সকাল থেকেই কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, কখনো তা বেড়েছে আরও। বৃষ্টির কারণে মাঠের লড়াইয়ে নামতে না পেরে হতাশার সময় কেটেছে পুলিশ লাইনস স্কুল ও কুমিল্লা মর্ডান হাইস্কুলের শিক্ষার্থীদের। যদিও বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে আজ প্রাইম ব্যাংক স্কুল ক্রিকেটের ফাইনালে তাদের মাঠে না নামতে পারার এই মন খারাপ কিছুটা হয়তো কমেছে তাসকিন আহমেদকে কাছে পেয়ে।
জাতীয় দলের এই তারকা পেসারের সঙ্গে দেখা হওয়ার মুহূর্তটা ফ্রেমবন্দী করে রেখেছে তারা। কাছ থেকে তাসকিনকে দেখতে পাওয়ার উচ্ছ্বাসও ছিল চোখেমুখে। স্কুল ক্রিকেটের ফাইনাল দেখতে গিয়ে স্মৃতিকাতর হয়েছেন তাসকিনও।
স্কুলের দিনগুলোতে ফিরে গিয়ে এই পেসার বলেছেন, ‘স্কুল ক্রিকেট ছোটবেলায় আমরাও খেলেছি। এটা একটা আবেগের জায়গা। যে যার স্কুল নিয়ে সারা বাংলাদেশের কথা চিন্তা করে। চ্যাম্পিয়ন করতে চায়।’
বৃষ্টির কারণে শেষ পর্যন্ত আর মাঠেই গড়াতে পারেনি স্কুল ক্রিকেটের ফাইনাল। টসে শিরোপা–ভাগ্য নির্ধারিত হয়—চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কুমিল্লা মর্ডান হাইস্কুল। ফাইনাল খেলতে না পারায় যে ক্রিকেটারদের হতাশা আছে, তা বুঝতে পারছেন তাসকিনও।
স্কুলপড়ুয়া খুদে এই ক্রিকেটারদের জন্য কিছু পরামর্শও দিয়ে গেছেন তিনি, ‘ওদের বললাম যে এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা অংশ এবং কীভাবে ডিসিপ্লিন বা ডেডিকেশন নিয়ে ওপরে যেতে হয়। আমিও একটা সময় ওদের মতো ছিলাম। আবাহনী মাঠে অনুশীলন করতাম। আস্তে আস্তে বেড়ে উঠেছি। মজার জায়গা। ওদের এখনই সময় এই যাত্রাটা উপভোগ করে আস্তে আস্তে জাতীয় দলের দিকে যাওয়ার। এটা অনেক বড় একটা জায়গা নিজের সামর্থ্য দেখানোর।’
শুধু স্কুল ক্রিকেটেই আটকে থাকেননি তাসকিন। চোটের কারণে এখন তিনি মাঠের বাইরে, খেলছেন না পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টিতে। মিরপুরে চলছে তাঁর পুনর্বাসনপ্রক্রিয়া। সবকিছু ঠিক থাকলে আসন্ন শ্রীলঙ্কা সিরিজ দিয়েই ফেরার কথা।
চোটের সঙ্গে নিজের দীর্ঘ লড়াই নিয়ে তাসকিন বলেছেন, ‘আসলে ফাস্ট বোলার মানেই ইনজুরি। এটা জীবনের অংশ। আমার যখন কাঁধে বা অন্যান্য ইনজুরি হয়েছে, সবাই চিন্তিত হয়েছিল, এমনকি আমি নিজেও ভেবেছি যে আবার টেস্ট খেলতে পারব কি না। সবকিছুই সাময়িক।’
এরপরই আবার টেস্ট খেলার আশার কথা জানান তাসকিন, ‘আমি কিন্তু একবার টেস্ট থেকে কিছু মাসের জন্য বিরতিও নিয়েছিলাম। যদি আবার ঠিক হয়ে যায়, তাহলে কেন নয়? আমি ক্রিকেট খেলতে ভালোবাসি, গতিময় বোলিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বোলিং অনেক উপভোগ করি। যে সংস্করণই হোক, আমি ক্রিকেট খেলতে চাই।’
তাসকিনদের জন্য নতুন পেস বোলিং কোচ নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ। পাকিস্তান সফর থেকে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন শন টেইট। আন্দ্রে অ্যাডামসের জায়গায় আসা এই অজি তারকাকে নিয়েও নিজের আশাবাদের কথা জানিয়েছেন তিনি।
তাসকিন বলেছেন, ‘আশা করছি (শন টেইট) ভালো হবেন। কারণ, তিনি আধুনিক যুগে ক্রিকেট খেলেছেন, টি-টোয়েন্টি ও অন্যান্য সংস্করণে। অস্ট্রেলিয়ার মতো বড় দলে খেলেছেন। ২০১৩ সালের বিপিএলে আমি ওর টিমমেটও ছিলাম (হাসি)। আমার সঙ্গে বেশ ভালো সম্পর্ক। আমার বিশ্বাস, ও আমাদের ভালো কোচিং করাবে। যদিও ওর কোচিংয়ে কখনো কাজ করা হয়নি। তবে আমি রোমাঞ্চিত যে ভালো কিছু হবে।’