জাতীয় ক্রিকেট লিগের শেষ রাউন্ডের দ্বিতীয় দিনে সেঞ্চুরি পেয়েছেন ঢাকা বিভাগের রনি তালুকদার। ১২তম প্রথম শ্রেণির সেঞ্চুরি করার পথে এই সংস্করণে ৬ হাজার রানের মাইলফলকও ছুঁয়েছেন এই ওপেনার।
বগুড়ায় বরিশালকে আগের দিন ২৮৯ রানে অলআউট করা ঢাকা বিভাগ ব্যাটিং শুরু করে আজ। দিনের ১৫তম ওভারে স্লিপে ক্যাচ তুলেও মঈনুল ইসলামের ব্যর্থতায় বাউন্ডারি পেয়ে যান ওপেনার রনি তালুকদার। ১৪ রানে জীবন পাওয়া সেই রনি ফিরেছেন দিনের শেষ ঘণ্টায় দলকে ২৬৬ রানে রেখে অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে। যাওয়ার আগে প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারের ১২তম সেঞ্চুরি ও ৬ হাজার রানের মাইলফলক ছুঁয়েছেন বাংলাদেশের ১২টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা রনি।
ঢাকা দিন শেষ করেছে ৮ উইকেটে ৩০৩ রান তুলে। ঢাকার ইনিংসে রনির পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৫ রান নিয়ে নামা সুমন খানের। এনামুল হককে নিয়ে অবিচ্ছিন্ন নবম উইকেট জুটিতে ৩৭ রান যোগ করেছেন সুমন।
চট্টগ্রামে ২ উইকেটে ৪৯ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করা সিলেট প্রথম ইনিংসে থামে ২১২ রানে। তাতে চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে ১৪ রানের লিড পায় রাজশাহী। ৩ উইকেটে ৭০ রান তুলে রাজশাহী দিন শেষে এগিয়ে ৮৪ রানে। সিলেটের ইনিংসে সর্বোচ্চ ৫৮ রান ওপেনার পিনাক ঘোষের। ৫৩ রান করেছেন অধিনায়ক অমিত হাসান। এবারের লিগে অমিতের এটি ষষ্ঠ ৫০ ছাড়ানো ইনিংস। ২ সেঞ্চুরি ৪ ফিফটিতে ৭১৪ রান নিয়ে অমিতই এবারের লিগের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।
খুলনায় কাল খেলা হতে পেরেছিল ৪৪ ওভার। তাতে দুই দিন মিলিয়ে রংপুরের বিপক্ষে ৬৯ ওভারে ৭ উইকেটে ২৪০ রান তুলেছে খুলনা। ৫০ রানে একবার জীবন পাওয়া ওপেনার এনামুল হক (বিজয়) ফিরেছেন ৯০ রান করে। ১২৬ রানের তৃতীয় উইকেট জুটিতে তাঁর সঙ্গী মোহাম্মদ মিঠুন দিন শেষে অপরাজিত আছেন ৮৯ রানে।
রাজশাহীতে চট্টগ্রামের বিপক্ষে দ্বিতীয় দিন শেষে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ঢাকা মহানগরের কাছে। ৩ উইকেটে ১৬১ রান নিয়ে দিন শুরু করা মহানগর অলআউট হয় ২৬৮ রানে। ১০৮ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা চট্টগ্রাম ৬ উইকেটে ১৭৩ রান নিয়ে দিন শেষ করেছে। দলটি এগিয়ে ৬৫ রানে। বরিশালের চার ব্যাটসম্যান ৪০ ছাড়ালেও ফিফটি পেয়েছেন শুধু আইচ মোল্লা (৫৭)। চট্টগ্রামের বাঁহাতি স্পিনার আশরাফুল হাসান নিয়েছেন ৪ উইকেট। চট্টগ্রামের দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৪ রান করেছেন সাজ্জাদুল হক। ঢাকা মহানগরের পেসার আবু হায়দার নিয়েছেন ৪ উইকেট।