Thank you for trying Sticky AMP!!

রংপুরকে বড় ব্যবধানে হারিয়েছে বরিশাল

সাকিব-ইফতিখারের রেকর্ডের পর রংপুরকে উড়িয়ে দিল বরিশাল

সাকিব আল হাসান ও ইফতিখারের রেকর্ড জুটিতে ২৩৮ রান তোলার পর রংপুর রাইডার্সকে উড়িয়ে দিয়েছে ফরচুন বরিশাল। শামীম হোসেন ও মোহাম্মদ নেওয়াজ শেষ দিকে ঝোড়ো ইনিংস খেললেও তা যথেষ্ট হয়নি রংপুরের জন্য, ৯ উইকেটে ১৭১ রান তুলেই থেমেছে তারা। ৬৭ রানের বিশাল জয়ের পর এখন পয়েন্ট তালিকায় টেবিলের শীর্ষে থাকা সিলেট স্ট্রাইকার্সের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছে বরিশাল। ৫ ম্যাচে ৪ জয়ে ৮ পয়েন্ট তাদের, ৬ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট সিলেটের।

চট্টগ্রামে আগে বোলিং করতে নেমে ঝলক দেখাচ্ছিলেন রংপুর রাইডার্স পেসাররা। পেস, বাউন্স, মুভমেন্ট—কী ছিল না শুরুর দিকে! হারিস রউফ, হাসান মাহমুদ তুলছিলেন গতির ঝড়। ফরচুন বরিশাল সে তোপে পড়ে ৪ উইকেট হারাল ৪৬ রানেই। কিন্তু নতুন বলের আগুন একটা সময় নিভেছে। তাতে বেরিয়ে এসেছে রংপুরের বোলিংয়ের দুর্বলতা। আর ঠিক সে সময় ক্রিজে ছিলেন দুর্দান্ত ফর্মে থাকা বরিশালের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তাঁকে সঙ্গ দিচ্ছিলেন ইফতিখার আহমেদ, যিনি এর মধ্যেই বরিশালের দুটি জয়ে অবদান রেখেছেন আক্রমণাত্মক ইনিংস খেলে।

Also Read: বিশ্বরেকর্ড গড়লেন সাকিব, সঙ্গী ইফতিখার

সেই সাকিব ও ইফতিখার এরপর গড়লেন ৮৬ বলে ১৯২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি, সব ধরনের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেই পঞ্চম উইকেট জুটিতে যেটি সর্বোচ্চ। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করেন ইফতিখার, সেঞ্চুরি না পেলেও টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ স্কোর পান সাকিব। তাতে বরিশালের রান গিয়ে ঠেকে ৪ উইকেটে ২৩৮ রানে, যা বিপিএলের ইতিহাসে দ্বিতীয় দলীয় সর্বোচ্চ স্কোর।

টি–টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেন সাকিব

বরিশাল ইনিংসে ঝড়ের শুরুটা হয় ১৩তম ওভারে। দ্রুত ৪ উইকেট হারানোর ধাক্কাটা সামলাতে সাকিবদের সময় লেগেছে ঠিকই। তবে ১৩তম ওভারে রংপুরের অধিনায়ক শোয়েব মালিক আনেন পার্ট টাইম অফ স্পিনার শামীম হোসেনকে। ডানহাতি ইফতিখার যেন বড় শট ছাড়া কিছুই ভাবতে পারছিলেন না ওই ওভারে।

শামীমের প্রথম ৫ বলেই ৪টি ছক্কা মারেন ইফতিখার। শেষ বলটিও বাউন্ডারির ওপারে পাঠানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে করা শামীমের অ্যাঙ্গেল করে বেরিয়ে যাওয়া বলে পরাস্ত হওয়ায় বল যায় পয়েন্টে। কিন্তু রনি তালুকদার সহজ ক্যাচটি লুফে নিতে ব্যর্থ হন। ইফতিখার তখন খেলছিলেন ৪৬ রানে।

Also Read: ইফতিখার এখন সাকিবদেরও ‘চাচা’

সুযোগ পেয়ে আর পেছনে ফিরে তাকাননি এই পাকিস্তানি। ২৯ বলে ফিফটি করেন। পরের ফিফটি করতে তাঁর লাগে মাত্র ১৬ বল। শেষ পর্যন্ত ৪৫ বলে ১০০ রান করে অপরাজিত থাকেন। এবারের বিপিএলে এটি তৃতীয় সেঞ্চুরি। ২২২ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসটিতে ৬টি চার ও ৯টি ছক্কা মারেন ইফতিখার, বাউন্ডারিগুলোর বেশির ভাগ আসে স্পিনারদের বিপক্ষেই। স্পিনের বিপক্ষে খেলার খুঁটিনাটি একসময় শোয়েব মালিকের কাছে শিখেছিলেন ইফতিখার, এবার সেই শোয়েবের দলের বিপক্ষেই অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠলেন।

২৪ বলে ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন শামিম হোসেন

অন্য প্রান্তে সাকিবও থেমে ছিলেন না। ইফতিখার পেশির জোরে মারছিলেন, আর সাকিব খেলছিলেন বোলারের গতি নিয়ে। কখনো জায়গা বানিয়ে খেলেছেন পয়েন্ট ও স্কয়ার লেগে দিয়ে, এক্সট্রা কাভারের ওপর দিয়ে খেলা শটগুলোও ছিল চোখে লেগে থাকার মতো। ৩৩ বলে ফিফটি করলেও সাকিবের ইনিংসের শেষ ১০ বলে এসেছে ৩৯ রান। তাতে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত অপরাজিত ৮৯ রানের ইনিংসটা হয়ে যায় তাঁর।

Also Read: ফরচুন বরিশাল: গতবার রানার্সআপ, এবার?

এর আগে ৩৮০ ইনিংসে সাকিবের সর্বোচ্চ ইনিংসটি ছিল অপরাজিত ৮৬ রানের। ২০১২ সালে বিপিএলের প্রথম আসরে ঢাকার বিপক্ষে সে ইনিংস খেলেছিলেন খুলনার হয়ে। গতকাল ৪৩ বল খেলে সাকিব অপরাজিত ছিলেন ৮৯ রানে, ৯টি চার ও ৬টি ছক্কা ছিল সাকিবের ২০৬ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসে।