প্রথম বলেই বোল্ড হন রিজওয়ান।
প্রথম বলেই বোল্ড হন রিজওয়ান।

বাবর–রিজওয়ানের ‘ঠেলাগাড়ি’ ওয়ানডেতেও চলছে না

প্রায় দুই বছর পার হয়ে গেল! আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেঞ্চুরি নেই বাবর আজমের। সর্বশেষ মুলতানে ২০২৩ সালের ৩০ আগস্ট এশিয়া কাপে নেপালের বিপক্ষে ১৫১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন বাবর। এর পর থেকেই সেঞ্চুরিখরা শুরু। ইনিংসের হিসাবে ৭২ ইনিংস সেঞ্চুরিহীন পাকিস্তানের সাবেক এই ব্যাটসম্যান।

কাল রাতে ত্রিনিদাদে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে আউট হন ৯ রানে। এর আগের ইনিংসে করেছেন শূন্য। তাতে নতুন করে সমালোচনায় পড়েছেন বাবর। আর এই সমালোচনায় বাবরের সঙ্গী পাকিস্তানের ওয়ানডে অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডেতে রিজওয়ান আউট হন প্রথম বলেই, আগের ইনিংসে করেন ১৬ রান। শুধু কি তা–ই, ওয়ানডেতে দুজনের স্ট্রাইক রেট নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। পরিসংখ্যানও সে পালে হাওয়া দিচ্ছে। উইজডেন জানিয়েছে, ২০২৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ওয়ানডেতে সবচেয়ে কম স্ট্রাইক রেট বাবর ও রিজওয়ানের।

সিলসের বলে আউট হন বাবর।

এ সময়ে ওয়ানডেতে বাবরের স্ট্রাইক রেট ৭৭.৬২, রিজওয়ানের ৭৪.৯৪। দুজনের ক্যারিয়ার স্ট্রাইক রেট অবশ্য এর চেয়ে ভালো। বাবর যেখানে ওয়ানডেতে ৮৭.৬৩ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করেন, সেখানে রিজওয়ান ব্যাটিং করেন ৮৫.৮৮ স্ট্রাইক রেটে।

বোঝাই যাচ্ছে, সেরাটা থেকে অনেক দূরে দুজন। গত বছরের শুরু থেকে এ সময় পর্যন্ত ইনিংসও যে কম খেলেছেন, তা নয়। বাবর ম্যাচ খেলেছেন ১৭টি, পাঁচ ফিফটিতে রান করেছেন ৫৬২। অন্যদিকে রিজওয়ান খেলেছেন ২০টি ম্যাচ, তিন ফিফটি ও এক সেঞ্চুরিতে রান করেছেন ৬২৫।

পাকিস্তান দলে বাবর-রিজওয়ান অনেক দিন ধরেই চাপে আছেন। এরই মধ্যে টি-টোয়েন্টি দল থেকে বাদ পড়েছেন দুজনই। অথচ টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় বাবর রিজওয়ানই শীর্ষে। তবে স্ট্রাইক রেট নিয়ে সমালোচনার মুখেই বাদ পড়েন দুজন। এখন ওয়ানডেতেও তাঁদের সেই ‘ঠেলাগাড়ি’র মতো স্ট্রাইক রেট আলোচনায় ফিরল।

আবার চাপে বাবর ও রিজওয়ান।

খারাপ সময় কাটানোর পরও ওয়ানডেতে বাবরের গড় এখনো ৫৪.২৩। সেঞ্চুরি আছে ১৯টি। রিজওয়ানের ওয়ানডে গড় ৪০–এর বেশি; মিডল অর্ডারে যেটাকে খারাপ বলার সুযোগ নেই। তবু এসব আলোচনা ফিরছে দল হিসেবে পাকিস্তান ব্যর্থ হওয়ায়।

কাল ২০২ রানে হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩৪ বছর পর সিরিজ হারল পাকিস্তান। কাল চতুর্থবারের মতো পাকিস্তান ওয়ানডেতে ২০০ রানের বেশি ব্যবধানে হারল। সবচেয়ে বড় হারটা ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে লাহোরে। সেই ম্যাচে পাকিস্তান ২৩৪ রানে হেরেছিল।