তানজিদ হাসান
তানজিদ হাসান

নাঈমকে টপকে বছরে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড তানজিদের

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে গতকাল দ্বিতীয় টি–টোয়েন্টিতে ৪৮ বলে ৬১ রান করেন বাংলাদেশ ওপেনার তানজিদ হাসান। ১৫০ রানের লক্ষ্যে এমন একটি ইনিংস কেউ খেললে সেই দলের জয়ের সুযোগ থাকে অনেক বেশি।

কিন্তু চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি বাংলাদেশের অন্য ব্যাটসম্যানরা। জাকের আলী, শামীম হোসেনদের ব্যর্থতায় দল হেরেছে ১৪ রানে। এমন হারে আক্ষেপ থাকারই কথা তানজিদের।

তবে তানজিদ এমন ম্যাচেই গড়েছেন রেকর্ড। গতকাল বাংলাদেশের হয়ে এক বছরে সবচেয়ে বেশি টি–টোয়েন্টি রান করার রেকর্ড গড়েন তানজিদ। বাঁহাতি এই ওপেনার চলতি বছর ২৩ ইনিংসে রান করেছেন ৬২২। চলতি বছরে ১৩৫.২১ স্ট্রাইকরেটে ব্যাটিং করা তানজিদের ফিফটি ৬টি। গড় ২৯.৬১। চলতি বছরে তানজিদ ছক্কা মেরেছেন ৩৪টি, এটি এক বছরে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ।

টি–টোয়েন্টিতে এর আগে বাংলাদেশের হয়ে এক বছরে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ছিল ওপেনার মোহাম্মদ নাঈমের দখলে। ২০২১ সালে নাঈম ২৬ ইনিংসে করেন ৫৭৫ রান। সে বছর নাঈমের স্ট্রাইকরেট ছিল ১০০.৩৪। ২৩ গড়ে ব্যাটিং করে ফিফটি পান ৩টি।

তালিকায় নাঈমের পরের দুটি জায়গা লিটন দাসের। চলতি বছর লিটন ২১ ইনিংসে রান করেছেন ৫৬৪, স্ট্রাইকরেট ১৩২.৭০। ৪ ফিফটিতে তাঁর গড় ২৯.৬৮। এর আগে লিটন ২০২২ সালেও ৫০০ এর বেশি রান করেছিলেন। ২০২২ সালে ১৪০.২০ স্ট্রাইক রেটে তাঁর রানসংখ্যা ছিল ৫৪৪। এক বছরে ৫০০ করা ব্যাটসম্যানদের তালিকায় বাংলাদেশের সর্বশেষ নামটা আফিফ হোসেনের। ২০২২ সালে আফিফ করেছিলেন ৫০০ রান, স্ট্রাইকরেট ছিল ১২৩.৭৬।

২০২২ সালে আফিফ করেছিলেন ৫০০ রান

সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহরা কখনই এক বছরে ৫০০ রানের ক্লাবে যেতে পারেননি। মাহমুদউল্লাহ ২০২১ সালে রান করেছিলেন ৪৯৬। ২০১৮ সালটাও তাঁর ভালো কেটেছে। সে বছর করেন ৪১৪ রান।

মুশফিক ও সাকিব টি–টোয়েন্টিতে কখনো এক বছরে ৪০০ রানও করতে পারেননি। এক বছরে সাকিবের সর্বোচ্চ রান ৩৪৯, করেছিলেন ২০২২ সালে। ২০১৮ সালে মুশফিক তাঁর সর্বোচ্চ ৩৯৭ রান করেন।