Thank you for trying Sticky AMP!!

জার্মান ভক্তের সঙ্গে ওজিলের যুদ্ধ!

বিতর্কে জড়ালেন ওজিল
>দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে হারের পরপরই দর্শকদের সঙ্গে বচসায় জড়ালেন মেসুত ওজিল। নিরাপত্তারক্ষীরা না ঠেকালে সাম্প্রতিককালে নানা বিতর্কের মধ্যে থাকা এই তুর্কি বংশোদ্ভূত তারকা জড়িয়ে পড়তে পারতেন আরও বাজে ঘটনায়

এভাবে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে হেরে বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নিতে হবে, এটা বোধ হয় মেসুত ওজিল ঘুণাক্ষরেও ভাবেননি। শুধু কালকের ম্যাচেই নয়, পুরো টুর্নামেন্টেই নিজেদের ছায়া হয়ে থাকা জার্মানরা রীতিমতো বিধ্বস্তই হয়েছে। ওজিল, মুলার, হামেলস, নয়্যারের মতো খেলোয়াড়েরা যে স্বপ্নভঙ্গের যাতনায় পুড়বেন, এটিই স্বাভাবিক। অন্যরা ব্যাপারটা পুষে রাখলেও ওজিল নিজের হতাশাটা ঝেড়ে এসেছেন মাঠেই—এক জার্মান দর্শকের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে!

ম্যাচ শেষে বিরক্ত ওজিল হাত থেকে সোয়েটব্যান্ড খুলে গ্যালারিতে ছুড়ে ফেলেন। আর এতেই খেপে যান জার্মান–সমর্থকেরা। ম্যাচ শেষে বিমর্ষ ওজিল টানেলে যেতেই জড়িয়ে পড়েন জার্মান–সমর্থকদের সঙ্গে তর্কে। কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষী ওজিলকে সরিয়ে নিয়ে না গেলে ব্যাপারটা আরও কদর্য হতেই পারত।

এমনিতেই জার্মান–সমর্থকদের কাছে ওজিল নিজের জনপ্রিয়তা হারিয়ে বসেছেন। তুর্কি বংশোদ্ভূত হওয়ার কারণে জার্মান–সমর্থকেরা এমনিতেই ওজিল বা ইলকায় গুন্দোগানদের মতো খেলোয়াড়দের অতটা সুনজরে দেখে না। তার ওপর টুর্নামেন্ট শুরুর ঠিক আগ দিয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে ছবি তুলে জার্মানদের আরও ক্ষোভের কারণ হয়েছেন তিনি। বিশ্বকাপ শুরুর আগের প্রস্তুতি ম্যাচগুলোতে এই দুজনকে দুয়োই দিয়েছেন জার্মান–সমর্থকেরা। বিশ্বকাপে কোথায় ভালো খেলে সবার হৃদয়ে ফিরে আসবেন, তা না, উল্টো দলই বিদায় নিল গ্রুপ পর্ব থেকে।

এই সময় ওজিল মাথাটা ঠিক রাখেন কী করে!