বাংলাদেশ–আফগানিস্তান সিরিজের দ্বিতীয় টি–টোয়েন্টিতে সবাইকে স্বাগত। গতকাল প্রথম টি–টোয়েন্টিতে ৪ উইকেটে জিতেছে বাংলাদেশ। আজ জিতলেই সিরিজজয়।
টসে জিতেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক জাকের আলী। নিয়েছেন আগে বোলিং। যার অর্থ, গতকালের মতো আজও রান তাড়ায় ব্যাটিং করবে বাংলাদেশ।
কাল জেতা ম্যাচের একাদশে দুটি পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ। তাসকিন আহমেদ ও তানজিম হাসান নেই আজ। তাঁদের জায়গায় একাদশে ঢুকেছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও শরীফুল ইসলাম।
বাংলাদেশ একাদশ: তানজিদ হাসান, পারভেজ হোসেন, সাইফ হাসান, জাকের আলী (অধিনায়ক), নুরুল হাসান, শামীম হোসেন, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, রিশাদ হোসেন, নাসুম আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, শরীফুল ইসলাম।
আফগানিস্তান: ২ ওভারে ১৩/০।
২ ওভারে ১৩ রান তুলেছে আফগানিস্তান। শরীফুল ইসলামের করা প্রথম ওভারে এসেছে ৫ রান।নাসুম আহমেদ পরের ওভারে দিয়েছেন ৮ রান। এখনও কোনো উইকেট পায়নি বাংলাদেশ।
আফগানিস্তান: ৬ ওভারে ৩৫/০।
পাওয়ার প্লেতে খুব বেশি রান তুলতে পারেনি আফগানিস্তান। বাংলাদেশও পায়নি উইকেট। ৬ ওভারে ৩৫ রান করেছে আফগানিস্তান। ষষ্ঠ ওভারের শেষ বলে সাইফ হাসানের হাতে ক্যাচ তুলে দেন ইব্রাহিম জাদরান, তবে তিনি হাতে জমাতে না পারায় উইকেট পাওয়া হয়নি মোস্তাফিজের।
আফগানিস্তান: ৮ ওভারে ৫৫/১।
অষ্টম ওভারের পঞ্চম বলে আফগানিস্তানের প্রথম উইকেটের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। রিশাদ হোসেনের বলে লং অনে পারভেজের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন সেদিকউল্লাহ আতাল।
এর আগের দুই বলে লং অফ ও লং অনের ওপর দিয়ে টানা দুই ছক্কা মেরেছেন তিনি। টানা তৃতীয় বলে ছক্কা মারতে গিয়ে বল তুলে ফেলেছেন ওপরে। আতাল আউট হওয়ার আগে ১৯ বলে করেছেন ২৩ রান। ৫৫ রানে প্রথম উইকেট হারিয়েছে আফগানিস্তান।
ইনিংসের অর্ধেক ওভার শেষে আফগানিস্তান রান ১ উইকেটে ৬৯। বোঝাই যাচ্ছে, উইকেট হাতে রেখে শেষের দিকে দ্রুত রান তুলতে চায় দলটি। টসের সময় আফগানিস্তান অধিনায়ক রশিদ খানও এমনটিই বলেছিলেন।
ইবরাহিম জাদরান ৩৭ এবং রহমানউল্লাহ গুরবাজ ৮ রানে ব্যাট করছেন। বাংলাদেশের পক্ষে একমাত্র উইকেটটি নিয়েছেন রিশাদ। বাঁহাতি পেসার শরীফুল ৩ ওভার বল করে মাত্র ৯ রান দিয়েছেন।
আফগানিস্তান: ১১ ওভারে ৭২/২।
১১তম ওভারের তৃতীয় বলে দ্বিতীয় উইকেটের দেখা পেল বাংলাদেশ। নাসুম আহমেদকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বাউন্ডারি সীমানার কাছে ক্যাচ হয়েছেন ইবরাহিম জাদরান।
