গে দেশের ক্রিকেটের উন্নয়নের জন্য কাজ করে চলেছে এবং ভবিষ্যতেও করবে। আমরা ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ও তদন্ত কমিটির সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করেছি এবং সব ধরনের প্রাসঙ্গিক তথ্য প্রদানে সম্পূর্ণ প্রস্তুত আছি। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য যে আইসিসির অ্যান্টিকরাপশন ইউনিটের (এসিইউ) একজন সদস্য বিপিএলের শুরু থেকেই সিলেট স্ট্রাইকার্স টিমের সঙ্গে ফেয়ার প্লে পলিসি বজায় রাখতে কর্মরত ছিল।’
আমরা পুনর্ব্যক্ত করছি—যদি কখনো দলের কোনো খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ বা টিম ম্যানেজমেন্টের বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণিত অভিযোগ সামনে আসে, তবে আমাদের অবস্থান হবে “শূন্য সহনশীলতার।সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিবৃতি
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘কোটি কোটি ভক্ত, খেলোয়াড়, কোচ, ম্যানেজমেন্ট, স্পনসর, পার্টনার নিয়ে সিলেট স্ট্রাইকার্স টিম। এই দল সিলেট ও সিলেটবাসীর প্রতিনিধিত্ব করে বিপিএলের মাধ্যমে। আমরা পুনর্ব্যক্ত করছি—যদি কখনো দলের কোনো খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ বা টিম ম্যানেজমেন্টের বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণিত অভিযোগ সামনে আসে, তবে আমাদের অবস্থান হবে “শূন্য সহনশীলতার।”’
ফ্র্যাঞ্চাইজিটি দাবি করেছে, অভিযোগের ব্যাপারে দলের খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ ও টিম ম্যানেজমেন্টের কেউ জড়িত আছে বলে তাদের কাছে কোনো তথ্যপ্রমাণ নেই। প্রতিবেদনে সিলেট স্ট্রাইকার্সের নাম আসায় তারা গভীরভাবে মর্মাহত বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে।