
একসময় স্পিননির্ভর ছিল বাংলাদেশ দল। পেসারদের দাপট অতটা ছিল না। সময় গড়িয়ে এখন বোলিংয়ে দুই বিভাগেই ভারসাম্য এসেছে। স্পিনারদের পাশাপাশি ভালো করছেন পেসাররা। আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতেই যেমন এ বছর টেস্ট খেলুড়ে দলগুলোর মধ্যে ওভারপ্রতি গড়ে রান দেওয়ায় বাংলাদেশের পেসাররা কিপটেমিতে শীর্ষে।
এই কিপটেমি আসলে বোলারদের ইকোনমি রেট। যেখানে টেস্ট খেলুড়ে দলগুলোর মধ্যে এ সংস্করণে চলতি বছর এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ভালো ইকোনমি রেট বাংলাদেশের পেসারদের। ২৪ ম্যাচে ২৪৬.২ ওভার বোলিং করে বাংলাদেশের পেসারদের ইকোনমি রেট ৭.৮৩। এ পথে ৯১ উইকেট নিয়েছেন বাংলাদেশের পেসাররা, যা টেস্ট খেলুড়ে দলগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
পাকিস্তানের পেসাররা নিয়েছেন সর্বোচ্চ ৯৩ উইকেট। পাকিস্তান অবশ্য বাংলাদেশের চেয়ে দুটি ম্যাচ বেশি খেলেছে। টেস্ট খেলুড়ে দলগুলোর পেসারদের মধ্যে এ বছর ৮–এর কম ইকোনমি রেট শুধু বাংলাদেশ, নিউজিল্যান্ড ও জিম্বাবুয়ের। বাকি ৯টি দলের পেসারদের ইকোনমি রেটই ৮–এর ওপরে। এ তালিকায় সবার নিচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসাররা। তাঁদের ইকোনমি রেট ১০.২৫।
টি–টোয়েন্টিতে এ বছর দলগতভাবে পেসারদের পারফরম্যান্সে বাংলাদেশের পরই আছে নিউজিল্যান্ড। যদিও বাংলাদেশের চেয়ে ১০ ম্যাচ কম খেলেছে কিউইরা। ১৪ ম্যাচে ১৬৮.৩ ওভার বোলিং করে ৭.৯১ ইকোনমি রেট নিউজিল্যান্ডের পেসারদের। এ পথে ৭২ উইকেট নিয়েছেন তাঁরা। তালিকায় তৃতীয় দলটি দেখে অবাক হতে পারেন। এ বছর ১৮ টি–টোয়েন্টি ম্যাচে জিম্বাবুয়ের পেসারদের ইকোনমি রেট ৭.৯৬। ১৮৯.৫ ওভার বোলিং করে ৭৩ উইকেট নিয়েছেন জিম্বাবুয়ের পেসাররা।
পরের তিনটি দল যথাক্রমে উপমহাদেশের তিন জায়ান্ট—শ্রীলঙ্কা, ভারত ও পাকিস্তান। এ বছর ১৩ ম্যাচে ১৩২.৫ ওভার বোলিং করে ৩৯ উইকেট নেওয়ার পথে লঙ্কান পেসারদের ইকোনমি রেট ৮.৩১। শ্রীলঙ্কার চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলেছে ভারত। ১২ ম্যাচে ৯৬.২ ওভার বোলিং করে ৩৭ উইকেট নেওয়ার পথে তাদের পেসারদের ইকোনমি রেট ৮.৫০। টেস্ট খেলুড়ে দলগুলোর মধ্যে পাকিস্তান এ বছর এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি টি–টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে। ২৬ ম্যাচে ২৩৫.৫ ওভার বোলিং করে ৯৩ উইকেট নেওয়ার পথে পাকিস্তানের পেসারদের ইকোনমি রেট ৮.৫৪।
অস্ট্রেলিয়ার পেসাররা এ তালিকায় সাতে। ১১ ম্যাচে ১৩৪.৪ ওভার বোলিং করে ৫০ উইকেট নেওয়া অস্ট্রেলিয়ার পেসারদের ইকোনমি রেট ৮.৯৫। আফগানিস্তান ও ইংল্যান্ড যথাক্রমে নয়ে ও দশে।
টি–টোয়েন্টিতে সব কটি দল মিলিয়ে হিসাব করলে এ বছর ইকোনমি রেটে কোস্টারিকার পেসাররা শীর্ষে। ১০ ম্যাচে ১৬৯.১ ওভার বোলিং করে ৬১ উইকেট নেওয়ার পথে আইসিসি সহযোগী দেশটির পেসারদের ইকোনমি রেট ৪.৮১। শুধু কোস্টারিকার পেসারদের ইকোনমি রেটই ৫–এর নিচে। এর বাইরে সব কটি দেশের পেস বিভাগের ইকোনমি রেট ৫–এর ওপাশে। আইসিসির সহযোগী দেশগুলোকে বিবেচনায় নিলে টি–টোয়েন্টিতে এ বছর পেসারদের ইকোনমি রেটে বাংলাদেশের ওপরে আছে আরও ৩৩টি দল।