লং অনে সীমানা দড়ির কয়েক ইঞ্চি সামনে দাঁড়িয়ে ক্যাচ নিয়েছেন রিশাদ। ইবরাহিম যেন বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না তিনি আউট। তৃতীয় আম্পায়ার ছক্কা হয়েছে কি না চেক করতে করতেই অবশ্য ইবরাহিম মাঠ ছেড়ে গেছেন। ৭১ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারিয়েছে আফগানিস্তান। ইবরাহিম ৩৭ বলে করেছেন ৩৮ রান।
আফগানিস্তান: ১২ ওভারে ৮০/৩।
অভিষিক্ত ব্যাটসম্যান ওয়াফিউল্লাহ তারাখিল টিকলেন মাত্র ৩ বল। চতুর্থ বলে রিশাদকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে সাইফউদ্দিনের হাতে ক্যাচ। ৭২ রানে তৃতীয় উইকেট হারাল আফগানিস্তান।
নতুন ব্যাটসম্যান দারউইশ রাসুলি। রিশাদের ওভারটির শেষ বলে ছক্কা মেরেছেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
আফগানিস্তান: ১৪ ওভারে ৯২/৪।
দারউইশ রাসুলির ঝড় থামালেন নাসুম আহমেদ। ২ ছক্কায় ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের মনোভাব দেখানো রাসুলি বড় শট খেলতে গিয়ে এক্সট্রা কাভারে পারভেজের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন। ১৪তম ওভারের তৃতীয় বলে ৯০ রানে চতুর্থ উইকেট হারাল আফগানিস্তান। নাসুমের এটি দ্বিতীয় উইকেট। তাঁর চার ওভারের কোটা শেষ হয়েছে এভাবে—৪–০–২৫–২।
আফগানিস্তান: ১৫ ওভারে ১০৬/৪।
১৫তম ওভার। বোলার রিশাদ হোসেন। তৃতীয় বলে আজমতউল্লাহর সিঙ্গেলে ১০০ রানে পৌঁছেছে আফগানিস্তান। ব্যাটিংয়ে আজমতউল্লাহর সঙ্গে আছেন গুরবাজ। পঞ্চম বলে মিড উইকেট বাউন্ডারি দিয়ে ছক্কা মেরেছেন তিনি।
রিশাদের চার ওভার শেষ। ৪৫ রান খরচে নিয়েছেন ২ উইকেট। এখন পর্যন্ত আফগানিস্তান যে ৭টি ছক্কা মেরেছে, ৫টিই এসেছে তাঁর বলে।
আফগানিস্তান: ১৭ ওভারে ১২২/৫।
প্রথম তিন ওভারে মাত্র ৯ রান দিয়েছিলেন। কিন্তু উইকেট পাননি। অবশেষে নিজের চতুর্থ ওভারে উইকেট মিলেছে শরীফুল ইসলামের। সেটিও দুর্দান্ত এক ইয়র্কারে রহমানউল্লাহ গুরবাজকে বোল্ড করে।
৩ নম্বরে নামা গুরবাজ ২ ছক্কা ১ চারে ২২ বলে করেছেন ৩০ রান। আফগানিস্তান পঞ্চম উইকেট হারাল ১৬.২ ওভারে।
শরীফুলের পরের চার ওভারে কোনো বাউন্ডারি নিতে পারেনি আফগানিস্তান। চার ওভার শেষে শরীফুলের বোলিং পারফরম্যান্সের চিত্রটা এমন—৪–০–১৩–১।
আফগানিস্তান: ২০ ওভারে ১৪৭/৫।
২০তম ওভারের শেষ বলটা ইয়র্কার দিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। মোহাম্মদ নবীর ব্যাট হয়ে বল গেল বাউন্ডারিতে।
শেষ বলের চারে আফগানিস্তানের স্কোর হয়েছে ১৪৭/৫। যার অর্থ, বাংলাদেশের জয়ের লক্ষ্য ১৪৮।
গতকাল সিরিজের প্রথম টি–টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ জিতেছিল ১৫১ রান তাড়া করে। আজ লক্ষ্য আরও কম। বাংলাদেশ কি পারবে টানা দ্বিতীয় জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিততে?
