Thank you for trying Sticky AMP!!

ইনস্টাগ্রামে কোচের বিদায়ের কথা জানিয়ে দিয়েছেন এমবাপ্পে।

পিএসজি না বললেও কোচের বিদায়ের কথা জানিয়ে দিলেন এমবাপ্পে

আজ বড়দিন, সেটা যদি কেউ ভুলে গিয়েও থাকেন; পিএসজির টুইটার অ্যাকাউন্ট ঘুরে এলেই মনে পড়ে যাবে। নিজেদের খেলোয়াড়দের নানা ছবি ভিডিও দিয়ে উৎসবের দিনটা রাঙানোর চেষ্টা করছে। টুইটারের থ্রেডে আরেকটু নিচে গেলে স্ত্রাসবুর্গের সঙ্গে ম্যাচে ৪-০ গোলের জয় নিয়ে উচ্ছ্বাসটাও টের পাওয়া যায়। কিন্তু কোথাও টমাস টুখেল নিয়ে কোনো টুঁ শব্দ নেই।

পরশু স্ত্রাসবুর্গের সঙ্গে ম্যাচ শেষ হওয়ার পরই নাকি টুখেলকে চাকরি থেকে ছাঁটাই করা হয়েছে। শুধু জার্মান কোচের আইনজীবীদের সঙ্গে এখনো খুঁটিনাটি ঠিক করা হয়নি বলেই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়নি। তাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কিংবা ক্লাবের ওয়েবসাইটে এ ব্যাপারে কোনো আলোচনা নেই। কিন্তু যে দুজন তারকাকে নিয়ে কথা বলার কারণে চাকরি হারিয়েছেন টুখেল, তাঁদেরই একজন নিশ্চিত করলেন টুখেলের বিদায়ের কথা। কোচকে আবেগপূর্ণ বার্তা পাঠিয়েছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে।

পিএসজিকে চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের স্বাদ এনে দিয়েছিলেন টুখেল।

গত মৌসুমেই প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল খেলেছে পিএসজি। কিন্তু এ মৌসুমের শুরুটা ভালো হয়নি। প্রাক্‌–মৌসুম না থাকায় এ মৌসুমে ছন্দে ফিরতে একটু সময় নিয়েছে পিএসজি। দলে করোনা হানা দিয়েছিল, অনেকে ফিট হতে পারেননি সময়মতো। টানা দুই হারে মৌসুম শুরু করা পিএসজি লিগে এখনো শীর্ষ স্থান বুঝে পায়নি। চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলো নিশ্চিত করতেও গ্রুপের শেষ ম্যাচ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। তাই পিএসজির বর্তমান পারফরম্যান্সকেই কারণ দেখিয়ে ছাঁটাই দেখানো হতে পারে টুখেলকে।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এখনো ঘোষণা দেয়নি পিএসজি। কিন্তু এটা যে ওপেন সিক্রেট, সেটা গতকালই জানা হয়ে গেছে। নতুন কোচ হিসেবে মরিসিও পচেত্তিনোর যোগ দেওয়াও অনেকটাই নিশ্চিত। তবু যাঁরা ৪৭ বছর বয়সীর চাকরি হারানোর খবরটি বিশ্বাস করছিলেন না, তাঁরা ইনস্টাগ্রামে এমবাপ্পের স্টোরি দেখে নিলেই পারেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাবেক কোচের সঙ্গে একটি ছবি দিয়ে লিখেছেন, ‘দুঃখজনকভাবে এটাই ফুটবলের নিয়ম। এখানে আপনার কাটানো সময় কেউ ভুলবে না। ক্লাবের ইতিহাসে অপরূপ একটি অংশ লিখে গেছেন আপনি। আপনাকে বলার শুধু একটা কথাই বাকি: ধন্যবাদ কোচ।’

সামান্য রসিকতার জন্য চাকরি হারালেন টুখেল।

২০১৮ সালে পিএসজির দায়িত্ব পেয়েছিলেন টুখেল। গত মৌসুমে ঘরোয়া ট্রেবলজয়ী এই কোচ প্যারিসে দুই বছরে ৬টি শিরোপা জিতেছেন। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালেও তুলেছেন পিএসজিকে। কিন্তু এমবাপ্পে ও নেইমারদের নিয়ে একটু মজা করাতেই সব সাফল্য ভুলে গেছে মালিকপক্ষ। পরশু ম্যাচের আগে টুখেলের একটি সাক্ষাৎকার ছাপা হয়েছে। স্পোর্টস ওয়ানের সঙ্গে কথোপকথনে টুখেল নাকি বলেছিলেন, নেইমার ও এমবাপ্পের মতো খেলোয়াড়কে সামলানো খুব কঠিন। এমন দুজনকে খুশি রাখা খুব কঠিন। এটাও বলেছেন, নিজেকে ইদানীং কোচের চেয়ে ক্রীড়া রাজনীতিবিদ বা ক্রীড়ামন্ত্রী মনে হয়। গত মৌসুমে নাকি কোচিংয়ের মজাও হারিয়ে ফেলেছিলেন।

ম্যাচের পর নিজের কথা ব্যাখ্যা করেছেন টুখেল। বলেছেন, ভুল অনুবাদ করা হয়েছে তাঁর কথা। কিন্তু চাকরি হারানো ঠেকাতে পারেননি জার্মান কোচ।