Thank you for trying Sticky AMP!!

মেসিকে শান্ত করতে নেইমার 'টোপ' আবিদালের

মেসি-নেইমার জুটি। যখন একসঙ্গে বার্সায় খেলতেন। ছবি: এএফপি
লিওনেল মেসিকে শান্ত করতে নেইমারকে ফেরানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বার্সার ক্রীড়া পরিচালক এরিক আবিদাল


নাহ, চাকরি যাচ্ছে না এরিক আবিদালের। বার্সেলোনার সঙ্গেই থাকছেন তিনি।

বার্সেলোনার সাবেক ডিফেন্ডার ও বর্তমানে ক্লাবটির ক্রীড়া পরিচালক কিছুদিন আগে খেলোয়াড়দের নিয়ে নেতিবাচক কথা বলেন। বার্সার সাবেক কোচ আর্নেস্তো ভালভার্দের ওপর অনেক খেলোয়াড় খুশি ছিল না বলে জানিয়েছেন আবিদাল। ভালভার্দের অধীনে খেলোয়াড়েরা তেমন পরিশ্রমও করেনি, এমন অভিযোগও তোলেন তিনি। বার্সা তারকা লিওনেল মেসি আবিদালের এমন মন্তব্যের সমালোচনা করেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে। খেলোয়াড়দের বিপক্ষে অভিযোগ মানে তো মেসির বিপক্ষেও অভিযোগ! এ কারণে খেলোয়াড়দের নাম জানতে চেয়েছিলেন মেসি।

শুধু এ গৃহদাহ নয়, ভালভার্দে বরখাস্ত হওয়ার পর নতুন কোচের সন্ধানে নেমেও জলঘোলা করেছেন আবিদাল। দলবদলের মৌসুমে বার্সার যখন স্ট্রাইকার দরকার, আবিদাল সমাধান করতে পারেননি। এসব নিয়ে আবিদালের ওপর বিরক্ত হয়ে উঠেছিলেন ক্লাবটির সমর্থকেরা। সম্ভবত বার্সেলোনা বোর্ডও। নইলে কাল আবিদালের সঙ্গে হুট করে বৈঠকে বসতেন না সভাপতি হোসেপ মারিয়া বার্তোমেউ। বৈঠক শেষে জানা গেছে, আবিদালের চাকরি থাকছে। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘এএস’ তার কারণও খুঁজে বের করেছে। সেটি আবিদালের একটি প্রতিশ্রুতি।

নেইমারের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা বহুদিন ধরেই করছে বার্সা। সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, নেইমারকে ফেরানোর ব্যাপারটি ‘অসম্ভব কিছু না’—এমন কথাই বলেছেন আবিদাল। ২০১৭ সালে বার্সা ছেড়ে পিএসজিতে যোগ দেন নেইমার। ব্রাজিলিয়ান তারকা মেসির ঘনিষ্ঠ বন্ধুও। এএস মনে করছে, নেইমারকে ফেরানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে মেসিকে শান্ত করার কাজটি সারলেন আবিদাল। মুন্দো দেপোর্তিভোকে আবিদাল বলেছেন, ‘এটা (নেইমারের দলবদল) পরিকল্পনা, পাসপোর্ট ও আরও অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করে। ক্লাবের লক্ষ্যপূরণে দল শক্তিশালি করাই আমার কাজ। নেইমার কিংবা লওতারো মার্টিনেজ ক্লাবের জন্য ভালো হতে পারে। আমি এটাকে (দলবদল) অসম্ভব কিছু বলে মনে করি না। আমরা চেষ্টা করব।’

সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, নেইমারের চুক্তিপত্রে একটি শর্ত আছে, সে অনুযায়ী মৌসুম শেষে ১৭০ মিলিয়ন ইউরোয় তিনি পিএসজি ছাড়তে পারেন। এ নিয়ে আবিদালের উক্তি, ‘দামটা সব ক্লাবের জন্য এক, শুধু বার্সার জন্য নয়। সিদ্ধান্তটা সব সময় খেলোয়াড়ের। আমরা সই করাতে পারলে তো ভালোই হয়।’