আফগানিস্তান: ২০ ওভারে ১৪৭/৫ (জাদরান ৩৮, গুরবাজ ৩০, আতাল ২৩, নবী ২০*, ওমরজাই ১৯*; নাসুম ২/২৫, রিশাদ ২/৪৫, শরীফুল ১/১৩)।
বাংলাদেশ: ২ ওভারে ৮/১। লক্ষ্য: ১৪৮।
রান তাড়ার শুরুতেই উইকেট হারাল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে আজমতউল্লাহর বলে বড় শট খেলতে গিয়ে মিড অনে ক্যাচ তুলেছেন তানজিদ হাসান। দৌড়ে এসে ভালো ক্যাচ নিয়েছেন রশিদ খান।
আউট হওয়ার আগে তানজিদ স্বস্তিতে ছিলেন না। মুজিব উর রেহমানের করা প্রথম ওভারে ৫ বল খেলে নিতে পেরেছেন মাত্র ২ রান। সেই রান নিয়েই দলকে ৩ রানে রেখে বিদায় নিলেন।
নতুন ব্যাটসম্যান সাইফ হাসান।
বাংলাদেশ: ৪ ওভারে ২৩/২। লক্ষ্য: ১৪৮।
টিকলেন না আরেক ওপেনার পারভেজ হোসেনও। আজমতউল্লাহর দ্বিতীয় শিকার হয়ে এলবিডব্লু হয়েছেন পারভেজ। চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে বাংলাদেশ হারাল দ্বিতীয় উইকেট।
পারভেজ রিভিউ নিয়েছিলেন। এরপর তৃতীয় আম্পায়ারও তাঁর আউট নিশ্চিত করেছেন। ৫ বলে ২ রান করেছেন পারভেজ। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে চার নম্বরে নেমেছেন অধিনায়ক জাকের আলী।
আজমতউল্লাহর ওভারের শেষ বলে স্কয়ার লেগ দিয়ে ছক্কা মেরেছেন সাইফ হাসান। ম্যাচে এটি তাঁর দ্বিতীয় ছক্কা।
বাংলাদেশ: ৫ ওভারে ২৬/৩। লক্ষ্য: ১৪৮।
পঞ্চম ওভারের তৃতীয় বলে বাংলাদেশ হারাল সাইফ হাসানের উইকেট। মুজিবকে জায়গা বানিয়ে এক্সট্রা কাভার দিয়ে খেলেছিলেন সাইফ, বল ওপরে উঠে সেদিকউল্লাহর হাতে ক্যাচ। ২৪ রানের মধ্যে ৩ উইকেট নেই বাংলাদেশের।
নতুন ব্যাটসম্যান শামীম হোসেন।
পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে বোলিং করেছেন রশিদ খান। তৃতীয় বলে মিডউইকেট দিয়ে ছক্কা আর ষষ্ঠ বলে লং অন দিয়ে চার মেরেছেন শামীম হোসেন। রশিদের প্রথম ওভারে বাংলাদেশ নিয়েছে ১১ রান।
বাংলাদেশ: ৮ ওভারে ৫৬/৩। লক্ষ্য: ১৪৮।
অষ্টম ওভারের দ্বিতীয় বলে মোহাম্মদ নবীকে লং অন দিয়ে ছক্কা মেরেছেন জাকের আলী। এই ছক্কায় পঞ্চাশ ছুঁয়েছে বাংলাদেশের ইনিংস। নবীর ওভারটি থেকে এসেছে মোট ৯ রান।
বাংলাদেশ: ১০ ওভারে ৭৪/৩। লক্ষ্য: ১৪৮।
দশম ওভারের পঞ্চম বলে নূর আহমেদকে মিড উইকেট দিয়ে ছক্কা মারলেন শামীম হোসেন। যার মাধ্যমে পঞ্চাশ পূর্ণ হয়েছে শামীম–জাকের জুটির।
২৪ রানে তৃতীয় উইকেট হারানো বাংলাদেশ দল এখন রান তাড়ার প্রায় অর্ধেক পথ পেরিয়েছে।
শামীম ২৪, জাকের ২৭ রানে ব্যাট করছেন।
