
জেরার্ড পিকে বরাবরই ঠোঁট কাটা। সের্হিও রামোস রিয়াল মাদ্রিদে থাকতে তাঁর সঙ্গে পিকের সম্পর্কটা মনে করে দেখুন। দুজনের বাগযুদ্ধ এবং খোঁচাখুঁচির শেষ ছিল না।
রামোস যাওয়ার পরও পিকের মুখ বন্ধ হয়নি। স্পেনের রম্য রেডিও অনুষ্ঠান ‘লা সোতানা’য় আমন্ত্রিত হয়েও মুখের আগল খুলে দেন বার্সেলোনা ডিফেন্ডার। লিওনেল মেসির সঙ্গে কাটানো সময়গুলো, শাকিরা তাঁর জীবনে আসার পর পেপ গার্দিওলার সঙ্গে কেমন সম্পর্ক ছিল—এসব নিয়ে কথা বলেছেন পিকে।
২০১১ সালে শুরুর দিকে কলম্বিয়ান গায়িকা শাকিরার সঙ্গে পরিণয়ে জড়িয়ে পড়েন পিকে। গার্দিওলা তখন বার্সেলোনার কোচ। পরের বছর তিনি বার্সা ছাড়ার আগে সে সময়টা ভালো যাচ্ছিল না স্প্যানিশ এ কোচের।
তবে বার্সা কোচ হিসেবে সব মিলিয়ে মধুর সময় কাটিয়েছেন গার্দিওলা। ২০০৮ থেকে ২০১২—এ সময়ে ক্লাবটিকে তিনবার লা লিগা জেতানোর পাশাপাশি দুবার জিতিয়েছেন চ্যাম্পিয়নস লিগ। তবে সে সময় রিয়াল কোচ জোসে মরিনিওর সঙ্গে গার্দিওলার বৈরী সম্পর্ক খেলোয়াড়দের জন্য ক্লান্তিকর ছিল বলে জানিয়েছেন পিকে।
বার্সা তারকা এ নিয়ে বলেন, ‘ড্রেসিং রুমের কথা ধরলে মরিনিওর সঙ্গে তার দ্বৈরথ খেলোয়াড়দের জন্য ক্লান্তিকর ছিল। পেপ সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে চাইত। আমি শাকিরার সঙ্গে প্রেম করা শুরুর পর তার (গার্দিওলা) সঙ্গে সম্পর্কটা পাল্টে যায়—এখন অবশ্য ঠিক আছে।’
গার্দিওলার সঙ্গে সম্পর্ক তখন কতটা খারাপ হয়েছিল, তা বোঝাতে উদাহরণও টানেন পিকে, ‘অনেক চাপে ছিলাম। অনুশীলনে মনে হতো আমাকেই সব নিখুঁত করে করতে হবে। যদি এমন কোনো মুহূর্ত থেকে থাকে, যখন বার্সা ছাড়তে চেয়েছি, সেটা ওই মৌসুমেই (২০১১)।’
মেসিকে নিয়ে পিকের দাবি, বার্সার সঙ্গে তাঁর চুক্তি প্রায় হয়ে গিয়েছিল। লা লিগার বেতনকাঠামো নীতি নিয়মের অধীনে কী ঘটে, তা দেখার অপেক্ষায় ছিল ক্লাব এবং বিষয়টি নাকি বার্সার খেলোয়াড়েরা জানতেন।
মেসি শেষ পর্যন্ত বার্সা ছেড়ে যোগ দেন পিএসজিতে। বার্সার সাবেক সভাপতি জোসে মারিয়া বার্তোমেউকে নিয়েও কথা বলেছেন পিকে। বার্তোমেউ সভাপতি থাকতে খেলোয়াড়দের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক মোটেও ভালো ছিল না। ক্লাবের আর্থিক দুরবস্থার জন্য অনেকেই দুষে থাকেন বার্তোমেউকে।
সাবেক এই সভাপতিকে নিয়ে পিকের মন্তব্য, ‘তিনি বার্সার ইতিহাসে সবচেয়ে বাজে সভাপতি কি না জানি না। তবে আমি যে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গিয়েছি, তা বিচারে বলতে পারি, সে তালিকায় তার নাম থাকা উচিত।’