বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে টানা তিন ম্যাচ হারল আফগানিস্তান। এর আগে দুই দলের মুখোমুখি দেখায় টানা তিন ম্যাচে আফগানিস্তান কখনোই হারেনি; বরং টানা চার ম্যাচ জিতেছে।
কাল শারজাতে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে জয় পাওয়ায় বাংলাদেশ মুখোমুখি লড়াইয়েও আফগানদের ছাড়িয়ে গেছে। দুই দলের খেলা ১৫ ম্যাচে বাংলাদেশের জয় ৮টিতে।
এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ হারের সঙ্গে এসব পরিসংখ্যান দেখে আফগান অধিনায়ক রশিদ খানের হয়তো মন খারাপ হওয়ার কথা। যদিও কাল বাংলাদেশের কাছে ২ উইকেটের হারে সিরিজ খোয়ানোর পরও ইতিবাচক একটি দিক ঠিকই খুঁজে বের করেছেন রশিদ।
এমনিতে আফগানিস্তানের ফিল্ডিং অনেক সময়ই তাদের ভুগিয়েছে। সর্বশেষ এশিয়া কাপেও দলটি চারটি ক্যাচ ছেড়েছে। শারজায় চলমান টি–টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচেও এক ওভারে বাংলাদেশ ওপেনার পারভেজ হোসেনের দুটি ক্যাচ ছেড়েছিল আফগানিস্তান। সেই পারভেজ পরে ফিফটি করে হয়েছেন ম্যাচসেরা। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেটের পেছনে ফিল্ডিং মিসে বাউন্ডারি বের হয়েছে।
রশিদের দাবি, কাল ম্যাচ হারলেও অন্তত ফিল্ডিংটা তাদের ভালো হয়েছে। ম্যাচ শেষে আফগান অধিনায়ক বলেছেন, ‘আমি মনে করি, আজকে অন্তত একটা ইতিবাচক দিক ছিল, সেটা হলো আমাদের ফিল্ডিং। আমরা যা চেয়েছিলাম, সেটা করতে পেরেছি। তবে রান তুলতে কিছুটা পিছিয়ে যাই।’
আফগানিস্তানের টপ অর্ডারে তিনজন ভালো শুরু পেয়েছিলেন। তিনজনের মধ্যে সবচেয়ে কম রান করেছেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ, তা–ও ২২ বলে ৩০। এরপরও আফগানিস্তান বড় রান করতে পারেনি। ২০ ওভারে ১৪৭ রানেই থামতে হয়। রশিদ মনে করেন পরিস্থিতি বুঝে বড় শট খেলতে পারেননি ব্যাটসম্যানরা, ‘শুরুতে উইকেটটা ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো ছিল। কিন্তু একবার ষষ্ঠ গিয়ারে গিয়ে বড় শট খেলা শুরুর পর আর চতুর্থ, পঞ্চম গিয়ারে ফিরতে পারিনি। বড় শট খেলতে থাকলেও পরিস্থিতি বুঝে শটের মধ্যে ভারসাম্য আনাটাই আসল বিষয়।’
আফগানিস্তানের সংগ্রহ বড় না হওয়ায় ভালো ভূমিকা রাখেন বাংলাদেশের পেসার শরীফুল ইসলাম। ৪ ওভারে ১৩ রানে ১ উইকেট নেন এই বাঁহাতি পেসার। পরে ব্যাটিংয়ে নেমেও দলের জয়ে বড় অবদান রাখেন। শরীফুল যখন ক্রিজে নামেন হাতে ২ উইকেট রেখে ১৩ বলে ১৯ রান দরকার ছিল বাংলাদেশের। দুই চারে ৬ বলে অপরাজিত ১১ রানের ইনিংসে ম্যাচটি জেতান শরীফুল। ম্যাচসেরাও তিনি।
জয়ের পর শরীফুল পুরস্কার বিতরণীতে বলেন, ‘উইকেট ব্যাট করার জন্য ভালো ছিল। অনুশীলনে যা করি সেটাই (ম্যাচে) করতে চেয়েছিলাম এবং তা কাজেও লেগেছে। ব্যাটিংয়ে নামার পর নুরুল উইকেট দিয়ে আসতে নিষেধ করেছে। সামনে পড়া (ফুল পিচ) বলগুলোর সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার করতে চেয়েছি।’
সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ আগামীকাল, শারজাতেই।