বাংলাদেশ: ১১ ওভারে ৮০/৪। লক্ষ্য: ১৪৮।
রশিদের গুগলিতে এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়লেন জাকের আলী। ভেঙে গেল ৫৬ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি।
জাকের আউট হওয়ার আগে করেছেন ২৫ বলে ৩২ রান। তাঁর ইনিংসে ছিল ২টি করে চার ও ছয়।
নতুন ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান।
বাংলাদেশ: ১৪ ওভারে ১০১/৪। লক্ষ্য: ১৪৮।
রান তাড়ার পথে ১৪তম ওভারের পঞ্চম বলে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছে বাংলাদেশ। ব্যাট করছেন শামীম হোসেন ও নুরুল হাসান।
বাংলাদেশ: ১৫ ওভারে ১০৪/৫। লক্ষ্য: ১৪৮।
নূর আহমেদকে নূর রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে বাঁহাতি থেকে ডানহাতি হয়ে গিয়েছিলেন শামীম হোসেন। কিন্তু ব্যাটে–বলে টাইমিং ভালো হয়নি। ডিপ পয়েন্ট থেকে অনেকটা দৌড়ে ভালো ক্যাচ নিয়েছেন মুজিব। ১০২ রানে বাংলাদেশ হারাল পঞ্চম উইকেট।
শামীম ২২ বলে করেছেন ৩৩ রান। তাঁর ইনিংসে ছিল ৩টি চার ২টি ছয়।
নতুন ব্যাটসম্যান নাসুম আহমেদ।
বাংলাদেশ: ১৭ ওভারে ১২২/৬। লক্ষ্য: ১৪৮।
ম্যাচে রশিদ খানের শেষ বলে বোল্ড হয়েছেন নাসুম আহমেদ। এতে অবশ্য রশিদের কৃতিত্বের চেয়ে নাসুমের দায়ই বেশি। বাতাসে ব্যাট চালিয়ে বল মিস করেছেন নাসুম। এই ওভারে এসেছে মাত্র দুই রান। রশিদ চার ওভারে ২ উইকেট নিয়েছেন ২৯ রানে।
উইকেটে আছেন নুরুল হাসান ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
এর আগে মোহাম্মদ নবীর করা ১৬তম ওভার থেকে ১৬ রান নিয়েছে বাংলাদেশ। একটি করে ছক্কা মেরেছেন নাসুম ও নুরুল।
বাংলাদেশ: ১৮ ওভারে ১২৯/৮। লক্ষ্য: ১৪৮।
১৮তম ওভারের তৃতীয় বলে উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন সাইফউদ্দিন। বাংলাদেশ হারিয়ে ফেলল ৭ উইকেট। বোলার আজমতউল্লাহ।
আউট হওয়ার আগের বলে ফাইন লেগ দিয়ে চার মেরেছিলেন সাইফউদ্দিন।
ঠিক পরের বলে ক্যাচ তুলেছেন রিশাদ হোসেন। তবে পেছনে গিয়ে হাতে নিতে পারেননি রিশাদ।
প্রথম বলে বেঁচে গেলেও পরের বলেই বোল্ড রিশাদ। তিন বলের মধ্যেই বাংলাদেশ হারাল দুই উইকেট।
ব্যাটিংয়ে নুরুলের সঙ্গে শরীফুল ইসলাম।
বাংলাদেশ: ১৯ ওভারে ১৪৬/৮। লক্ষ্য: ১৪৮।
১৯তম ওভারে ম্যাচটা নাগালে নিয়ে এসেছে বাংলাদেশ। নূর আহমেদের ওভারটিতে প্রথম বলে ছক্কা মেরেছেন নুরুল হাসান। পরের বলে ১।
