Thank you for trying Sticky AMP!!

এবারও লাইসেন্স পেয়েছে বসুন্ধরা কিংস।

এএফসি ক্লাব লাইসেন্স পেল আবাহনীসহ চার ক্লাব, নেই মোহামেডান

এশিয়া মহাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্লাব প্রতিযোগিতার আসর এএফসি কাপের ২০২১ আসরে বাংলাদেশ থেকে চারটি ক্লাব লাইসেন্স পেয়েছে। তারা হলো বর্তমান লিগ চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস, রানার্সআপ আবাহনী লিমিটেড, শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র ও সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেড। এই দলে নেই আরেক ঐতিহ্যবাহী ক্লাব মোহামেডান।

মোহামেডান অবশ্য এএফসি বরাবর ক্লাব লাইসেন্সিংয়ের আবেদন জমা দিয়েছিল বলে জানিয়েছেন ক্লাবের অন্যতম কর্মকর্তা আবু হাসান চৌধুরী প্রিন্স। কিন্তু তিনি বুঝতে পারছেন না কেন মোহামেডান তা পায়নি, ‘আমরা আবেদন জমা দিয়েছিলাম। কিন্তু কোন মানদণ্ডে আমরা লাইসেন্স পেলাম না, সেটা বুঝতে পারছি না। বিষয়টি নিয়ে আমরা আবার বসব।’

লাইসেন্স জোটেনি মোহামেডানের কপালে।

২০২০ সালে এএফসি বাতিল করা হয়েছিল করোনাভাইরাসের কারণে। এবার আগে থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এই টুর্নামেন্ট সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের ব্যাপারে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি) কাজ শুরু করে দিয়েছে।

বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে মার্চে স্থগিত করা হয়েছিল এএফসি কাপের গত আসর। পরিবর্তিত সূচি অনুযায়ী নভেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন নিরপেক্ষ ভেন্যুতে নয়টি গ্রুপের খেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সাবধানী এএফসির ঘোষণায় সেবার টুর্নামেন্টই শেষ হয়নি। ২০২১ এএফসি কাপের লাইসেন্সিংয়ের জন্য বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ১৩ ক্লাবের মধ্যে ৬টি ক্লাব আবেদন করেছিল। তাদের মধ্যে কেবল চারটার কপাল খুলেছে শুধু বসুন্ধরা কিংস, আবাহনী, শেখ রাসেল ও সাইফের। বসুন্ধরা কিংস আর আবাহনী অবশ্য গত এএফসি কাপে লাইসেন্সকৃত ক্লাব হিসেবেই অংশ নিয়েছিল।

এএফসি কাপে খেলার সুযোগ পাওয়ার জন্য এই লাইসেন্সিং অনেক গুরুত্বপূর্ণ। শুধু ফেডারেশন কাপ বা ঘরোয়া লিগের চ্যাম্পিয়ন হলেই যে এই কাপে খেলার সুযোগ পাওয়া যাবে, ব্যাপারটা তেমন নয়। অংশগ্রহণ করার জন্য সেই ক্লাবের লাইসেন্সও থাকা লাগবে। মাঠ ও মাঠের বাইরে ক্লাবের পরিকাঠামো কেমন, ক্লাবটা ঠিকঠাক মতো চলছে কি না, আর্থিক আয়-ব্যয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আছে কি না, ক্লাবের প্রশাসনে যোগ্য লোক রয়েছে কি না, সবকিছু বিবেচনা করেই এই লাইসেন্সটা দিয়ে থাকে এএফসি।

এ ব্যাপারে বসুন্ধরা কিংসের মিডিয়া ম্যানেজার আহমেদ শায়েক বলেন, লাইসেন্সিংয়ের মানদণ্ড অনুযায়ী প্রায় ষাট ধরনের কাগজপত্র বাফুফের মাধ্যমে পাঠান হয়েছিল এএফসিকে। পাঁচটি মানদণ্ডের মধ্যে রয়েছে খেলার মাঠে ক্লাবের পারফরম্যান্স, প্রশাসনিক অবস্থা, উন্নত অবকাঠামো, অর্থনৈতিক ও আইনি স্বচ্ছতা, যা দেখে তাঁরা বিবেচনা করেছেন ক্লাবকে এএফসি কাপের জন্য লাইসেন্স দেওয়া যায় কি না। এএফসির মানদণ্ড অনুযায়ী লাইসেন্সিংয়ের জন্য যা যা দরকার, বসুন্ধরার সবই আছে।

লাইসেন্স পেয়েছে আবাহনীও।

লাইসেন্স পাওয়া চার ক্লাবের লক্ষ্য এখন লিগ শিরোপা জেতা বা ফেডারেশন কাপ জয় করা। না জিতলে এত খাটাখাটনি করে পাওয়া লাইসেন্সিংয়ের কোনো মূল্য থাকবে না যে!