টি-টেনে ফিক্সিংয়ের অভিযোগ, তদন্তে আইসিসি
গত মাসে শেষ হওয়া আবুধাবি টি–টেন লিগে ফিক্সিং, বেটিংসহ দুর্নীতির বেশ কিছু অভিযোগ পেয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। এর মধ্যে গুরুতর ছয়টি অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
আট দলের টুর্নামেন্টটিতে বাংলাদেশ জাতীয় দলের চারজনসহ মোট পাঁচ ক্রিকেটার অংশ নিয়েছিলেন। তাঁরা হচ্ছেন সাকিব আল হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, নুরুল হাসান ও মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী।
তবে তদন্তের আওতায় থাকা ঘটনাগুলোর সঙ্গে এই ক্রিকেটারদের সংশ্লিষ্টতা আছে কি না জানা যায়নি।
নিজস্ব সূত্রের বরাতে ইংল্যান্ডের স্পোর্টস মেইল জানিয়েছে, ২৩ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলা আবুধাবি টি–টেন লিগ নিয়ে এক ডজনের বেশি দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছে আইসিসি। যার অর্ধেকই আনুষ্ঠানিক তদন্ত কার্যক্রম চালানোর মতো গুরুতর। মাত্র কয়েক শ দর্শকের নিয়ন্ত্রিত বাজারে ম্যাচপ্রতি আট লাখ পাউন্ড পর্যন্ত বাজি ধরা হয়েছে বলে জেনেছে স্পোর্টস মেইল। যা জুয়ার বৈধতা না থাকা উপমহাদেশের বাজারের ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক রকমের বেশি।
Also Read: টি-টেন লিগ খেলবেন সাকিব
শুধু বেটিং নয়, আইসিসির কাছে দলগুলোর অস্বাভাবিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগও গেছে, যা থেকে ম্যাচ ও স্পট ফিক্সিংয়ের আভাস পাওয়া যায়। একটি অভিযোগ এ রকম, কন্ডিশনের চিন্তাভাবনা বাদ দিয়ে একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিক নিজেই দলের বোলিং ও ব্যাটিং অর্ডার ঠিক করে দিয়েছেন।
খুব অল্প সময়ের নোটিশে দল থেকে বাদ দেওয়া, ব্যাখ্যাতীত শট খেলে ব্যাটসম্যানের উইকেট দিয়ে আসার মতো সন্দেহজনক ঘটনাও আছে।
টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী চারজনসহ ইংল্যান্ডের মোট ১৬ জন টি–টেন লিগে অংশ নিয়েছিলেন। তাঁদের কেউই শেষ কিস্তির টাকা পাননি। এর মধ্যে একজন ক্রিকেটার দলে যোগ দেওয়ার আগের দিন ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিক তাঁর সঙ্গে চুক্তি বাতিল করতে চেয়েছেন।
স্পোর্টস মেইল বলছে, সাধারণত প্রতিবছর খেলোয়াড়দের কাছ থেকে ১২ শর মতো সন্দেহজনক ঘটনার তথ্য বা আনুষ্ঠানিক অভিযোগ পেয়ে থাকে আইসিসি। এর মধ্যে তদন্ত করার মতো অভিযোগ থাকে ৩০–৪০টি। কিন্তু মাত্র দুই সপ্তাহ ধরে চলা টি–টেনের ছয়টি অভিযোগ তদন্ত হওয়া গুরুতর কিছুরই ইঙ্গিত দিচ্ছে।
Also Read: বিপিএল বিষয়ে সাকিবের সঙ্গে একমত মাশরাফি