Thank you for trying Sticky AMP!!

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের হাতে স্বাধীন বাংলা দলের অন্যতম সদস্য সুভাষ সাহার জার্সি তুলে দেওয়া হয়েছে

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের জার্সি

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অনন্য অবদান রেখেছে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল। সেই দলের একটি জার্সি মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে আজ আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের হাতে স্বাধীন বাংলা দলের অন্যতম সদস্য সুভাষ সাহার জার্সিটা (১৩ নম্বর) তুলে দেন দলটির ম্যানেজার তানজীব মাজহার তান্নাসহ অন্যান্য খেলোয়াড়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার হোসেন, তথ্যসচিব মকবুল হোসেন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সচিব খাজা মিয়া, প্রধান তথ্য অফিসার শাহেনূর মিয়া, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি সারা যাকের ও মফিদুল হক। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে ছিলেন শেখ আশরাফ আলী, সুভাষ সাহা, এনায়েতুর রহমান খান।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক মোজাম্মেল হক

এ প্রসঙ্গে শেখ আশরাফ আলী বলেন, স্বাধীন বাংলা দল ১৯৭১ সালে ইতিহাস রচনা করেছিল। সেই দলের একটি জার্সি মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে ঠাঁই পাওয়া মানে আগামী প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন বাংলা দলের অবদান সম্পর্কে জানতে পারবে। অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সদস্যদের অবদান অস্বীকার করার মতো নয়। তাঁরাও বীর মুক্তিযোদ্ধা। তাঁদের নামে গেজেট করা হয়েছে।
অনেক ত্যাগের পরে আজ এই স্বাধীন বাংলাদেশ। সবার অংশগ্রহণের ফলে এটা সম্ভব হয়েছে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথা, ‘আমি স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সদস্যদের ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করতে চাই না। তাঁরাও জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান।’

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল অবিচ্ছেদ্য এক অংশ। দেশের ক্রান্তিকালে বল পায়ে স্বাধীনতার পক্ষে জনমত তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন ফুটবলাররা। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত অর্জন এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্যার্থে অর্থ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে ভারতের বিভিন্ন স্থানে প্রদর্শনী ফুটবল খেলায় অংশ নিয়েছেন। পৃথিবীর ইতিহাসে যুদ্ধকালীন ফুটবল দল গঠন বিরল এক ঘটনা।

ফুটবলারদের হাতে অস্ত্র ছিল না, কিন্তু মহান মুক্তিযুদ্ধে পায়ের ফুটবলই হয়ে উঠেছিল অস্ত্রের মতো ধারালো। তাঁদের খেলার মধ্যেই মিশে ছিল প্রতিবাদের ভাষা। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের পতাকাতলে এই ফুটবলাররা পশ্চিম বাংলা, বিহার, বেনারস, মুম্বাইসহ ভারতের বিভিন্ন শহরে ১৬টি প্রদর্শনী ম্যাচ খেলেন। ম্যাচগুলো থেকে প্রাপ্ত কয়েক লাখ ভারতীয় রুপি জমা পড়ে মুক্তিযুদ্ধের তহবিলে। দেশের স্বাধীনতার জন্য ভিনদেশে প্রীতি ম্যাচ খেলে অর্থ সংগ্রহ বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনেই বিরল বলে উল্লেখ করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী।

স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল ভারতের বিভিন্ন স্থানে ১৬টি প্রদর্শনী ম্যাচ খেলেছে। ১২ জয়ের সঙ্গে ৩ হার ও ১টি ড্র।