গত আইপিএলে সেঞ্চুরির পর লোকেশ রাহুল
গত আইপিএলে সেঞ্চুরির পর লোকেশ রাহুল

‘ফ্লপস্টার’কে ঝেড়ে ফেলে রাহুলের দিকে চোখ কলকাতার

দল পুনর্গঠনের পথে হাঁটছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। ২০২৫ আইপিএলে পয়েন্ট তালিকার ৮ নম্বরে থেকে শেষ করেছে ২০২৪ সালের চ্যাম্পিয়নরা। এর মধ্যেই প্রধান কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত ও বোলিং কোচ ভরত অরুণের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। এবার তাদের নজর পড়েছে দিল্লি ক্যাপিটালসের ভারতীয় ব্যাটসম্যান লোকেশ রাহুলের দিকে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, কলকাতা রাহুলকে ‘ট্রেড’ করে আনার জন্য চেষ্টা করছে। বর্তমানে আইপিএলের ট্রেড উইন্ডো খোলা আছে এবং দলগুলো পরের মৌসুমের জন্য অন্য ফ্র্যাঞ্চাইজি থেকে খেলোয়াড় নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। আইপিএলের নিয়ম অনুযায়ী, খেলোয়াড় ট্রেডিং উইন্ডো শুরু হয় একটি মৌসুম শেষ হওয়ার এক মাস পর, যা চলতে থাকে নিলামের এক সপ্তাহ আগে পর্যন্ত।

এরপর এটি আবার নিলামের পর থেকে শুরু হয়ে পরবর্তী মৌসুম শুরুর এক মাস আগে পর্যন্ত চলে। একটি ট্রেড হতে পারে পুরো নগদ অর্থের লেনদেন বা খেলোয়াড় বিনিময়। মানে কলকাতার রাহুলকে নিতে হলে দিল্লিকে কাউকে দিতে হবে। অথবা নগদ অর্থ দিয়ে নিতে হবে।

শোনা যাচ্ছে, রাহুলকে পেতে অলরাউন্ডার ভেঙ্কটেশ আইয়ারকে ছেড়ে দিতে পারে কলকাতা। গত মৌসুমে ২৩ কোটি ৭৫ রাখ রুপিতে কলকাতা নিলাম থেকে আইয়ারকে কিনেছিল। তবে এই বাঁহাতি গত মৌসুমে করেছেন মাত্র ১১ ম্যাচে ১৪২ রান। পুরো টুর্নামেন্টে কলকাতার অনেকটা বোঝা হয়ে ছিলেন তিনি।

ভেঙ্কটেশ আইয়ার গত মৌসুমে পারফর্ম করতে পারেননি।

এ ছাড়া দুই ফ্র্যাঞ্চাইজি সম্পূর্ণ নগদ অর্থের ভিত্তিতে চুক্তিতে রাজি হতে পারে। এমনও হতে পারে যে কলকাতা অর্থের বিনিময়ে রাহুলকে দলে নেবে। তবে তা করতে হলে ২০২৪ সালের চ্যাম্পিয়নদের কয়েকজন খেলোয়াড় ছেড়ে দিতে হবে। গত মৌসুমে রাহুল দিল্লিতে খেলেছেন ১৪ কোটি রুপিতে।

শুধু অধিনায়কত্ব নয়, কলকাতায় ব্যাটসম্যান রাহুলেরও প্রয়োজন আছে। গত মৌসুমে ১৩ ম্যাচে ৫৩৯ রান করেছিলেন রাহুল, সেটাও ১৪৯ স্ট্রাইক রেটে। যেখানে গত মৌসুমে কলকাতার কেউ ৪০০ রানের গণ্ডিও পার করতে পারেননি। সর্বোচ্চ ৩৭৫ রান করেছিলেন অধিনায়ক রাহানে।

কলকাতায় উইকেটকিপিং করেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ অথবা কুইন্টন ডি কক। রাহুলকে দলে নিলে কলকাতা একজন ভারতীয় ওপেনার ও উইকেটকিপার পাবে। এতে তাদের একটি বিদেশি স্লট খালি হবে। স্বাভাবিকভাবেই তাতে বাড়বে দলের বৈচিত্র্য।