
>গত রাতে ইতালিয়ান সিরি আ এর ম্যাচে বোলোনিয়াকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে এসি মিলান
শেষবার যখন লিগ জিতেছিল মিলান, দলে ছিলেন থিয়াগো সিলভা, আন্দ্রেয়া পিরলো, জেনারো গাত্তুসো, আলেসসান্দ্রো নেস্তা, ক্লারেন্স সিডর্ফের মতো তারকারা। নয়-দশ বছর আগের কথা। নেস্তা-গাত্তুসো-সিডর্ফ প্রত্যেকেই বুটজোড়া তুলে রেখে এখন হাত মকশো করছেন কোচিংয়ে। গত নয়-দশ বছরের গল্পটা শুধুই হতাশার। সে হতাশা থেকে কি অবশেষে বেরিয়ে আসছে মিলান?
করোনাভাইরাসের কারণে স্থগিত থাকা লিগ পুনরায় চালু হওয়ার পর থেকে মিলান যেন 'অচেনা'। লিগ চালু হওয়ার পর যে আটটা ম্যাচ খেলছে, তার প্রত্যেকটাতেই নূন্যতম দুই গোল করেছে রোজোনেরিরা। সে ধারা অব্যাহত থেকেছে গত রাতেও। নিজেদের মাঠ সান সিরোতে বোলোনিয়াকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে তারা। আর জিতেই ইউরোপা লিগে স্থান পাওয়ার সম্ভাবনাটা আরেকটু উজ্জ্বল করেছে।
ম্যাচটা ছিল অনেক 'প্রথম' এরও ম্যাচ। এই ম্যাচেই নিজ নিজ ক্লাবের হয়ে প্রথম গোলের স্বাদ পেয়েছেন এসি মিলানের বেলজিয়ান মিডফিল্ডার আলেক্সিস সালেমেকার্স ও আলজেরিয়ান মিডফিল্ডার ইসমাইল বেনেসার। ওদিকে বোলোনিয়ার হয়ে নিজের প্রথম গোল পেয়েছেন জাপানি রাইটব্যাক তাকেহিরো তোমিয়াসু।
ম্যাচের শুরু থেকেই বোলোনিয়ার ওপর ছড়ি ঘোরাতে থাকে লাল-কালোরা। ক্রোয়েশিয়ার স্ট্রাইকার আনতে রেবিচের মাটিঘেঁষা ক্রসটাকে দুর্দান্তভাবে জালে পাঠিয়ে মিলানের হয়ে নিজের গোলের খাতা খোলেন সালেমেকার্স। পাস রেবিচ দিলেও, সালেমেকার্সের পায়ে বল আসার আগে অভিজ্ঞ স্ট্রাইকার ইব্রাহিমোভিচ যেভাবে 'ডামি' দিয়েছেন, সেটাও একটা 'অ্যাসিস্ট' হওয়ার যোগ্যতা রাখে।
দ্বিতীয় গোলটা বলতে গেলে বোলোনিয়ারই 'উপহার'। মিলানের মূহুর্মুহু আক্রমণ সামলাতে না পেরে ভুল করে বসেন বোলোনিয়ার পোলিশ গোলরক্ষক, রোমার সাবেক খেলোয়াড় লুকাশ স্ক্রোপুস্কি। গোল করতে ভুল হয়নি তুরস্কের মিডফিল্ডার হাকান চালহানোলুর। ম্যাচের তখন চব্বিশ মিনিট চলে।
প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার ঠিক এক মিনিট আগে ব্যবধান কমান তোমিয়াসু। গোটা মৌসুমেই দুর্দান্ত খেলা এই রাইটব্যাক বাঁ পায়ের দৃষ্টিনন্দন এক গোলে দলকে ম্যাচে ফেরানোর আশা দেখান। কিন্তু বিরতির পরে মিলান আর ম্যাচে ফেরার সুযোগ দেয়নি প্রতিপক্ষকে। ৪৯ মিনিটে ডান পায়ের শটে গোল করে ব্যবধান বাড়ান বেনেসার। ৫৭ মিনিটে ইব্রাহিমোভিচের চতুর এক পাস ধরে ডি-বক্সে বিদ্যুৎগতির মুভমেন্ট দেখিয়ে দলের চতুর্থ গোল নিয়ে আসেন আনতে রেবিচ। শেষ গোলটা রাইটব্যাক ডেভিডে কালাব্রিয়ার। আইভোরি কোস্টের মিডফিল্ডার ফ্রাঙ্ক কেসি একবার পোস্টে বল না লাগালে ব্যবধান আরও বাড়তেও পারত।
এই জয় নিয়ে ৩৪ ম্যাচে ৫৬ পয়েন্ট হয়ে গেল মিলানের। শীর্ষে থাকা জুভেন্টাসের পয়েন্ট ৭৭। ৭১ পয়েন্ট নিয়ে তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আতালান্তা।