
ম্যাচটি দক্ষিণ আফ্রিকা বোধ হয় খুব দ্রুতই ভুলে যেতে চাইবে। নারী ক্রিকেট বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাত্তাই পায়নি তারা। আগে ব্যাট করতে নেমে ইংলিশ বোলারদের তোপের মুখে মাত্র ৬৯ রানে গুটিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
জবাবে মাত্র ১৪.১ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে জয়ের বন্দরে নোঙর ফেলে ইংল্যান্ড। এই ম্যাচে দুই দল মিলিয়ে রান হয়েছে ১৪২ (দক্ষিণ আফ্রিকা ৬৯ ও ইংল্যান্ড ৭৩)। যা নারী ওয়ানডেতে ইংল্যান্ড–দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচে সম্মিলিতভাবে সর্বনিম্ন।
গুয়াহাটিতে আজ টস জিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্যাট করতে পাঠায় ইংল্যান্ড। ব্যাটিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা ন্যূনতম দৃঢ়তাও দেখাতে পারেনি। দলের ১০ ব্যাটসম্যানই দুই অঙ্ক ছুঁতে ব্যর্থ হয়েছেন। সিনালো জাফটা দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২২ রান করেছেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান (৮) এসেছে অতিরিক্ত থেকে। মাত্র ২০.৪ ওভারেই শেষ হয়ে যায় আফ্রিকান দলটির ইনিংস।
প্রোটিয়া নারীদের অবিশ্বাস্য ব্যাটিংধসে ভূমিকা আছে ইংল্যান্ডের সব বোলারের। ৭ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন লিনসে স্মিথ। আর ২টি করে উইকেট নিয়েছেন ন্যাট শিভার–ব্রান্ট, সোফি একলেস্টন ও চার্লি ডিন। লরেন বেল নেন ১ উইকেট।
৭০ রানের লক্ষ্য পূরণে ১৪.১ ওভারের বেশি লাগেনি ইংল্যান্ডের। দুই ওপেনার টেমি বিমন্ট ও অ্যামি জোন্স উদ্বোধনী জুটিতে অবিচ্ছিন্ন থেকেই ম্যাচ শেষ করে দেন। বিমন্ট ২১ ও জোন্স ৪০ রানে অপরাজিত থাকেন। দারুণ বোলিংয়ে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন লিনসে স্মিথ।
ম্যাচ শেষে ইংলিশ অধিনায়ক ব্রান্ট বলেছেন, ‘খুবই আনন্দিত। মাঠে সবাই চমৎকার খেলেছে।’ ম্যাচের নায়ক স্মিথকে নিয়ে ব্রান্ট বলেন, ‘সে শুধু নিজের শক্তির ওপরই নির্ভর করেছে। সে একজন বাঁহাতি স্পিনার, কিন্তু বল ঘোরাতেও পারে। আমরা জানতাম, ওপেনারদের বিরুদ্ধে সে দারুণ করতে পারে। এই জুটি ভাঙা গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’
দক্ষিণ আফ্রিকা: ২০.৪ ওভারে ৬৯ (জাফটা ২২, খাকা ৬*, বোশ ৬; স্মিথ ৩/৭, ব্রান্ট ২/৫, ডিন ২/১৪)।
ইংল্যান্ড: ১৪.১ ওভারে ৭৩/০ (জোন্স ৪০*, বিমন্ট ২১*)।
ফল: ইংল্যান্ড ১০ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা: লিনসে স্মিথ।