
২০২৩ বিশ্বকাপ, ২০২৪ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি—টানা তিন বছরে তিনটি আইসিসি টুর্নামেন্টে প্রথম পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে পাকিস্তান। ২০২৩ বিশ্বকাপের পর পাকিস্তানের কোচ পদ থেকে বিদায় নিয়েছেন মিকি আর্থার ও গ্রান্ট ব্রাডবার্ন, ২০২৪ বিশ্বকাপের পর গ্যারি কারস্টেন। এঁদের কেউ চাকরি ছেড়েছেন, কারও চাকরি গেছে।
এবার ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ব্যর্থতায় অন্তর্বর্তীকালীন কোচ আকিব জাভেদও বিদায় নিতে পারেন। আলোচনা আছে আবার বিদেশি কোচ নিয়োগ দেওয়া হতে পারে। সাফল্য পাওয়ার জন্য পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) একের পর এক বিদেশি কোচ, পরামর্শক ও কোচিং স্টাফ আনার বিষয়টিতে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন মোহাম্মদ হাফিজ।
সমস্যার সমাধানে পাকিস্তানের এই সাবেক অধিনায়ক খোঁচার সুরে বলেছেন, বিদেশি কোচ আনতে পারলে বিদেশি বোর্ড চেয়ারম্যান কেন নয়?
পাকিস্তান ক্রিকেট দলে গত এক দশকের মধ্যে কোচ, অধিনায়ক বদল হয়েছে বারবার। ২০১৯ সালে মিসবাহ উল হক থেকে শুরু করে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পর্যন্ত অন্তর্বর্তী ও স্থায়ী মিলিয়ে মোট ৯ জন প্রধান কোচ দেখেছে পাকিস্তান। প্রধান কোচের বাইরে ব্যাটিং, বোলিং, ফিজিওসহ কোচিং স্টাফের অন্যান্য পদেও পরিবর্তন এসেছে বারবার।
কিন্তু টিম ম্যানেজমেন্টে এত অদলবদল করেও বড় টুর্নামেন্টে পাকিস্তান দল সফল হতে পারছে না। এ বিষয়টি উঠেছিল চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিয়ে আয়োজিত ‘গেম অন হ্যায়’ অনুষ্ঠানের আলোচনায়। বৃহস্পতিবার পাকিস্তান–বাংলাদেশ ম্যাচের আলোচনার একপর্যায়ে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হাফিজ পাকিস্তানের সমস্যা নিরসনে তাঁর একটি সমাধান আছে বলে জানান।
২০২৩ বিশ্বকাপের পর অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড সফরে টিম ডিরেক্টর কাম কোচ পদে কাজ করা এই সাবেক ক্রিকেটার বলেন, ‘সমাধান হিসেবে আমরা টিম ম্যানেজমেন্ট নিয়ে কথা বলি, খেলোয়াড়দের নিয়ে কথা বলি। অনেক সময় বলি বিদেশি কোচ আনা দরকার। মনে হয় যে তাহলে আমরা সেরা ক্রিকেট খেলতে পারব। তাহলে আমরা একজন বিদেশি চেয়ারম্যান আনছি না কেন।’
হাফিজের এই কথার সঙ্গে সঙ্গে হেসে দেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত দুই সাবেক ক্রিকেটার শোয়েব আখতার ও শোয়েব মালিক। অনুষ্ঠানের পরে নিজের মন্তব্যের ভিডিও ক্লিপ এক্সে পোস্টও করেছেন হাফিজ। শিরোনাম দিয়েছেন, ‘পাকিস্তান ক্রিকেটের সমাধান।’
পিসিবির বর্তমান চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি দায়িত্ব নিয়েছেন গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে। এর সপ্তাহ দুয়েক পরই টিম ডিরেক্টর পদ থেকে সরে যান হাফিজ।
এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে পাকিস্তান দল নিউজিল্যান্ড ও ভারতের কাছে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যায়।