ব্যাট হাতে নামার সুযোগই পাননি। বোলিংয়েও সুবিধা করতে পারেননি সাকিব আল হাসান। ২ ওভার বল করে ২০ রান দেওয়ার পর তাঁকে আর বোলিংয়েই আনেননি এমআই এমিরেটসের অধিনায়ক কাইরন পোলার্ড।
বাংলাদেশি অলরাউন্ডারের তেমন কিছু না করার ম্যাচটিতে অবশ্য সহজেই জয় পেয়েছে এমআই এমিরেটস। জায়েদ স্টেডিয়ামে আবুধাবি নাইট রাইডার্সকে ৩৫ রানে হারিয়েছে তারা।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৮৭ রান করে এমআই। কেউ ফিফটি না পেলেও দলটির ব্যাটসম্যানরা ছোট ছোট ক্যামিওতে বড় রানের ভিত গড়ে দেন। ২৪ বলে ২টি করে চার–ছক্কায় সর্বোচ্চ ৪০ রান করে অপরাজিত থাকেন নিকোলাস পুরান। ১৬ বলে ৩৮ রান আসে ওপেনার জনি বেয়ারস্টোর ব্যাট থেকে।
রান তাড়ায় আবুধাবি লম্বা একটা সময় জয়ের পথেই এগোচ্ছিল। ১৪ রানে প্রথম উইকেট হারালেও ব্রেন্ডন ম্যাকমুলেন ও অ্যালেক্স হেলস দ্বিতীয় উইকেটে ৫৩ বলে ৮২ রানের জুটি গড়েন।
তৃতীয় ওভারে প্রথমবার বোলিংয়ে আনা হয় সাকিবকে। প্রথম বলেই সাকিবকে ছক্কা মারেন ম্যাকমুলেন। বাকি ৫ বলে আর কোনো বাউন্ডারি হজম না করে মাত্র ৩ রান দেন তিনি। পাওয়ারপ্লে শেষ হওয়ার পর সপ্তম ওভারে আবার বোলিংয়ে আসেন সাকিব।
এবারও পুরো ওভারে তাঁকে একটি বাউন্ডারি মারেন ম্যাকমুলেন। বাকি ৫ বল থেকে আসে ৫ রান। দুই ওভারে ২০ রান দেওয়ার পর আর বোলিং পাননি তিনি। তবে তাঁর দল ঠিকই জয় পায়।
২৭ বলে ৪০ রান করে হেলস আউট হলে দ্বিতীয় উইকেট জুটি ভাঙে। পরের ৫ ব্যাটসম্যানই আউট হন এক অঙ্কের ঘরে। একপ্রান্তে ম্যাকমুলেন ৪৯ বল ৬৪ রান করে অপরাজিত থাকলেও দলকে জয় এনে দিতে পারেননি। ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫২ রানের বেশি করতে পারেনি আবুধাবি।