সভাপতি পড়ে লড়বেন সাবেক ক্রিকেটার সেলিম শাহেদ ও বর্তমান ক্রিকেটার মোহাম্মদ মিঠুন (মাঝে)
সভাপতি পড়ে লড়বেন সাবেক ক্রিকেটার সেলিম শাহেদ ও বর্তমান ক্রিকেটার মোহাম্মদ মিঠুন (মাঝে)

কারা হবেন বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের ‘নেতা’

প্রথমবারের মতো নির্বাচন হতে যাচ্ছে ক্রিকেটারদের সংগঠন ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশে (কোয়াব)। ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠার পর এই প্রথম সংগঠনটির নেতৃত্ব ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হবে। সভাপতি হতে সাবেক ক্রিকেটার ও বর্তমান ম্যাচ রেফারি সেলিম শাহেদের সঙ্গে ভোটে লড়বেন বর্তমান ক্রিকেটার মোহাম্মদ মিঠুন। তাঁদের মধ্য থেকে নিজেদের নেতা খুঁজে নেবেন ক্রিকেটাররা।

আগামী ৪ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় কোয়াবের নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের শেষ দিন ছিল আজ। ১১টি পদের মধ্যে সভাপতি ছাড়া বাকি সবগুলোতেই একটি করে মনোনয়ন ফরম তোলা হয়েছে। তাঁরা সবাই তাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে যাবেন।

সিনিয়র সহসভাপতি হিসেবে জাতীয় দলের সাবেক ওপেনার শাহরিয়ার হোসেন ও সহসভাপতি পদে মনোনয়ন ফরম তুলেছেন জাতীয় দলের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান। এ ছাড়া কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে আটটি পদে মনোনয়নপত্র নিয়েছেন নাজমুল হোসেন, শামসুর রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজ, রুমানা আহমেদ, খালেদ মাসুদ, ইমরুল কায়েস, ইরফান শুক্কুর ও আকবর আলী।

৪ সেপ্টেম্বর সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাওয়া সেলিম শাহেদ বর্তমান কমিটির আহ্বায়ক। সংগঠনের নির্বাচন নিয়ে প্রথম আলোকে তিনি বলেছেন, ‘কোয়াবের ইতিহাসে কখনোই নির্বাচন হয়নি। আমরা চেয়েছিলাম একটা উদাহরণ তৈরি করতে। সেটা এবার হচ্ছে। ভবিষ্যতের জন্যও এটা একটা উদাহরণ হয়ে থাকবে।’

আহ্বায়ক কমিটি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বারবারই বলে আসছিল, বিসিবি সংশ্লিষ্টদের কেউ কোয়াবের পদে থাকবেন না। কিন্তু সভাপতির মনোনয়ন ফরম তোলা সেলিম শাহেদ নিজেই বিসিবির ম্যাচ রেফারিং। তিনি অবশ্য জানিয়েছেন, বিসিবি থেকে বেতন না নেওয়ায় তাঁর মনোনয়ন ফরম কেনায় স্বার্থের সংঘাত নেই।

অবশ্য কোয়াবের একটি সূত্র জানিয়েছে, সেলিম শাহেদের মনোনয়নপত্র কেনাটা শুধুই আনুষ্ঠানিকতা। উদ্দেশ্য, নতুন কমিটি গঠনের প্রক্রিয়াটিকে নির্বাচনী রূপ দেওয়া। শেষ পর্যন্ত নাকি মিঠুনই সভাপতি হবেন।

১৪ বছর কোয়াবের দায়িত্বে থাকা সাবেক সভাপতি নাঈমুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল গত বছরের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক বাস্তবতা বদলে যাওয়ার পর দায়িত্ব ছাড়েন। এরপর ১৩ সদস্যের একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। তাঁদের কাছ থেকেই দায়িত্ব বুঝে নেবে নতুন নেতৃত্ব।