তৃতীয় বল ডট যাওয়ার পর চতুর্থ ডেলিভারি ওয়াইডের সঙ্গে এসেছে দুটি অতিরিক্ত রান।
পরের তিন বলে শরীফুল নিয়েছেন ২, ৪ এবং ১ রান। সব মিলিয়ে ১৯তম ওভারে এসেছে ১৭ রান।
৬ বলে দরকার ছিল দুই রান। আজমতউল্লাহর প্রথম বল লং অন দিয়ে বাউন্ডারিতেই পাঠিয়ে দিলেন শরীফুল ইসলাম। বাংলাদেশ লক্ষ্যে পৌঁছে গেল ৫ বল বাকি রেখেই।
আফগানিস্তানের ১৪৭ রান বাংলাদেশ পেরিয়ে গেল ৮ উইকেট হারিয়ে। ২ উইকেটের জয় বাংলাদেশকে এনে দিয়েছে সিরিজও। তিন ম্যাচ সিরিজে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই বাংলাদেশ ২–০ ব্যবধানে এগিয়ে ট্রফি নিশ্চিত করেছে।
সিরিজজয়ের ম্যাচে শেষের নায়ক শরীফুল। দশ নম্বরে নেমে ৬ বলে ১১ রান করেছেন এই বাঁহাতি। এর আগে ম্যাচের শুরুতেও বাংলাদেশকে পথ দেখিয়েছেন এই শরীফুলই।
উইকেট পাননি, কিন্তু প্রথম তিন ওভারে মাত্র ৯ রান দিয়ে আফগানিস্তানের ব্যাটসম্যানদের বড় শট খেলা থেকে আটকে রেখেছিলেন। পরে ডেথ ওভারের বোলিংয়ে ফিরে তিনিই ফিরিয়েছিলেন রহমানউল্লাহ গুরবাজকে, ৩০ রান করে যিনি আজ আফগানিস্তানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।
আফগানিস্তানকে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৪৭ রানে আটকে রাখার পথে বিশেষ ভূমিকা ছিল নাসুম আহমেদ, সাইফউদ্দিনেরও। নাসুম ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট, সাইফউদ্দিন উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে দিয়েছেন ২২ রান।
রান তাড়ায় বাংলাদেশ টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে হারিয়েছে ২৪ রানের মধ্যেই। এরপর চতুর্থ উইকেটে শামীম হোসেন ও জাকের আলী গড়েন ৫৬ রানের জুটি। এই জুটি ভাঙার পর আরেকবার বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। ১৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের জয়ের জন্য দরকার ছিল ১৯ রান, হাতে দুই উইকেট। সেখান থেকেই জয় নিশ্চিত করেছে নুরুল হাসান–শরীফুল জুটি। নুরুল অপরাজিত থেকেছেন ৩১ রানে।
আফগানিস্তান: ২০ ওভারে ১৪৭/৫ (জাদরান ৩৮, গুরবাজ ৩০, আতাল ২৩, নবী ২০*, ওমরজাই ১৯*; নাসুম ২/২৫, রিশাদ ২/৪৫, শরীফুল ১/১৩)। বাংলাদেশ: ১৯.১ ওভারে ১৫০/৮ (শামীম ৩৩, জাকের ৩২, নুরুল ৩১*, সাইফ ১৮; ওমরজাই ৪/২৩, রশিদ ২/২৯)। ফল: বাংলাদেশ ২ উইকেটে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: শরীফুল ইসলাম। সিরিজ: তিন ম্যাচ সিরিজে বাংলাদেশ ২–০ ব্যবধানে এগিয়ে।