Thank you for trying Sticky AMP!!

কলকাতাকে বিদায় করে প্লে–অফে নাম লিখিয়েছে লক্ষ্ণৌ

রিংকু–ঝড়ের পরও ১ রানের জয়ে প্লে–অফে লক্ষ্ণৌ

শেষ পাঁচ বলে পাঁচ ছক্কা মেরে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে জেতানোর কীর্তিটা মনে আছে নিশ্চয়! রিংকু সিং আজও সেটার প্রায় পুনরাবৃত্তি করতে যাচ্ছিলেন। তবে পারলেন না একটুর জন্য।

লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে রিংকু–বীরত্বের পরও কলকাতা হেরে গেল ১ রানে। এ হারে কলকাতার বিদায়ও নিশ্চিত হয়ে গেল। তৃতীয় দল হিসেবে আইপিএলের প্লে–অফে উঠে গেল লক্ষ্ণৌ। এর আগে গুজরাট টাইটানস ও চেন্নাই সুপার কিংস শীর্ষ দুইয়ে থাকা নিশ্চিত করেছে।

শীর্ষ দুইয়ে থেকে প্রথম কোয়ালিফায়ারে খেলার সুযোগ ছিল লক্ষ্ণৌরও। সে ক্ষেত্রে তাদের জিততে হতো ৯৭ রানে। জটিল সমীকরণ ছাড়াও লক্ষ্ণৌর জন্য এই ম্যাচটা ছিল বিশেষ। এ ম্যাচে কলকাতার বিখ্যাত ফুটবল ক্লাব মোহনবাগানের সবুজ-মেরুন রঙের জার্সি পরে মাঠে নেমেছিল তারা। এই বিশেষ ম্যাচে টসে হেরে আগে ব্যাটিং করা লক্ষ্ণৌ তুলেছিল ১৭৬ রান। জবাবে কলকাতা থেমেছে ১৭৫ রানে। রিংকু অপরাজিত ছিলেন ৩৩ বলে ৬৭ রানে।

অথচ লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা দারুণ করেছিল কলকাতা। ওপেনার জেসন রয় ও ভেঙ্কটেশ আইয়ার গড়েন ৩৫ বলে ৬১ রানের জুটি। তবে আইয়ারের বিদায়ের পর ক্রিজে আসা অধিনায়ক নিতীশ রানা ও মিডল অর্ডারে ব্যাটিংয়ে আসা রহমানউল্লাহ গুরবাজ রান করতে পারেননি। ব্যর্থ হয়েছেন আন্দ্রে রাসেলও।

এর আগে শুরুটা ভালো হয়নি লক্ষ্ণৌর। ব্যক্তিগত ৩ রানে ফেরেন কারণ শর্মা। কুইন্টন ডি কক ক্রিজে টিকে থাকলেও সাবলীল ব্যাটিংটা করতে পারেননি। আউট হওয়ার করেছেন ২৭ বলে ২৮ রান।

তিন নম্বরে নামা প্রেরক মানকড় করেন ২০ বলে ২৬ রান। ছন্দে থাকা মার্কাস স্টয়নিস, অধিনায়ক ক্রুনাল পান্ডিয়া ব্যর্থ হলে ৭৩ রানেই ৫ উইকেট হারায় লক্ষ্ণৌ। সেখান থেকে লক্ষ্ণৌকে টেনে তোলেন নিকোলাস পুরান। তাঁর ৩০ বলে ৫৮ রানের ইনিংসেই ১৭৬ রানের সংগ্রহ পায় লক্ষ্ণৌ।

বৃথা গেছে রিংকু বীরোচিত ইনিংস

সংক্ষিপ্ত স্কোর

লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস : ২০ ওভারে ১৭৬/৮

(পুরান ৫৮, ডি কক ২৮, মানকড় ২৬; শার্দূল ২/২৭, নারাইন ২/২৮, অরোরা ২/৩০)

কলকাতা নাইট রাইডার্স : ২০ ওভারে ১৭৫/৭

(রিংকু ৬৭, রয় ৪৫, আইয়ার ২৪; বিষ্ণই ২/২৩, যশ ২/৩১, গৌতম ১/২৬)

ফল : লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস ১ রানে জয়ী।

Also Read: আইপিএল প্লে-অফে উঠতে কোন দলকে কী করতে হবে