Thank you for trying Sticky AMP!!

কোচ ম্যারাডোনার চোখধাঁধানো সাফল্যটা

কোচ ম্যারাডোনাও অবশেষে সাফল্য পাচ্ছেন। ছবি: এএফপি
>কোচ ম্যারাডোনার সাফল্যটা রীতিমতো চোখধাঁধানো। সেপ্টেম্বরে ম্যারাডোনা দায়িত্ব নেওয়ার সময় মেক্সিকোর দ্বিতীয় বিভাগে ১৫ দলের মধ্যে দোরাদোস ছিল ১৩তম, লড়ছিল অবনমন এড়াতে। সেই দোরাদোসকেই পরশু ম্যারাডোনা নিয়ে গেছেন প্রথম বিভাগে ওঠার প্লে-অফের সেমিফাইনালে!

সমালোচকদের তো তাহলে নীরবে জবাবই দিয়ে চলেছেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা!
ম্যারাডোনার সঙ্গে ‘নীরব’ শব্দটা ঠিক যায় না, তবে এই একটা জায়গায় ১৯৮৬ বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি আসলেই মুখে কিছু বলছেন না। মেক্সিকোর দ্বিতীয় বিভাগের ক্লাব দোরাদোসের দায়িত্ব নেওয়ার সময় তাঁর কোচিং–দক্ষতা নিয়ে সমালোচনা কম হয়নি, ম্যারাডোনা ও তাঁর দল সেসবের জবাব দিয়ে যাচ্ছে মাঠেই।

সাফল্যটা রীতিমতো চোখধাঁধানো। সেপ্টেম্বরে ম্যারাডোনা দায়িত্ব নেওয়ার সময় মেক্সিকোর দ্বিতীয় বিভাগে ১৫ দলের মধ্যে দোরাদোস ছিল ১৩তম, লড়ছিল অবনমন এড়াতে। সেই দোরাদোসকেই পরশু ম্যারাডোনা নিয়ে গেছেন প্রথম বিভাগে ওঠার প্লে-অফের সেমিফাইনালে! লিগে সপ্তম হয়ে প্লে-অফে উঠেছিল, সেখানে কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে পরশু মিনেরোস দে জাকাতেকাসের মাঠে ১-০ গোলে জিতেছে দোরাদোস (প্রথম লেগ ছিল গোলশূন্য ড্র)।

দলের ফর্ম এমন ১৮০ ডিগ্রি কীভাবে বদলে গেল, সে উত্তর ম্যারাডোনা আর তাঁর খেলোয়াড়েরাই দিতে পারবেন। ৫৮ বছর বয়সী ম্যারাডোনা দায়িত্ব নেওয়ার আগে যেখানে লিগে ছয় ম্যাচে দোরাদোস তিনটিতে হারের পাশে তিনটিতে করেছিল ড্র, সেখানে তাঁর অধীনে এখন পর্যন্ত লিগে ১০ ম্যাচে হেরেছে শুধু একবার, সাতটিতেই জিতেছে। সব টুর্নামেন্ট মিলিয়ে সর্বশেষ আট ম্যাচে অপরাজিত! দোরাদোস খেলছেও আক্রমণাত্মক আকর্ষণীয় ফুটবল। এখন রইল বাকি সেমিফাইনাল ও ফাইনাল, তাতে জিতে গেলেই ম্যারাডোনা দলকে উঠিয়ে নেবেন মেক্সিকোর প্রথম বিভাগে।

সমালোচকদের নিয়ে নীরব থাকলেও উদ্‌যাপনটা ঠিকই চলছে ম্যারাডোনার। ড্রেসিংরুমে খেলোয়াড়-স্টাফদের সঙ্গে নাচছেন, গাইছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া গানগুলোয় আছে ‘মারাদোনা’, ‘আরমান্দো’ শব্দগুলো।

সাফল্যের রহস্য আর কৌশলের খুঁটিনাটি জানা না গেলেও এতটুকু নিশ্চিত, ম্যারাডোনার কোচিংয়ে তাঁর ব্যক্তিত্বের একটা অংশ ভরপুরই আছে—আবেগ। আর মেক্সিকোই বা ম্যারাডোনাকে হতাশ করে কীভাবে!